Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন বিজ্ঞানের আলোকে নামাযের বাতেনী ভেদ ও উপকারিতা (২)

বিজ্ঞানের আলোকে নামাযের বাতেনী ভেদ ও উপকারিতা (২)

।। আল্লামা হাফেজ নাজমুল হাসান কাসেমী ।।

[দ্বিতীয়/শেষ কিস্তি]

নামাযের হাকিকতঃ নামায সম্বন্ধে বলা হয়েছে, নামায যাবতীয় দুঃখ কষ্ট ও পাপ মোচনকারী। এই দুঃখ কষ্ট কি শুধু পরকালের না ইহকালেরও? নামায ইহ পরকাল উভয় স্থানেরই দুঃখ কষ্ট মোচনকারী। তবে তার কিছু শর্ত আছে। এই শর্তসমূহও বিজ্ঞান ভিত্তিক। প্রথম শর্ত অযূ সম্বন্ধে, উপরে আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয় শর্ত জায়গা পাক। কাপড় পাক ও শরীর পাক। শরীর পাক অযূ দ্বারা করা হয়েছে, এখন কাপড় পাক ও জায়গা পাক। ময়লা যুক্ত কাপড় পরে নামায পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ ময়লা কাপড়ে রোগ জীবাণু থাকে, সেই রোগ জীবাণু নামাযীর শরীরে প্রবেশ করে যেন রোগের সৃষ্টি করতে না পারে এবং যাতে জামাতের অন্যান্য মুসল্লীরাও তাতে আক্রান্ত হতে না হয়। ঠিক তেমনি ময়লাযুক্ত অপবিত্র জায়গা রোগ জীবাণু ছড়িয়ে থাকে, সেখান থেকেও নামাযী ব্যক্তি আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া একজন নামাযী যখন নামায আদায়ের জন্য জায়নামাযে দাঁড়ায়, তখন সে মহান আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্যে পৌঁছে যায়। সেই মহান দরবারে অপবিত্র অবস্থায় দাঁড়ানো বান্দার জন্য বে আদবিও বটে। তাই নামাযে দাঁড়ানোর আগে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবেই এসবের প্রতি খেয়াল রাখা একজন নামাযীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।

তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় দুই হাত কান পর্যন্ত উঠাতে হয়। যখন হাত দু’খানা কান পর্যন্ত উঠানো হয়, তখন এর দ্বারা বাযূ, গর্দান ও কাঁধের ব্যয়াম হয়। মানসিক রোগের জন্য এ ধরণের ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এর দ্বারা অর্ধাঙ্গ রোগের আশংকা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তবে তাক্বীরে তাহরীমার সময় যদি মাথা ডান, বাম বা নীচের দিকে ঝুকানো হয়, তাহলে উপরোক্ত উপকারগুলো পূর্ণরূপে অর্জিত হবে না। তাহরীমা বাঁধতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতে হয়।

বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে যে, মানব দেহে যত অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ আছে, তার মধ্যে ডান দিকের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোই বাম দিকের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ থেকে পৃথক বৈশিষ্টের অধিকারী। বিশেষ করে ডান হাত থেকে একপ্রকার অদৃশ্য অলোক-রশ্মি নির্গত হয়, যা ইতিবাচক হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে বাম হাত থেকে যে রশ্মি নির্গত হয়, তা নেতিবাচক হয়ে থাকে। ফলে ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখার কারণে ডান হাত থেকে নির্গত ইতিবাচক অদৃশ্য আলোক-রশ্মি বাম হাতে স্থানান্তরিত হয়ে এক প্রকার শক্তি উৎপাদন করে। ফলে ঐ হাত দ্বারা দৈনন্দিন বিভিন্ন ধরণের কার্যাবলী সম্পাদন করতে মানুষের ভারসাম্য রক্ষা হয়, এতে সে অস্থির ও পেরেশান হয় না।

