Home ইতিহাস ও জীবনী ‘আল্লামা কাসেমী (রাহ.) ছিলেন সমকালীন সময়ে হক্ব ও হক্কানিয়্যাতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতীক’

‘আল্লামা কাসেমী (রাহ.) ছিলেন সমকালীন সময়ে হক্ব ও হক্কানিয়্যাতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতীক’

।। আল্লামা মামুনুল হক ।।

[রাজধানীর অন্যতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া মাদানিয়া বারিধারায় শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাহবারে মিল্লাত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহ.)এর জীবন ও চিন্তাধারা শীর্ষক দিনব্যাপী এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশবরেণ্য বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম হযরতকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা সভার শেষ অধিবেশন বাদ মাগরীব সমকালীন সময়ে ইসলামী অঙ্গনের তারুণ্যদ্দীপ্ত আলোকিত মুখ শায়খুল হাদীস ইবনে শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক (হাফি.) আল্লামা কাসেমী (রাহ.)এর উপর স্মৃতিচারণমূলক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিষয়বস্তুর গুরুত্ব ও সময়োপযোগীতা বিবেচনা করে তাঁর বক্তব্যটির হুবহু অনুলিপি নিম্নে পত্রস্থ করা হল। – সম্পাদক]

“আমি অনেকটা অন্তর্মুখী একজন মানুষ। এমনিতে মঞ্চে-মাইকের সামনে অনেক কথা বলি, কিন্তু ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় খুব বেশি মিশুক মানুষ আমি না। কথা খুব বেশি বলি না। এজন্য হযরত ক্বাসেমী সাহেব হুজুর (রাহ.)এর সাথে দূর থেকে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা থাকলেও কখনোই কাছাকাছি আসার সুযোগ ইতিপূর্বে খুব একটা হয়নি। হুজুরের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হলো কাজের মাধ্যমে, কাজের ময়দানে। কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশের ইসলাম এবং মাদ্রাসা শিক্ষার ঐতিহাসিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, কিছু টার্নিং পয়েন্ট নিকট অতীতে আমরা অতিক্রম করে এসেছি। সেই জায়গাগুলোতে হুজুরের সাথে আমার অবস্থান এবং আমার বক্তব্য এক ও অভিন্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।

মনে পড়ছে হযরত ওমর ফারুক (রাযি.)এর সম্পর্কে সেই কথা, “আল্লাহ পাক রাব্বুল ‘আলামীন শরিয়তে যেই বিধান দিবেন, ওহী নাযিল হওয়ার আগেই হযরত ওমর ফারুক (রাযি.)এর হৃদয়ে সেই কথার উদ্ভব ঘটেছে।” এজন্য হযরত ওমর (রাযি.)কে “মুহদাছু হাজিহী উম্মাহ” বলা হয়। তো হযরত ক্বাসেমী সাহেব হুজুরের সাথে আমার এরকম মুআফাকাত ছিলো; এটা হলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় একটা অর্জন।

যখন ক্বওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি ইস্যু, যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু ছিলো। স্বীকৃতি চাই না একথা বলারও সুযোগ ছিলো না। আবার আমরা লক্ষ্য করছিলাম যে, স্বীকৃতির নামে ক্বওমী মাদ্রাসাগুলোর গলায় গোলামির মতো নিয়ন্ত্রণের একটি শৃঙ্খল পরাবার আয়োজনও চলছিলো। আর এর চেয়েও বড় মারাত্মক বিষয় ছিলো যে, সেই শৃঙ্খল সানন্দে- হাসিমুখে গ্রহণ করার জন্য, নিজেদের গলায় পরে নেওয়ার জন্য আমাদের মধ্য থেকেই কিছু অপরিণামদর্শী ভাইয়েরা আগ্রসর হয়ে যাচ্ছিলেন। বাইরের শত্রু চাচ্ছে শৃঙ্খল পরাতে; আর আমরাও সেই শৃঙ্খলকে গলার মালা মনে করে পরে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।

এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসাগুলোর আগামীর ভবিষ্যতকে শংকামুক্ত রাখা ছিলো খুব বড় ধরনের এক চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আল্লাহপাক রাব্বুল ‘আলামীনের শোকর আদায় করি যে, ঐসময় আল্লাহপাক রাব্বুল ‘আলামীন আমার আক্বীদা ও বিশ্বাস অনুযায়ী আমাকে এবং আমাদেরকে হক্ব এবং হক্কানিয়্যাতের পথে বলিষ্ঠভাবে শুধু থাকার নয়, বরং বলিষ্ঠভাবে কথা বলার তৌফিকও দান করেছিলেন।

শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহ.)কে সামনে রেখে আরজাবাদ মাদ্রাসার সেই সম্মেলন থেকে এবং তার পূর্বাপর যেই ভূমিকা পালন করা হয়েছিলো, শৃঙ্খল পরানোর সাজানো সেই নাটক ভেস্তে গেছে, আলহামদুল্লিাহ।

সেই সময় ঐ কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্য দিয়ে আমি সর্বপ্রথম আল্লামা ক্বাসেমী (রাহ.)এর ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ পেয়েছি এবং আমি অকপটে এই কথা বলি যে, এই কঠিন একটা বিষয়ে রাষ্ট্র ও সরকার যন্ত্রের চাওয়া-পাওয়ার বিপরীতে কওমি মাদ্রাসাগুলোর আগামী দিনের অস্তিত্বকে সুসংরক্ষিত রাখার জন্য এক ধরনের ঝুঁকি নিয়ে বড় বড় শক্তির বিপক্ষে আমাদের সবাইকে ময়দানে অবতীর্ণ হতে হয়েছিলো যুদ্ধের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ! আমি সেই যুদ্ধের একজন সৈনিক। আর আল্লামা ক্বাসেমী (রাহ.) ছিলেন আমাদের প্রধান সেনাপতি। আল্লামা ক্বাসেমী (রাহ.)এর সাথে সেই সময় থেকেই যুক্ত হলাম।

আসলে আমরা দুই নদীর দুই মোহনায় ছিলাম। শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক্ব (রাহ.)এর সন্তান হিসেবে আমাদের গতি ছিলো একদিকে; আর হযরত ক্বাসেমী (রাহ.)এর কাজের গতি ছিলো আরেক দিকে। উম্মাহ’র বৃহত্তর কাজে আমরা এক জায়গায় আসতাম। কিন্তু ক্বওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে সেই যে হুজুরের ইক্তিদা শুরু করলাম, আলহামদুলিল্লাহ! হুজুরের মৃত্যুর মুহূর্ত পর্যন্ত সেই ইক্তিদা বহাল রাখার তৌফিক আল্লাহপাক আমাকে দান করেছেন। সেই সময়টাতেই আমি অনুভব করেছি, আল্লামা ক্বাসেমী (রাহ.) তৎকালীন বাংলাদেশের মাটিতে হক্ব ও হক্কানিয়্যাতের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতীক ছিলেন। এটা আমি তীব্রভাবে অনুভব করেছি।

আরও পড়তে পারেন-

উম্মাহ’র মাঝে কে হক্ব আর কে বাতেল; কে কিছুটা আপোষকামী আর কে আপোষহীন- এ বিষয়গুলো তারতম্য করা কিছুটা কঠিন। ময়দানে অনেকের রণহুঙ্কার শুনি। এমন হুঙ্কার যে, মনে হয় গোটা দেশ এক করে ফেলবে। কিন্তু খবর নিতে গিয়ে দেখি যে, রাতের অন্ধকারে সবচেয়ে বড় আপোষকামী তিনি। এটা হলো সেই যুগ, যে যুগে কে আপোষহীন আর কে আপোষকামী এটা তারতম্য করা বেশ কঠিন। অথচ আল্লামা ক্বাসেমী (রাহ.) আপোষহীনতার ব্যাপারে প্রতিটি জায়গা থেকে একই আওয়াজ, “আপনারা সবকিছু করতে পারেন, কিন্তু বারিধারা যাবেন না। সব করুন, সমস্যা নাই। কিন্তু ক্বাসেমী সাহেবের কাছে যাবেন না। তাহলে আপনাদের ব্যাপারে আর কোনো আপত্তি থাকবে না”; তখনই বুঝলাম যে, এই যে অচল একজন মানুষ, হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারে না। এই মানুষটাকে বাতেল- ইসলাম বিরোধী অপশক্তি ও ইসলামের বিরুদ্ধে অন্তরায় যারা, তারা যেহেতু উনাকেই প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে; তখন আমার দিল স্বাক্ষী দিয়েছে যে, উনিই হলেন বর্তমানে হক্বের সবচেয়ে বড় বার্তাবাহী।

