Home লাইফ স্টাইল অনুতপ্ত নয় এমন মানুষকে ক্ষমা করবেন?

অনুতপ্ত নয় এমন মানুষকে ক্ষমা করবেন?

অনুতপ্ত নয় এমন মানুষকে ক্ষমা করতে পারাটা সহজ বিষয় নয়। সে হয়ত আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। তারপরও ক্ষমা করতে পারলে নিজের কাছেই অন্তত ভারমুক্ত থাকা যায়। কারণ ‘ক্ষমা মহৎ গুণ’।

কেউ আমাদের সঙ্গে অন্যায় করলে আমরা তার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থণা আশা করে থাকি। তবে সে যদি নিজ থেকে ক্ষমা না চায় তাহলে অকারণে নিজে কষ্ট পেয়ে লাভ নেই। বরং তাকে নিজে থেকেই ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

প্রতিহিংসার আগুলে জ্বলেপুড়ে ছাড়খার না হয়ে কীভাবে ক্ষমা করবেন? সেই পন্থাই জানানো হল মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

দুঃখ প্রকাশ কতটা জরুরি- সিদ্ধান্ত নিন

আপনার সঙ্গে কেউ অন্যায় করলে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থণা আশা করা খুব স্বাভাবিক। তবে এটা অনেক সময় বুঝতে সহায়তা করে যে, হয়ত এটা আপনার কোনো প্রয়োজ়ন নেই।

ক্ষমার জন্য অপেক্ষা করা আপনাকে কেবল কষ্টই দেবে। তাই সেদিকের মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। ক্ষমা চাওয়া অবশ্যই ভালো। তবে এটাও ঠিক, ‘ক্ষমা চাই’ এই শব্দটার মধ্যে এমন জাদুকরী কিছু নেই যা আপনাকে ওই ব্যক্তিকে মন থেকে ক্ষমা করতে সাহায্য করবে। তাই কারও ক্ষমা চাওয়ার আশায় বসে না থেকে নিজে থেকেই ক্ষমা করে দিন। 

আরও পড়তে পারেন-

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা দোষের কিছু নয়। বরং অনুভূতি লুকিয়ে রাখাটা অস্বাস্থ্যকর। নিজের বিশ্বাস যোগ্য কাউকে খুঁজে বের করুন এবং তার কাছে মনের কথা বলে বা ক্ষমা চাওয়া যায় এমন একটা জায়গা করে নিন। যদি কারও কাছে মন খুলে বলতে অস্বস্তি লাগে তাহলে যে কোনো পত্রিকায় বা ব্লগে নাম গোপন করে লিখতে পারেন। মোট কথা হল, যে কোনোভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন।

সৎ থাকা

সততা না থাকলে কোনো সম্পর্কই ধরে রাখা সম্ভব না। তাই নিজের মতো করেই পরিবার বন্ধু এমন-কি সঙ্গীর কাছেও সৎ থাকা উচিত। তাই কেউ আপনার সঙ্গে অন্যায় করলে তার ক্ষমা চাওয়ার অপেক্ষা না থেকে বরং কীভাবে এর সমাধান করা যায় ও কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া যায় সেই চিন্তা করা উচিত।

নিজের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা

এমন পরিস্থিতি হতে পারে, যেখানে আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিক ছিলেন। আবার এমনও হতে পারে যে, যিনি আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে তার সেই আচরণের পেছনে আপনি দায়ী ছিলেন। আপনার কাজ কর্ম তাকে খারাপ আচরণ করতে বাধ্য করেছে। তাই সব সময় দোষারোপা না করে নিজের কার্যক্রিয়া একটু পর্যবেক্ষণ করা উচিত।

ছেড়ে দেওয়া

ক্ষমা করে দেওয়ার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন কাজ হল, সেই অনুভূতিটাকে ভুলে যাওয়া বা ছাড় দেওয়া। তবে নিজের খারাপ লাগানোর বিষয়টাকে ধরে রেখে সময় অপচয় করার চাইতে ‘ছেড়ে দেওয়া’টাই শেষ পর্যন্ত মঙ্গল।

ঘৃণা, রাগ, আঘাত ছাড়া পেতে পারেন সুখী, অনুপ্রেরণা ও শান্তির জীবন। আর যদি ক্ষমা করে দেওয়ার বিষয়টা নিজের কাজে লাগাতে পারেন তবে সেটাই বয়ে আনবে মঙ্গল বরতা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এফইউবি

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।