কারণ, ডান হাত থেকে বাম হাতকে কমজুরি করে সৃষ্টি করা হয়েছে। বিজ্ঞান গবেষণা ও রিচার্স করে আরো জানতে পেরেছে, নামাযের মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় সিজদার স্থানে দৃষ্টি রাখতে হয়। এই দৃষ্টি বাম হাতের উপর স্থাপিত ডান হাতের উপর দিয়ে সিজদার স্থানে পতিত হয় বলে উক্ত দৃষ্টি ইতিবাচক তরঙ্গমালা অতিক্রম করে, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সেহেতু ডান হাতকে বাম হাতের উপর রাখার বিধান দেয়া হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

ফজরের নামায কেন দুই রাকাত করা হয়েছে? আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন গায়েবের মালিক। এবং বান্দা তার নিজের জন্য নিজে যতটুকু চিন্তা না করে, আল্লাহ্ তাআলা তাঁর বান্দার দুঃখ কষ্টের বিষয়ে অনেক বেশী চিন্তা করেন। বান্দার দুঃখ ব্যাথা বা ক্ষতি তিনি সহ্য করতে পারেন না। তাই বান্দার কষ্ট লাঘবে এই দিকে দৃষ্টি রেখে কর্ম বিধান তৈরী করেছেন। ফজরের নামায রাতের শেষে সুবহে সাদিকে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় মানুষ রাতের আরাম শেষে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের নিয়ম হলো, যে কোন ব্যায়াম করার নিমিত্তে প্রথমে খুব ধীরে ধারে অঙ্গ চালনা করতে হয় এবং পরে ধীরে ধীরে তা বাড়াতে হয়। যেহেতু নামাযও মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যায়াম। তাছাড়া সারা রাত বিশ্রামের ফলে পেট খলি হয়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল এবং যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যাঙ্গ সমূহও রাতভর কর্মহীন থাকে। এ অবস্থায় যদি ঘুম থেকে উঠার পর পরই বার বা সতের রাকআত নামায তাকে পড়তে হয়, তাহলে দৈহিক শক্তি অতি তাড়াতাড়ি লোপ পেয়ে যাবে এবং অল্প দিনের মধ্যেই সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে ও নামাযের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার আশংকা থাকে। এভাবেই আল্লাহ্ তাআলা মানুষের সাধ্যের বাইরে যায় এমন কোন ইবাদতের নির্দেশ দান করেননি। মানুষের শরীর, স্বাস্থ্য, সময় ও সাধ্যের প্রতি দৃষ্টি রেখেই তিনি ইবাদতের সময় সূচী প্রণয়ন করেছেন।

ফজরের নামাযের পর মানুষ বিভিন্ন কাজকর্মে বেরিয়ে পড়ে। তাতে ধূলোবালি শরীরে লেগে থাকে এবং রাস্তার দুষিত জীবাণুগুলো ধূলোবালির সাথে শরীরে আটকে যায়। ঐ অবস্থায় যদি কোন মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হয়ে আহারে রত হয়, তাহলে ঐ রোগ জীবাণুগুলো খাদ্যের সাথে দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে রোগের সৃষ্টি করবে। সে কারণেই ঠিক দুপুর বেলায় জোহরের নামাযের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ অযূ গোসলের মাধ্যমে শরীর পরিষ্কার করে নামায আদায়ের পর আহার করে। কারণ ঐ সময় নামাযের ব্যবস্থা না থাকলে কেউ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার উপর গুরুত্ব দিত না। এই নিয়ম পালন করে চললে মানুষ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশা’র নামাযের আগে আহার করতেন। তিনি ইরশাদ করেছেন, “উম্মতের যদি কষ্ট না হতো তাহলে ইশা’র নামায আমি বেশী রাতে পড়তে নির্দেশ দিতাম।” এর কারণ হলো, মানুষ যদি সন্ধ্যা রাতে নামায আদায় করে আহার শেষ করে শুয়ে নিদ্রা যায়, তাহলে তার আহারকৃত খাদ্য ঠিকমত হজম হবে না।