আলহামদুলিল্লাহ! বারিধারা মাদ্রাসায় দাঁড়িয়ে আছি। বর্তমান বাজার মূল্যে এই সেক্টরটার দাম হবে কমপক্ষে একশ কোটি টাকা। এই মাদ্রাসা হুজুরের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার অনেক আশঙ্কা হুজুরের সামনে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে হুজুরের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। আমরা উদ্বিগ্ন! যে, বারিধারা যদি হুজুরের হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে না জানি কি হবে? অথচ হুজুরের কাছে যখন আমরা এসে এ ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেছি, মনে হলো নাকের উপর মাছি বসলে যেমন হাত দিয়ে উঁড়িয়ে দেয়া হয়, হুজুরও তেমনি ব্যাপারটা নিয়ে তেমন চিন্তিত হলেন না। বরং হুজুর বললেন, আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে হক্ব কথা বলতে গিয়ে আর হক্ব পথে থাকতে গিয়ে বারিধারা কেন, এর চেয়ে শত নয়, বরং হাজার কোটি টাকার সম্পদও যদি হাতছাড়া হয়, তবুও ইনশাআল্লাহ এই নূর হোসাইন ক্বাসেমী বাতেলের সাথে আপোষ করতে প্রস্তুত নয়।

আমি উনার হক্কানিয়্যাত উনার কাছে গিয়ে বুঝি নাই, বরং উনার শত্রুর দুয়ারে গিয়ে বুঝেছি। বাতেলের কাছ থেকে বুঝেছি যে, এই সময়ে হক্বের ঝান্ডা আল্লামা ক্বাসেমীর হাতে।

সংক্ষেপে আর তিনটি কথা বলে আমি আমার এই আলোচনা শেষ করছি।

হজুর (রাহ.) তো আলহামদুলিল্লাহ! আপাদমস্তক একজন ইলমি মানুষ ছিলেন। ইলমি জওকের মানুষ ছিলেন। আর পুরোটা জীবন ইলমি মেহনত করে গিয়েছেন। তো হযরতের কাছ থেকে তিনটি মূলনীতি আমি আমার জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করেছি। আশাকরি সবার জন্যই এই কথাগুলো কাজে লাগবে।

প্রথম কথা যা হুজুর বারংবার বলতেন যে, এখন যদি আমরা রাজনীতির ময়দানে নিজেদেরকে সুসংহত করতে না পারি, তাহলে আগামী দিনে আমাদের মাদ্রাসাগুলো আর নিরাপদ থাকবে না। রাজনীতি করা নিয়ে তিনি বলতেন, “এটা হলো আমাদের সমস্ত দ্বীনি কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার পাহারাদারি। তাই রাজনীতির ময়দানে যদি আমাদের অংশগ্রহণ যথাযথ হয়, তাহলে আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে সঠিকভাবে ইলম শিক্ষার ধারা চলমান থাকবে। আমাদের রাজনৈতিক শক্তি যদি মজবুত থাকে, তাহলে আমাদের দাওয়াত ও তাবলীগ সঠিক মানহাজের উপর চলবে। আমাদের রাজনৈতিক শক্তি যদি সংহত থাকে, তাহলে আমাদের খানকাগুলো জারি থাকবে। আর রাজনৈতিক ময়দানে যদি আমরা শক্তিহীন হয়ে যাই, তাহলে আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে বাতেলের পাঠ্যসূচী পড়ানো হবে; আমাদের দ্বীনের সহীহ দাওয়াত থাকবে না। তখন দাওয়াতের মাধ্যমে বরং ফেতনা ছড়াবে। রাজনৈতিক ময়দানে আমাদের শক্তি যদি খর্ব হয়ে যায় তাহলে আমাদের খানকাগুলো বিদ‘আতের আখড়ায় পরিণত হবে।” আর এটাই ছিলো হুজুরের রাজনৈতিক দর্শন। কোনো ক্ষমতা দখলের জন্য হুজুর রাজনীতি করেননি। বরং তিনি রাজনীতি করেছেন আল্লাহর দ্বীনের পাহারাদারী করার জন্য। সেই আদর্শে আমরাও রাজনীতি করি; ক্ষমতার হালুয়া-রুটি ভাগ-বটোয়ারা করবার জন্য নয়, বরং আল্লাহর দ্বীনের পাহারাদারী করার জন্য। কেননা আমরা তো হলাম আল্লাহর দ্বীনের পাহারাদার। আর গেটের পাহারাদার যদি সজাগ থাকে, তাহলে প্রতিষ্ঠান নিরাপদ থাকে। কিন্তু পাহারাদার যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তাহলে সবকিছু চুরি হয়ে গেলেও কারো কোনো খোঁজ থাকবে না। তাই বর্তমানে রাজনীতি করা হলো গোটা দ্বীনের পাহারাদারী করা।

