Home ইসলাম সন্তানহারা বাবা-মা যেসব সম্মাননা পাবেন

সন্তানহারা বাবা-মা যেসব সম্মাননা পাবেন

মুফতি হামেদ বিন ফরিদ: আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সম্মান দিয়েছেন। আর মানব সমাজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে বিয়ের মাধ্যমে সন্তান প্রজননের ব্যবস্থাও করেছেন। বিয়ের মাধ্যমে একজন পুরুষ ও নারী প্রাত্যহিক জীবনে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। জীবন যুদ্ধে সুখ- দুঃখ, হাসি-কান্না ও আনন্দ-বেদনায় উভয়ে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে। পরিবারের নতুন সদস্যের আগমনের মাধ্যমে উভয়ের বন্ধন আরো গভীর হয়।

সন্তান জীবনের সৌন্দর্য্য : আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তান বাবা-মায়ের জন্য বিশেষ অনুগ্রহ। একজন পুরুষ ও নারী মধ্যে বাবা-মায়ের দায়িত্ববোধ তৈরি করে। গাছ-গাছালির যেমন ফলমূল থাকে; সন্তান তেমনি মানবজীবনের ফল-ফসল ও সৌন্দর্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত : ৪৬) 

আল্লাহর ইচ্ছায় সন্তান লাভ : নিজের শক্তি-বলে মানুষের সন্তান লাভের সামর্থ্য নেই। বরং মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যাকে ইচ্ছা তাকে সন্তান দান করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দেন, যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দেন। অথবা তাদেরকে পুত্র ও কন্যা সন্তান উভয়ই দেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করেন, তিনি তো সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান। (সুরা শুরা, আয়াত : ৪৯-৫০)

সন্তানের মৃত্যুতে সওয়াবের প্রত্যাশা : আবার কাউকে সন্তান দিয়ে কিছুদিন পরই ফিরিয়ে নেন। সবই মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন। শত কষ্টের পর আশার বাতি হয়ে আসা সন্তানের কিছুদিনের মধ্যে চলে যাওয়া একজন বাবা-মায়ের জন্য সীমাহীন কষ্টের বিষয়। কিন্তু আল্লাহর সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হওয়া একজন মুমিনের পরিচয় নয়। বরং যেকোনো বিপদে-সংকটময় মুহূর্তে ধৈর্য ধারণ করা অতীব জরুরি। তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে ও ধৈর্য্য ধারণ করে, আল্লাহ অবশ্যই সৎকর্মশীলদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না’।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত : ৯০)

মুমিনের সুখ-দুঃখে কল্যাণ : রাসুল (সা.)-এর মুমিনের অবস্থার বর্ণনায় বলেন, মুমিনের বিষয় খুবই বিস্ময়কর। তাঁর সব কাজই কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করে না। সুখ-শান্তির পরিস্থিতিতে মুমিন কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এবং দু:খ-কষ্টের সময় ধৈর্য্য ধারণ করে। উভয় পরিস্থিতিই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ৭৩৯০)

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘মুমিনের উপমা ক্ষেতের শস্যের মতো; যা সব সময় বাতাসে আন্দোলিত হয়। আর মুমিন সব সময় নানা বিপদে আক্রান্ত হয়। পক্ষান্তরে মুনাফিক  ব্যক্তি বট গাছের মতো। তা বাতাসে না দুললেও সমূলে উৎপাটিত হয়। (সহিহ বুখারি ও তিরমিজি, হাদিস নং : ২৮৬৬) 

সন্তান হারিয়ে শোক প্রকাশ : সন্তান বিয়োগের কঠিন পরীক্ষায়ও ধৈর্য্য ধারণ করা মুমিনের কর্তব্য। সবাই সন্তানের মৃত্যুতে খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত হতে পারে। মহানবী (সা.) নিজপুত্র ইব্রাহিমের মৃত্যুতে খুবই ভারাক্রান্ত পেয়েছিলেন। তাঁর দুচোখ অশ্রুসজল হয়েছিল।

বিখ্যাত মুহাদ্দিস সুফিয়ান সাওরি (রহ.) নিজপুত্রের মৃত্যুতে শোকাহত ছিলেন। এমন সময় এক লোক তাঁর কাছে জানতে চান, ‘শায়খ, পুত্রের ইন্তেকালে আপনি কতটা মর্মাহত? জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি এতটাই বেদনাহত যে, সেদিন আমার রক্ত-প্রস্রাব হয়েছিল।’ 

একজন আনসারির সন্তান মারা গেলে তিনি সীমাহীন শোকাহত হোন। প্রখ্যাত শাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফের সঙ্গে সাক্ষাত হলে হাজ্জাজ তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘সন্তানের প্রতি তোমার অনুরাগ কতটা গভীর ছিল? লোকটি বলেছিল, সন্তানের প্রতি আমার ভালবাসা এতটাই প্রগাঢ় ছিল যে, তার দিকে তাকালে আমার কখনো বিরক্তিভাব হতো না। দূরে থাকলেও অন্তর সারাক্ষণ তার কাছেই পড়ে থাকতো। হাজ্জাজ বললেন, আমার পুত্র মুহাম্মদের প্রতিও আমার ভালবাসা ঠিক এতটাই গভীর ছিল।’