আর যদি আহারের পর কিছুক্ষণ হাটা-হাটি বা কিছু হালকা কাজকর্ম করে নামায আদায় করে নিদ্রা যায়, তাহলে হজমের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না, শরীরও সুস্থ্য থাকবে। ফলে তার দৈনন্দিন কাজ কর্মে কোন অসুবিধার সৃষ্টি হবে না। আল্লাহ্ তাআলা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাহাজ্জুদ নামায আদায় করতে তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর আবার তাহাজ্জুদ নামায কেন? তাছাড়া তাহাজ্জুদ আদায়ের গুরুত্ব এসেছে তাঁর উপর, যাঁর জীবনের আগে পরে সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান এই তাহাজ্জুদ নামায নিয়ে রিচার্স করে জানতে পেরেছে যে, তাহাজ্জুদ নামাযে ছ’টি উপকার নিহিত আছে।

১। তাহাজ্জুদ নামায অশান্তি ও অনিদ্রার মহৌষধ।
২। মানসিক রোগের জন্য তাহাজ্জুদ অব্যর্থ ঔষধ।
৩। রগে টানাপড়া রোগের জন্যও উহা পরম উপকারী।
৪। মস্তিষ্কের চিকিৎসা, বিশেষ করে পাগলদের জন্য উহা সর্বশেষ চিকিৎসা।
৫। যাদের দৃষ্টি শক্তিতে ত্রুটি আছে তাদের জন্যও তাহাজ্জুদ নামায উপকারী।
৬। তাহাজ্জুদ নামায মানব দেহে আনন্দ, উৎসাহ, কর্মস্পৃহা ও সীমাহীন শক্তি সঞ্চার করে, যা তাকে গোটা দিন হাসি খুশি ও উৎফুল্ল রাখে

নামাযে মহিলাদের সিনার উপর হাত বাঁধার হাকীকতঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণায় জানা গেছে, মহিলারা যখন নিয়্যাত করে সিনার উপর হাত বাঁধে, তখন এক প্রকার বিশুদ্ধ উত্তাপ তার দেহাভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এতে মাংস গ্রন্থিতে বাড়তি শক্তির সঞ্চার হয়, আর এখানে শিশুদের খাদ্যাপোকরণ সংরক্ষিত থাকে। এছাড়া সিনার উপর হাত বাঁধা দুগ্ধ দানকারী মায়ের দুধেও বিরাট প্রভাব সৃষ্টি করে। কেননা, এর ফলে বাচ্চাদের ভিতরে নূর সঞ্চিত হতে থাকে। যদ্বারা অভ্যন্তরে এমন একটি চিত্র অংকিত হয়, যার ফলে তার ধ্যান ধারণাও নূরানী হতে থাকে। বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে যে, মহিলারা যখন সিনার উপর হাত বাঁধে এবং আল্লাহর প্রতি মনোযোগী হয়, তখন এক প্রকার বিশেষ ধরণের আলোক রশ্মির সৃষ্টি হয়। এই রশ্মি হালকা নীল বা সাদা রং-এর হয়ে থাকে, ফলে তাতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কখনো কোন দুরারোগ্য ব্যধি তাকে আক্রমণ করতে পারে না।

এসবই আল্লাহ্ তাআলার কুদরতি হিকমত। তিনি ইসলামের প্রতিটি বিধানের মধ্যে এক একটি অলৌকিক ক্ষমতা দান করেছেন। আমেরিকার এক চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলেছেন, “মেয়েরা যদি জানত যে, নামাযে দীর্ঘ সিজদা করার কারণে চেহারা মসৃন ও লাবণ্যময় হয় এবং তাতে নূর দেখা দেয়, তাহলে তারা সিজদা থেকে মাথাই উঠাত না।”

