Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ ট্রাম্প-বাইডেন যেই জিতুক, মুসলমানদের তাতে লাভ-ক্ষতির কিছুই নেই

ট্রাম্প-বাইডেন যেই জিতুক, মুসলমানদের তাতে লাভ-ক্ষতির কিছুই নেই

।। মোবায়েদুর রহমান ।।

দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মনে প্রশ্ন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে কে জিতলে তাদের লাভ হবে? তারা বিশেষ করে জানতে চান, ট্রাম্প বা বাইডেন কে জিতলে মুসলমানদের লাভ হবে।

এ ব্যাপারে প্রথমেই বলতে চাই যে, বাইডেন বা ট্রাাম্প যিনিই জয়লাভ করুন না কেন, তাতে মার্কিন নাগরিকদের ভালো-মন্দের প্রশ্ন জড়িত থাকতে পারে, কিন্তু তাতে বিশ্ববাসীর বিশেষ করে মুসলমানদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। আমি কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরছি। ঘটনাগুলো পড়লেই আপনাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, সাধারণ মানুষ বিশেষ করে বিশ্ব মুসলিমদের জন্য বাইডেন এবং ট্রাম্প একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। আসলে ‘যাঁহা বাহান্ন তাঁহাই তিপ্পান্ন’।

এখানে ব্যক্তি বড় নয়, দল বড়। আরও বড় হলো তাদের মিলিটারি মেশিন। আরও পরিষ্কার হবে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যদিও প্রশাসন চালায় প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস কিন্তু যুদ্ধবিগ্রহ বা বিদেশে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর সুপারিশ করে মূলত প্রতিরক্ষা হেডকোয়ার্টার পেন্টাগন এবং প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। অবশ্য সিআইএ বা পেন্টাগনের সুপারিশ প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস অনুমোদন অথবা গ্রহণ করলেই সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়।

অনেকেই মনে করেন যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রবল ক্ষমতাশালী। তিনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন সেটাই কার্যকর হবে। কথাটি আংশিক সত্য। প্রেসিডেন্টের বিপুল ক্ষমতা থাকলেও কতগুলো স্পর্শকাতর এবং অতীব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কংগ্রেস যদি বাগড়া দেয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট সেখানে কিছু করতে পারেন না। অবশ্য সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। এখন আমরা ওইসব ঘটনাবলি নিচে বর্ণনা করছি।

(১) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালে এবং শেষ হয়েছিল ১৯১৮ সালে। একজন যুবরাজ অর্থাৎ অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্ক ডিউক ফার্ডিনান্ডের হত্যাকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় যুদ্ধ। যুদ্ধে ৯০ লাখ সামরিক সদস্য এবং ৭০ লাখ বেসামরিক নাগরিক, অর্থাৎ মোট ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। আমেরিকা এই যুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষাবলম্বন করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন উড্রো উইলসন। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট।

(২) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৩৯ সালে এবং শেষ হয় ১৯৪৫ সালে। অর্থাৎ ৬ বছর এই যুদ্ধ চলে। ১৯৪৫ সালের মে মাসে হিটলারের নাৎসি বাহিনী মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে।

(৩) অ্যাটম বোমার আক্রমণ: জাপান আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে। তখন জাপানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট আমেরিকা জাপানের হিরোসিমা শহরের ওপর অ্যাটম বোমার আঘাত হানে। এর তিন দিন পর জাপানের আরেকটি শহর নাগাশাকির ওপর আমেরিকা আর একটি অ্যাটম বোমা বর্ষণ করে। দুটি অ্যাটম বোমা বর্ষণের পর জাপান মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। তখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয়। শুধুমাত্র অ্যাটম বোমা হামলার কারণে এই দুটি শহরে ১ লাখ ৪৬ হাজার ব্যক্তি নিহত হয়।