বিপদের সময় প্রিয়নবী (সা.)-এর পঠিত দোয়া : প্রিয়নবি (সা.)-এর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘কেউ বিপদে আক্রান্ত হয়ে এ দোয়া পড়ে, -ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফ লি খায়রাম মিনহা- (অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্যে এবং আমরা তাঁরই কাছে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমাকে এ বিপদের প্রতিদান দিন এবং এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করুন।) এ দোয়া পাঠ করায় আল্লাহ বিপদে পড়া ব্যক্তিকে বিনিময় দান করবেন এবং তাঁকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করবেন।’ হাদিস বর্ণনাকারী উম্মে সালামাহ (রা.) বলেন, অতঃপর আবু সালামাহর মৃত্যুর পর আমি রাসুল (সা.)-এর বর্ণিত দোয়া করলাম। অতঃপর মহান আল্লাহ আমাকে আবু সালামার চেয়েও উত্তম ব্যক্তি অর্থাৎ রাসুল (সা.)-কে স্বামী হিসেবে ব্যবস্থা করেছেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং : ২০১২) 

সাঈদ বিন জুবাইর (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুহাম্মাদিকে বিপদের সময় পড়ার জন্য এমন এক দোয়া শিখিয়েছেন যা আগের উম্মতের কাউকেই শেখানো হয়নি। দোয়াটি হলো : ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজিউন।’ যদি আগেকার কেউ এ দোয়া পাঠের সুযোগ পেত, তাহলে অবশ্যই আল্লাহর নবি ইয়াকুব (আ.)-কে এ দোয়া শেখানো হতো। কারণ, পুত্র হারানোর শোকে কান্না করতে করতে তিনি দুই চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ছিলেন। (শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাকি)। 

সন্তান হারানো বাবা-মায়ের প্রতিদান : প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে সওয়াবের প্রত্যাশায় ধৈর্য্যশীল বাবা-মা ইহকাল ও পরকালে প্রভূত কল্যাণ লাভ করবেন। নিন্মে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো।  

ক. জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপত্তা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে মুসলিমের তিনটি সন্তান মারা গেছে (সে যদি ধৈর্য্য ধরে) তাঁকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। তবে কসম পূর্ণ করার জন্য (তাকে পুলসিরাতের উপর দিয়ে নেওয়া হবে)। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৬৬৫৬)

আরও পড়তে পারেন-

খ. মৃত সন্তান হবে জান্নাতের প্রজাপতি : আবু হাসসান (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-কে বললাম, ‘আমার দুটি সন্তান মারা গিয়েছে। আপনি কি রাসুল (সা.) থেকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করবেন, যাতে আমার অন্তর সান্ত্বনা পায়? আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হ্যাঁ, আমি নবি করিম (সা.)-কে  বলতে শুনেছি, ‘ছোট বয়সে মৃত্যুবরণকারী সন্তানেরা জান্নাতের প্রজাপতির মতো। তারা যখন বাবা অথবা বাবা-মায়ের উভয়ের সঙ্গে মিলিত হবে, তখন তার পরিধেয় কাপড় কিংবা হাত ধরবে, যেভাবে এখন আমি তোমার কাপড়ের আঁচল ধরেছি। এরপর সেই কাপড় বা হাত আর ছাড়বে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা তাকে তার মা-বাবাসহ জান্নাতে প্রবেশ না করাবেন। (মুসলিম, হাদিস নং : ৬৩৭০)

গ. মা-বাবার জান্নাতের দায়িত্বশীল : মুআজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিমের অর্থাৎ মা-বাবার তিনটি সন্তান (তাদের আগে) মারা যাবে, আল্লাহ তাদেরকে নিজের রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, দুজন মারা গেলেও কি এমন প্রতিদান পাবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, দুজন মারা গেলেও। এবার সাহাবিরা বললেন, একজন মারা গেলেও কি এমন প্রতিদান পাবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, একজন মারা গেলেও। অতঃপর রাসুল (সা.) বলেন, যাঁর হাতে আমার জীবন তাঁর শপথ করে বলছি, যদি কোন নারীর গর্ভপাত হয় এবং ওই মা ধৈর্য্য ধরে ও সওয়াবের আশা করে, তাহলে সন্তানও তাঁর নাড়ী ধরে টেনে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৬০৯, মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং : ২২০৯০)

ঘ. জান্নাতে বিশেষ বাড়ি লাভ : আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন কারও সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, ‘তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করেছ? তারা বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা তার কলিজার টুকরোর জান কবজ করেছ? তারা বলেন, হ্যাঁ। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলেন, আপনার বান্দা এই বিপদেও ধৈর্য্য ধারণ করে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েছে। তখন আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আমার এই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করো এবং এর নাম দাও ‘বাইতুল হামদ’ তথা ‘প্রশংসার ঘর।’ (তিরমিজি সূত্রে রিয়াজুস সালেহিন, হাদিস নং : ১৩৯৫) 

