Home ইতিহাস ও জীবনী প্রাচীনতম মসজিদ: ১২০০ বছরের পুরনো ইতিহাস খুঁজে বের করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রাচীনতম মসজিদ: ১২০০ বছরের পুরনো ইতিহাস খুঁজে বের করলেন বিজ্ঞানীরা

১২০০ বছরের প্রাচীনতম মসজিদ ও সেটির ইতিহাসের সন্ধান পাওয়া গেল ইজরায়েলের নেগেভ মরুভূমিতে। ঐতিহাসিকদের মতে, এটি সত্যিই প্রাচীনতম মসজিদ। ইতিহাস ও পবিত্র কুরআন-এর পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে আমাদের সুপ্রাচীন ধর্মের কথা।

আমাদের প্রিয় নবী রাসুল(সাঃ) তাঁর ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াত লাভ করেন। জিবরাইল ফেরেশতার কাছ থেকে হেরা পর্বতের গুহায় তিনি ইসলামের প্রথম শিক্ষা পান। তারপর, ৬১০ অব্দে তিনি আল্লাহর কথা মতো ওহী প্রচার করতে শুরু করেন।

অর্থাৎ বলা যায়, ইসলাম প্রায় ১০০০ বছরেরও বেশি পুরনো ধর্ম। আর এখন, এই প্রাচীনতম মসজিদ আবিষ্কার হওয়ার পর সহজেই প্রমাণিত হয় ইসলামের প্রাচীনত্ব।

আরও পড়তে পারেন-

প্রাচীনতম মসজিদ আবিষ্কার

ইজরায়েলের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের খনন কার্যের ফলেই এই মসজিদ আবিষ্কৃত হয়েছে। খননকার্যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন ডক্টর জন সেলিগম্যান ও শাহর জুর।

তাঁদের মতে, এ এক অত্যাশ্চর্য আবিষ্কার। সম্ভবত এই মসজিদটি অষ্টম বা সপ্তম শতকে তৈরি। নেগেভ মরুভূমিত বীর শেভা শহরের উত্তরাঞ্চলের বুক থেকে এটিকে খোদাই করে বের করা হয়েছে।

“এই সময় মক্কা ও জেরুজালেমে তৈরি হওয়া সুবিশাল মসজিদের কথা জানা যায়। কিন্তু বীর শেভার এই মসজিদ সম্ভবত গ্রামের শান্তিপূর্ণ সাধারণ মানুষদের জন্য নিরিবিলিতে বানানো হয়েছিল।” জানালেন শাহর।

বীর শেভা শহরের রাহাত অঞ্চলে আদতে অন্য কারণে খনন কার্য চালিয়েছিলেন এই দুই প্রত্মতত্ত্ববিদ, কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছেয় তাঁদের চোখে পড়ে এক মেঝের অংশ। কৌতূহলী হয়ে আরেকটু খনন করতেই আবিষ্কৃত হয় এই মসজিদ।

“বর্তমানে আমরা ইজরায়েল বলতে যা বুঝি, সেই অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম পা রাখে ৬৩৬ অব্দে আরবদের হাত ধরে। এই মসজিদ তখনকারই। এই আবিষ্কার আমাদের গবেষণায় প্রভূত সাহায্য করবে।” সেলিগম্যানের বক্তব্য।

মসজিদ ছাড়াও এই অঞ্চলে পাওয়া গিয়েছে বাইজান্টাইন সময়কালের একটি কৃষি খামার। ধরে নেওয়া হচ্ছে আরবদের জনপদ ছিল এটি। অবশ্য, স্থানীয় মুসলমানদের জনপদ হওয়াও কিছু অস্বাভাবিক নয়।

মসজিদের গঠন

প্রত্মতত্ত্ববিদদের মতে, এটি মূলত একটি চতুর্দিক খোলা মসজিদ। মসজিদে একটি নিখুঁত মিহরাব রয়েছে যা মক্কার দিকে স্থাপিত। মসজিদের আকার একটি একতলা বাড়ির মত। যদিও বেশিরভাগ অংশই এখনও বালির নীচে। তাও প্রাচীনতম মসজিদ ও তার ছিমছাম গঠন দিব্যি বোঝা যায়। মসজিদ আবিষ্কারের খবর পেয়ে স্থানীয় বেদুয়িনরাও মহা উৎসাহে খনন কার্যে হাত মিলিয়েছিল।

” প্রাচীনতম মসজিদ ও তার গঠন দেখে আমাদের ধারণা নিরিবিলিতে প্রার্থনা করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।” শাহর অকপট ভাবে জানালেন। সেলিগম্যানও সম্মতি দিলেন তাতে।

উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।