আরও পড়তে পারেন-

(৪) কোরিও যুদ্ধ: কোরিও যুদ্ধের কথা সবাই জানেন। ১৯৪৫ সালে রাশিয়া কোরিয়া আক্রমণ করে এবং দেশটিকে জাপানের দখলমুক্ত করে। রাশিয়ার এই হামলাটি পরিচালিত হয় কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলে। রুশ হামলার জবাব দেয়ার জন্য আমেরিকাও পাল্টা সামরিক হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে। যখন কোরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ হয়, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন হ্যারি এস ট্রুম্যান। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট। কোরিও যুদ্ধের সময় বিশ্ব রাজনীতিতে মেরুকরণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই যুদ্ধকালেই শেষ পর্যন্ত কোরিয়া দুই ভাগে বিভক্ত হয়। একটি উত্তর কোরিয়া আর একটি দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ায় রয়েছে কমিউনিস্ট সরকার। পক্ষান্তরে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার হলো মার্কিনপন্থি। এই যুুদ্ধে নিহতের সংখ্যা, দক্ষিণ কোরিয়ার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৪০৫ এবং উত্তর কোরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৩ ব্যক্তি। মোট নিহত হয় ৫,৪৫,৬৮৮ জন।

(৫) ইসরাইল: মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্যও আমেরিকা সম্পূর্ণভাবে দায়ী। অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি রাষ্ট্র সৃষ্টি করে মধ্যপ্রাচ্যে বিষ ফোঁড়ার মতো চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বিষ ফোঁড়াটির নাম ইসরাইল। ইসরাইলকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে একটি শক্তিশালী দানব বানানো হয়েছে। এই দানবটি মার্কিন মদদে পুষ্ট হয়ে ১৯৬৭ সালে মিশর, সিরিয়া এবং জর্ডানের বেশকিছু ভূখন্ড দখল করে। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিন্ডন বি জনসন। তিনি ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারপর অর্ধ শতাব্দী অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কিছু ভূখন্ড ছেড়ে দিলেও আজও হানাদার হিসেবে মুসলিম জাহানে বিরাজ করছে এই ইহুদি শক্তি। গাজাসহ অন্যান্য অধিকৃত অঞ্চলে ইসরাইলি নৃশংসতা ও নির্যাতনের কথা প্রায়ই পত্রিকার পাতায় আসে। আর ইসরাইলের ওই জালিম শাহিকে টিকিয়ে রেখেছে আমেরিকা। ইসরাইলে এক অদ্ভুত সমন্বয় ঘটেছে খ্রিস্টান আমেরিকা ও ইহুদি ইসরাইলের।

(৬) কিউবায় মার্কিন হামলা: ১৯৬১-৬২ সালে পিগ উপসাগরে কিউবার সাথে আমেরিকার যে সংঘর্ষ হয় সেটিকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধার উপক্রম হয়েছিল। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি। তিনিও ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয়।

(৭) ভিয়েতনাম যুদ্ধ: ১৯৬৩-৬৯ এই সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের উপলক্ষ ছিল টংকিন উপসাগরে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ারের ওপর উত্তর ভিয়েতনামের কথিত রকেট হামলা। পরবর্তীকালে প্রমাণিত হয়েছে যে, উত্তর ভিয়েতনাম এ ধরনের কোনো আক্রমণই করেনি। মিথ্যা হামলার অজুহাতে আমেরিকা ১০ বছর ধরে ভিয়েতনামে বি-৫২ বোমারু বিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ১৯৬৩-৬৯ পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন লিন্ডন বি জনসন। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয়।

(৮) ইরাকে সামরিক অভিযান: যে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অজুহাতে ভিয়েতনামে আক্রমণ চালিয়েছিল আমেরিকা, সেই একই রকম ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগে আমেরিকা সামরিক ২০০৩ সালে অভিযান চালায় ইরাকের বিরুদ্ধে এবং দেশটি দখল করে। ইরাক যুদ্ধের ফলে ১০ লাখ ইরাকি নর-নারী ও শিশু নিহত হয়। অভিযোগ তোলা হয় যে, ইরাকের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে, ইরাকের কাছে একটিও গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছিল না। মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ইরাক দখল করা হয় এবং আজও ইরাকের পবিত্র ভূমিতে মার্কিন সৈন্য অবস্থান করছে। ইরাক দখলের হুকুম দেন রিপাবলিকান দলীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ। একই ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মার্কিন ইঙ্গিতে ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো হয় প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে।