ঙ. ইবরাহিম (আ.) মৃত শিশুদের দেখাশোনা করবেন : সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদিসে রাসুল (সা.) মিরাজের ঘটনার বর্ণনায় বলেছেন, ‘আমরা চলতে চলতে একটা সজীব শ্যামল বাগানে এসে পৌঁছলাম। তাতে বসন্তের বিচিত্র ফুলের সমাহার আছে। বাগানের মধ্যে দীর্ঘকায় একজন পুরুষকে দেখলাম। তবে তাঁর মাথা আমি দেখছিলাম না। তাঁর চতুর্পাশে বিপুল সংখ্যক ছেলে-মেয়ে দেখলাম। এত বেশি ছেলে মেয়ে আমি কখনও দেখিনি। আমি ফেরেশতাদের বললাম, ওনি কে? আমাকে বলা হলো, ইনি ইবরাহিম (আ.)। আর তাঁর আশপাশের ছেলে-মেয়েরা ওইসব শিশু, যারা শৈশবের নিষ্পাপ অবস্থা মারা গিয়েছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৪২৯)

চ. জান্নাতের দরজায় বাবা-মাকে অভ্যর্থনা : কুররা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে নিয়মিত আসতেন। তাঁর সঙ্গে  ছোট্ট একটা বাচ্চাও থাকত। রাসুল (সা.) তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তোমার ছেলেকে ভালোবাসো? তিনি বললেন, আমার ছেলেকে আমি যতটুকু ভালোবাসি আল্লাহ আপনাকে তেমনি ভালোবাসেন। পরবর্তীতে ছেলেটি মারা যায়। রাসুল (সা.) ছেলেটিকে দেখতে না পেয়ে তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। ওই ছেলের মুত্যুর খবর জেনে মহানবী (সা.) তাঁর বাবাকে বলেন, তুমি কি আনন্দিত নয় যে, জান্নাতের যে দরজা দিয়েই তুমি প্রবেশ করবে, সেখানে ছেলেকে তোমার জন্য দরজা খোলার চেষ্টা করতে দেখতে পাবে।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং : ২০৭০) 

ছ. বিপদগ্রস্তকে  সান্ত্বনা দেওয়া সুন্নত : মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের সব সদস্যের বিপদে মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। অন্তরের গভীর ভালোবাসা ও মমতাবোধ নিয়েই মানুষ। নিজের ভেতর স্নেহ-ভালোবাসা না থাকলে সে প্রকৃত মানুষ নয়। আর মানুষের বিপদে এগিয়ে আসা মানবতার নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর আদর্শ। মুখের ভাষায় ও কাজের মাধ্যমে সব দুঃসময়ে এগিয়ে আসা একজন মুমিনের কর্তব্য। কারো সন্তান বা আপনজন মারা গেলে সান্ত্বনাদানের পাশাপাশি শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শোকাহত পরিবারের প্রতি মানসিক সহমর্মিতা দেখানো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। 

হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.)-এর কোন এক কন্যার ছেলে মুমূর্ষু অবস্থা আসে। তখন কন্যা প্রিয়নবী (সা.)-কে যাওয়ার জন্য একজন লোক পাঠান। প্রিয়নবী (সা.) লোক পাঠিয়ে জানালেন, আল্লাহ যা নেন ও যা দেন সবই তাঁর। সবকিছুর সময়সীমা নির্দিষ্ট। কাজেই সে যেন ধৈর্য্য ধরে এবং অবশ্যই সওয়াবের আশা করে। অতঃপর নবী করিম (সা.)-এর কন্য তাঁর বাবাকে শপথ করে যাওয়ার জন্য পুনরায় লোক পাঠালেন। তিনি যাওয়ার জন্য ওঠে দাঁড়ালেন। বর্ণনাকারী উসামা বিন জায়েদ (রা.) বলেন, আমি, মুআজ বিন জাবাল (রা.), উবাই বিন কাআব (রা.), উবাদাহ বিন সামিত (রা.)-ও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। আমরা সেখানে গেলে শিশুকে রাসুল (সা.)-এর কোলে দেওয়া হয়। তখন বাচ্চার বুকে এক অস্বস্তি বোধ হচ্ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বলেছিলেন, এ তো যেন মশকের মত। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) কাঁদলেন। তা দেখে সাআদ বিন উবাদাহ (রা.) বললেন, আপনি কাঁদছেন? তিনি বললেন, মহান আল্লাহ তাঁর দয়ালু বান্দাদের উপর দয়া করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ৭৪৪৮) 

আল্লাহ তাআলা সন্তানহারা সব মা-বাবাকে সওয়াবের প্রত্যাশায় ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক দিন। তাঁদের বর্ণিত প্রতিদানগুলো অধিকারী করুন। হারানো সন্তানের চেয়ে আগামীতে উত্তম বিনিময় দিন। আমিন। 

শিক্ষক, জামেয়া দারুল মা’আরিফ আল-ইসলামিয়া, চট্টগ্রাম। 
ইমেইল: hibnafarid@gmail.com

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।