Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন পিতা-মাতা অমুসলিম হলে মুসলিম সন্তানের ব্যবহার কেমন হতে হবে?

পিতা-মাতা অমুসলিম হলে মুসলিম সন্তানের ব্যবহার কেমন হতে হবে?

।। মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী ।।

[পূর্ব প্রকাশিতের পর]

পিতা-মাতা যদি অমুসলিমও হন, তথাপি তাদের সঙ্গে সন্তানের সদ্ব্যবহার করা, তাদের খেদমত করা, আদেশ পালন করা ইসলামে ফরয ঘোষিত হয়েছে। যতক্ষণ না পিতা-মাতার আদেশ শরীয়ত পরিপন্থী হয়।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, আমি মানুষকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি, যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না, আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দিব যা কিছু তোমরা করতে। (সূরা আন্কাবূত- ৮)।

উক্ত আয়াতের শানে নুযূল সম্পর্কে মুফাস্সিরীনে কিরাম লিখেন, আয়াতটি বিশিষ্ট সাহাবী সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রাযি.) সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়। তিনি ‘আশারা মুবাশ্শারাহ্’ জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সম্মানিত সাহাবীর একজন। তিনি অধিক পরিমাণে মাতৃভক্ত ছিলেন। তাঁর মাতা হেম্না বিন্তে আবু সুফিয়ান ছেলের ইসলাম গ্রহণের সংবাদে অত্যন্ত মর্মাহত হন এবং শপথ গ্রহণ করেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত ছেলে স্বধর্মে ফিরে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি কোন প্রকার আহার্য ও পানীয় গ্রহণ করবেন না। আর তিনি এমনিভাবে ক্ষুধা-পিপাসায় মৃত্যুবরণ করবেন। যাতে লোকে তাকে মাতৃহন্তারক রূপে হেয় প্রতিপন্ন করে। এভাবে হযরত সা’দ (রাযি.)এর মাতা একদিন একরাত মতান্তরে তিন দিন তিন রাত আপন শপথে অটল রইলেন।

অতঃপর হযরত সা’দ (রাযি.) উপস্থিত হয়ে সীমাহীন মাতৃভক্তি থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর আনুগত্যকে সামনে রেখে মাকে সম্বোধন করে বললেন, আম্মাজান! যদি আপনার শরীরে একশ’ আত্মাও থাকত এবং তা একটি একটি করে বের হতে থাকত, তা দেখেও আপনার ছেলে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করত না আর আপনার আত্মা তো একটিই। এখন আপনার ইচ্ছা, পানাহার করুন অথবা মৃত্যুবরণ করুন। অতঃপর নিরাশ হয়ে তাঁর মাতা শপথ ভঙ্গ করেন। পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে দিয়ে নয়। যেহেতু হাদীস শরীফে এসেছে, আল্লাহর অবাধ্যতা করে কোন মাখলুকের বাধ্যগত হওয়া যাবে না, হোক সে বাদশাহ্, শাসক কিংবা পিতা-মাতা।

অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে, পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই, তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহাবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয় তার অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে আমি সে বিষয়ে তোমাদের জ্ঞাত করব।

প্রিয় পাঠক! এখানে লক্ষ্যণীয় যে, আল্লাহর নির্দেশ হল তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে কোন কিছুকে অংশী স্থাপনে আদেশ করে তখন তুমি তাদের কথা মানবে না। কিন্তু এখানে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যা দেখা দেয় যে, যখন পিতা-মাতা সন্তানকে র্শিক করতে আদেশ করবে, সন্তান তখন আল্লাহর হুকুম মেনে নিয়ে পিতা-মাতার আদেশ প্রত্যাখ্যান করবে, এ নাজুক মুহূর্তটিতে যদি সন্তান পিতা-মাতার প্রতি অন্যায় আচরণ, কটূ ব্যবহার করে বসে। তাই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই সমস্যা-সংকট নিরসনে বলে দিয়েছেন, “ওয়া সাহিব হুমা ফিদ্দুন্য়া মা’রূফা” দ্বীনের ব্যাপারে তাদের আনুগত্য অবশ্যই করবে না তবে দুনিয়ার বেলায় অর্থাৎ তাদের শারীরিক সেবা-যত্ন, তাদের জন্য ধন-সম্পদ ব্যয় ইত্যাদি ব্যাপারে তাদের প্রতি বেআদবী, অশালীন ব্যবহার তথা কার্পণ্য করবে না। যাতে করে তাদের অন্তরে সামান্যতম কষ্টেরও উদ্রেক না হয় সেদিকে সন্তানকে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। এটাই মহান আল্লাহর নির্দেশ, ইসলামী আদর্শ ও ন্যায়-নীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে আসমা বিন্তে আবুবকর (রাযি.) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার মাতা মুশরিকা, তিনি আমার সাথে দেখা করতে আসেন, আমি কি মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখব? জবাবে তিনি ইরশাদ করেন, “ছিলী উম্মাকি” তোমার মায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখ। (বুখারী শরীফ)।