(৯) আফগানিস্তান দখল: জর্জ বুশের হুকুমেই মার্কিন বাহিনী ২০০১ সালে সামরিক অভিযান চালায় আফগানিস্তানের ওপর এবং দেশটি দখল করে নেয়। আফগানদের অপরাধ ছিল, তারা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠা করেছিল। ২০০৮ সালে ডেমোক্রেট দল থেকে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওয়াদা করেছিলেন যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। তারপর ১২ বছর হতে চলল, মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং তালেবান নেতা ওসামা বিন লাদেনকে বারাক ওবামার নির্দেশে পাকিস্তান থেকে ধরে নিয়ে আরব সাগরের ফেনীল জলরাশিতে নিক্ষেপ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ওবামার এই নৃশংস কাজে প্রত্যক্ষ সহায়তা দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তিনি তখন আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

(১০) কর্নেল গাদ্দাফিকে হত্যা: লিবিয়ায় মার্কিন ইঙ্গিতে সামরিক অভিযান চালায় ন্যাটো বাহিনী। লিবিয়াকে পদানত করে হিলারি ক্লিনটনের প্রত্যক্ষ উদ্যোগে হত্যা করা হয় লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফিকে।

(১১) সিরিয়ায় রকি স্রােত: আজ সিরিয়ায় যে রক্ত স্রােত বইছে তারও মূল হোতা হলো ডেমোক্রেট দলীয় প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। এই রক্তপাত শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। তাদের দু’জনের নৃশংস অভিযানের ফলে ৩ কোটি অধিবাসী অধ্যুষিত সিরিয়ার ৫০ লাখ মানুষ আজ গৃহহারা, ৫ লাখ মানুষ নিহত, আরো ৫০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হওয়ার আশঙ্কায়।

[ দুই ]

এসব ঘটনাবলি ছাড়াও আমেরিকা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনে অনুঘটকের ভূমিকা গ্রহণ করে। সেসব ঘটনাবলির একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করছি।

(১) ১৯৪৯ সালে সিরিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান। (২) ১৯৫৩ সালে ইরানে সামরিক অভ্যুত্থান। (৩) ১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালায় সামরিক অভ্যুত্থান। (৪) ১৯৬০ সালে কংগোতে সামরিক অভ্যুত্থান। (৫) ১৯৬৩ সালে ভিয়েতনামে সামরিক অভ্যুত্থান। (৬) ১৯৬৪ সালে বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান। (৭) ১৯৬৪ সালে ব্রাজিলে সামরিক অভ্যুত্থান। (৮) ১৯৬৬ সালে ঘানায় সামরিক অভ্যুত্থান। (৯) ১৯৭১ সালে বলিভিয়াতে পুনরায় সামরিক অভ্যুত্থান। (১০) ১৯৭৩ সালে চিলিতে সামরিক অভ্যুত্থান। (১১) ১৯৮০ সালে তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান। (১২) ২০১১ সালে লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের নেপথ্য নায়ক। (১৩) ১৯৪৯-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত আলবেনিয়ায় কমিউনিস্ট সরকারকে উৎখাতের জন্য ব্রিটিশ ও মার্কিন গোয়েন্দাদের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা। এই তৎপরতা ব্যর্থ হয়। (১৪) গণচীনের বিরুদ্ধে তিব্বতের ধর্মগুরু দালাইলামাকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সিআইএ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে গোয়েন্দা তথ্য, প্রচার-প্রচারণা এবং আধা সামরিক বাহিনী গঠনে সাহায্য করার মাধ্যমে আমেরিকা ধ্বংসাত্মক তৎপরতা চালায়। ১৯৭২ সালে এই ধ্বংসাত্মক তৎপরতা বন্ধ করা হয়।

বিশ্বের মুসলমানদের জন্য আমেরিকা স্বাভাবিক মিত্র নয়। রিপাবলিকান হোক বা ডেমোক্রেটই হোক, সকলের মধ্যেই কমবেশি মুসলিম বিদ্বেষ আছে। হয়তো ভীতিও আছে। আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে তাই খুব ইন্টারেস্টেড নই। ২০০৮ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় আমি নিউইয়র্ক ছিলাম। স্বচক্ষে দেখেছি তাদের নির্বাচন। অবশ্য ২০১২ সালের মার্কিন নির্বাচন সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানি না। কারণ তখন আমি পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য পুণ্যভূমি মক্কা মোয়াজ্জেমা এবং মদিনা মনওয়ারাতে ছিলাম। তবে এবার দেখে-শুনে আমার মনে হচ্ছে, বিজয়ের বরমাল্য জো বাইডেনের গলাতেই পড়বে।

– মোবায়েদুর রহমান, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ই-মেইল- journalist15@gmail.com

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।