Home ইসলাম সন্দেহবশত কারো সম্মানহানি করা গর্হিত অপরাধ

সন্দেহবশত কারো সম্মানহানি করা গর্হিত অপরাধ

মানুষকে অহেতুক সন্দেহ করা নিন্দনীয় কাজ। পবিত্র কোরআনের অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাকো। নিশ্চয় কোনো কোনো অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান কোরো না এবং একে অপরের গিবত কোরো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই করে থাকো। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১২)

তাই অনুমান করে কাউকে আঘাত করা, তার মান-সম্মান নিলামে তুলে দেওয়া কোনো মুসলমানের কাজ হতে পারে না। চিলে কান নিয়েছে শুনে চিলের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়া ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের শিক্ষা হলো, কোনো খবর এলে তা যাচাই করে প্রকাশ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সব শোনা কথা প্রচার ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ,  হাদিস : ৪৯৯২)

আরও পড়তে পারেন-

এখন প্রযুক্তির অসদ্ব্যবহার করে কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য তার বিপক্ষে অনেক দলিল-প্রমাণ বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। মানুষের ভয়েস স্যাম্পল নিয়ে ভয়েস ক্লোনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে হুবহু তার কণ্ঠস্বর নকল করে যেকোনো কল রেকর্ড বানানো খুব কঠিন কাজ নয়। নিখুঁত ছবি-ভিডিও এডিটিং তো এখন ছেলের হাতের মোয়ার পর্যায়ে চলে এসেছে। বিভিন্ন ইউটিউবারকে দেখা যায়, বিভিন্ন সিনেমার ভিডিওকে এডিট করে নায়কের জায়গায় নিজেকে প্রস্থাপন করে অনলাইনে ভিডিও ছড়াতে। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে কোনো ছবি, অডিও ক্লিপ বা ভিডিও ক্লিপ পেলেই তা নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের কাছে যদি কোনো ফাসেক ব্যক্তি কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করো। অজ্ঞতাবশত কোনো গোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আগেই, (না হলে) তোমরা কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।’ (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ৬)

তাই আসুন, আমরা সচেতন হই। অনর্থক কাজে আত্মনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকি। হতে পারে, আমাদের একটি ভুল উদ্যোগের কারণে কোনো নিরপরাধ মানুষের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এর দায় আমাদেরই নিতে হবে। এ কারণেই মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা সৎ-চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয়, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) আছে মহাশাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৩)। অতএব কিছু ঠুনকো যুক্তির ওপর ভিত্তি করে কারো সম্মানহানির জন্য আদাজল খেয়ে নেমে পড়ার আগে আরেকবার চিন্তা করা উচিত।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।