এ কথার সত্যতা প্রমাণ পাই আমরা হাদীস শরীফে। হাদীস শরীফে আছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু, সিজদা ও মধ্য বৈঠক অনেক দীর্ঘ করতেন। বিজ্ঞানের গবেষণায় জানা যায় যে, “প্রতি সেকেন্ডে আলোর গতি ১ লক্ষ ছিয়াশি হাজার দুই শত বিরাশি মাইল। আর পৃথিবী প্রতি সেকেন্ডে আট বার ঘুরে। যখন নামাযী ব্যক্তি সিজদা অবস্থায় জমিনে মাথা রাখে, তখন তার মস্তিষ্কের ভিতরে যে রশ্মি আছে সেটি জমিনের সাথে মিশে যায়। ফলে মস্তিষ্কের গতিবেগ আলোর গতিবেগে পরিণত হয়, মস্তিষ্কের ভিতর অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা সৃষ্টিকারী চমককে জমিন শোষণ করে নেয়। ফলে নামাযী ব্যক্তি তার অজান্তেই চিন্তার প্রচন্ড চাপ থেকে মুক্তি লাভ করে।”

মুসলমানদের জন্য আল্লাহ্ তাআলা তাঁর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে যে বিধান নির্ধারণ করেছেন এবং সেই সব বিধানে মানুষের জন্য কি ধরণের মঙ্গল নিহিত আছে, তার থেকে কিঞ্চিত মাত্র পাঠকের খেদমতে পেশ করলাম তাদের জন্য, যারা ইবাদত-বন্দেগীকে শুধুমাত্র পরকালের সুখ-শান্তির জন্য করতে হয় বলে জেনে থাকেন। কিন্তু উপরোক্ত আলোচনায় জানা গেল যে, ইবাদত-বন্দেগী শুধু পারলৌকিক জীবনের সুখ-শান্তির জন্যই নয়, ইহকালীন জীবনের সর্বপ্রকার রোগ -ব্যধি ও নিয়ম-নীতির জন্যও ইবাদত মহাউপকারী প্রেসক্রিপশন। যারা নামায, রোযা করে না, পরকালের উপরও তেমন একটা আস্থা নেই, রোগ হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে হাজার হাজার টাকার ঔষুধ খেয়ে থাকেন, ডাক্তারের নির্দেশের বাইরে কিছু করেন না বা আহার করেন না। ডাক্তার যদি বলে সাত দিন বিছানায় চিতহয়ে শুয়ে থাকতে হবে, তারা তাই করবে, কাত হবে না যত কষ্টই হোক। ডাক্তারের নির্দেশ পালনে তারা কোন ত্রুটিই করে না। অথচ সকল ডাক্তারের যিনি ডাক্তার, যাঁর প্রেসক্রিপশনের ঔষুধ খেতে পয়সা লাগে না, তাঁর নির্দেশ পালন করতে তাদের কতই না অনীহা, কতইনা তাচ্ছিল্য।

যাহোক, ঐ সমস্ত ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ, সকল ডাক্তারের যিনি ডাক্তার, সকল রোগের যিনি বিশেষজ্ঞ, সেই আল্লাহ্ তাআলার দেয়া প্রেসক্রিপশন আখিরাতের জন্য নয় ইহকালের রোগ ব্যধির হাত থেকে বেঁচে সুস্থ্য সবল দেহ নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাবার জন্য একবার পরীক্ষা মূলক আল্লাহ্ তাআলার দেয়া ঔষুধগুলো যত কষ্টই হোক, খেয়ে দেখুন। পাশ্চাত্যের বড় বড় ডাক্তাররা পর্যন্ত তাদের রুগীদের উপর ইসলামের ইবাদতের নিয়ম-নীতি প্রয়োগ করে সুফল পেতে শুরু করেছে।

তাই আসুন আমরাও ডাক্তার ও ঔষুধের পিছনে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ না করে আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলের উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা রেখে আল্লাহর যাবতীয় বিধানাবলী মেনে চলি। তাহলে নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তাতে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের কল্যাণই আমাদের জন্য সুনিশ্চিত। আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন॥ [সমাপ্ত]

[ প্রথম কিস্তি পড়তে এখানে ক্লিক করুন ]

লেখকঃ প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়া, উত্তরা, ঢাকা, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-ঢাকা, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, রওজাতুস সালিহাত মহিলা মাদ্রাসা, উত্তরা, ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।