বারিধারা মাদ্রাসায় যে কতোবার এসেছি, তার হিসেব নেই। গত কয়েক মাসেই শতবারের বেশি হয়তো এসেছি। হুজুরের কাছে বিভিন্ন বিষয়ের পেরেশানি ব্যক্ত করতাম। আর বলতাম, “হুজুর, সমস্যার সমাধান কোথায়? তো এরই ভিত্তিতে দ্বিতীয় নাম্বার কথা, যা হুজুর বলতেন; সমাধান এক জায়গাতেই আছে। দুইটা ভাগ করুন; ফেদায়ী এক গ্রুপ আর হালুওয়ায়ী এক গ্রুপ। ক্ষমতার হালুয়া-রুটি যারা খায় তাদেরকে ত্যাগ করুন। আর যারা দ্বীনের জন্য রক্ত ও জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন, তাদেরকে নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে পথ চলুন। কেননা ফেদায়ী আর হালুওয়ায়ী কখনো এক হতে পারে না। আর এই ফেদায়ী গ্রুপ সংখ্যায় নগণ্য হতে পারে, কিন্তু তাদেরকে দিয়েই ইনশাআল্লাহ হক্বের ঝাণ্ডা সমুন্নত হবে। ইনশাআল্লাহ! আজ ক্বাসেমী (রাহ.)এর আদর্শের অনুসারীরা এই শপথ’ই নিবেন যে, জীবন যেতে পারে, তবুও দ্বীনের প্রশ্নে কখনোই হালুওয়ায়ী গ্রুপে নাম লেখাবো না। জীবন দিবো, তবুও আজীবন ফেদায়ী গ্রুপে থাকবো, ইনশাআল্লাহ।

তৃতীয় ও শেষ কথা; কোনো বিষয়ে হয়তো আমাদের সবার মাঝে কিছু মতপার্থক্য দেখা দিতো। আমরা হয়তো বলতাম যে, এতো বেশি ছাড় দিলে চলবে না। তখন এই সমস্ত ক্ষেত্রে হুজুর একটি হাসি দিয়ে বলতেন যে, মাওলানা! আপনারা সবর করেন। কেননা যতদিন কোনো মুরুব্বি আছেন, ততদিন আমাদেরকে মুরুব্বিদের কথাই মানতে হবে।” আমরা ধৈর্য্য ধরতাম। আর সেই সাথে হুজুর এটাও বলতেন যে, “বড়দের উল্টো বিষয়টাও সঠিক।”

“বড়দের উল্টো বিষয়টাও সঠিক”- শুধু এই এক কথা বলেই কতো অসংখ্য উত্তপ্ত মজলিস যে হুজুর শান্ত করে দিয়েছেন, তা বলা বাহুল্য।

আল্লাহপাক রাব্বুল ‘আলামীন হুজুরের দেখানো পথে আমাদেরকে আমরণ চলবার তৌফিক দান করেন এবং হুজুরের কবরকে আল্লাহপাক যেনো জান্নাতুল ফিরদাউসের বাগানে পরিণত করেন। আমীন।”

– আল্লামা মামুনুল হক, শায়খুল হাদীস- জামেয়া রহমানিয়া মুহাম্মদপুর-ঢাকা, মহাসচিব- বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এবং যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

অনুলিখনে- এইচ এম নূরুল ইসলাম মুন্সী, শিক্ষার্থী- জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা-ঢাকা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।