মুশরিক পিতার সাথে সদ্ব্যবহারের এক সুন্দর নমুনা পেশ করেছেন খলীলুল্লাহ হযরত ইব্রাহীম (আ.)। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- যখন তিনি (ইব্রাহীম আ.) তাঁর পিতাকে বললেন, হে আমার পিতা! যে শুনে না, দেখে না এবং আপনার কোন উপকারে আসে না তার ইবাদত কেন করেন? হে আমার পিতা! আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে, যা আপনার কাছে আসেনি। সুতরাং আমার অনুসরণ করুন। আমি আপনাকে সরল পথ দেখাব। হে আমার পিতা! শয়তানের ইবাদত করবেন না, নিশ্চয় শয়তান দয়াময়ের (আল্লাহর) অবাধ্য। হে আমার পিতা! আমি আশঙ্কা করি দয়াময়ের একটি আযাব আপনাকে স্পর্শ করবে। অতঃপর আপনি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবেন। (মরিয়ম- ৪২-৪৫)।

প্রিয় পাঠক! উপরোক্ত আয়াতে লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, প্রথমতঃ হযরত ইব্রাহীম (আ.) দ্বীনের দাওয়াত ঘর থেকেই শুরু করেছেন এবং মুশরিক পিতাকেই সর্বপ্রথম সম্বোধন করেছেন। দ্বিতীয়তঃ পিতাকে মুশরিক, মূর্তিপূজক ইত্যাদি বিশেষণে সম্বোধন না করে অত্যন্ত আদবের সাথে “ইয়া আবাতি” হে আমার পিতা! বলে সম্বোধন করেছেন এবং পিতাকে তিরস্কার না করে বরং যুক্তির ভিত্তিতে দেব-দেবীর অক্ষমতা, কুফ্র ও র্শিকের অসারতা ফুটিয়ে তুলেছেন। অথচ মুশরিক পিতা সন্তানের এহেন সৌজন্যমূলক আচরণের জবাবে ‘হে বৎস’ না বলে হে ইব্রাহীমই বলেছেন এবং সন্তানকে প্রস্তরাঘাতে বাড়ী থেকে বহিস্কারের হুমকিও শুনিয়ে দিয়েছেন।

ইরশাদ হচ্ছে- (পিতা) বললেন, হে ইব্রাহীম! তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিŽছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দরে সরে যাও। (সূরা মরিয়ম- ৪৬)।

এই নাজুক মুহূর্তেও হযরত ইব্রাহীম (আ.) পিতার প্রতি সম্মান ও আদব প্রদর্শনে ত্রুটি করেননি। ইরশাদ হচ্ছে- (ইব্রাহীম আ.) বললেন, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আমি আমার পালনকর্তার নিকট আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি মেহেরবান। (সূরা মরিয়ম- ৪৭)।

প্রথম কিস্তি পড়ুন- ‘ইসলামে পিতা-মাতার হক বা অধিকার’

দ্বিতীয় কিস্তি পড়ুন- ‘ইসলামে পিতা-মাতার হক বা অধিকার-২’

তৃতীয় কিস্তি পড়ুন- ইসলামে পিতা-মাতার হক বা অধিকার (৩)

এ হল মুশরিক পিতার সাথে মু’মিন সন্তানের পুরোপুরি আদব-সম্মান বজায় রেখে কথোপকথনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যা ইসলামের আদর্শসমূহের মধ্যে একটি উত্তম অনুসরণীয় আদর্শ। যার বাস্তবায়নে পরিবার ও সমাজের অশুভ চিত্র পাল্টে গিয়ে আদর্শ-সুন্দর-সুশীল পরিবার ও সমাজ বিনির্মাণ অত্যন্ত সহজ।

পিতা-মাতার মৃত্যুর পরও তাদের হক বাকী থাকে কি? হাঁ, পিতা-মাতার ইন্ত্রিকালের পরও সন্তানের উপর তাদের হক বাকী থেকে যায়। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু উসায়েদ বদরী (রাযি.) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে বনি সালমার এক লোক এসে প্রশ্ন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! পিতা-মাতার ইন্ত্রিকালের পরও তাদের কোন হক আমার যিম্মায় আছে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তাদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করা, কারো সাথে তাদের কোন অঙ্গিকার থাকলে তা পরণ করা এবং তাদের বন্ধুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। তাদের এমন আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা, যাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক শুধু তাদেরই মাধ্যমে। (আবুদাঊদ শরীফ)।

হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে দিনার (রাযি.) হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে উমর (রাযি.) থেকে বর্ণনা করেন, একদা মক্কার রাস্তায় হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে উমর এক আরব বেদুঈনের সাক্ষাত পান। তাকে সালাম করেন এবং নিজের বাহন গাধার উপর তাকে বসিয়ে নিজের পাগড়ী খুলে তার মাথায় পরিয়ে দেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে দিনার (রাযি.) বলেন, আমরা হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে উমর (রাযি.)কে বললাম, আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন! ওরা বেদুঈন, ওরা অল্পেই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। (আর আপনি তো বাহনও দিয়ে দিলেন, মাথার পাগড়ীও দিয়ে দিলেন, তা তো অনেক)। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে উমর (রাযি.) বলেন, তার পিতার বন্ধুত্ব ছিল (আমার পিতা হযরত) উমর ইব্নুল খাত্তাবের সঙ্গে। আর আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে শুনেছি, তিনি ইরশাদ করেন- সবচেয়ে উত্তম নেকী হল যে ব্যক্তি তার পিতার বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সুন্দর ও সদ্ব্যবহার করবে। (মুসলিম শরীফ)।

প্রিয় পাঠক! যে মহান সত্তা আপনাকে-আমাকে অস্তিত্বহীনতা থেকে অস্তিত্ব দান করেছেন, আপনার আমার জন্য উত্তম জীবিকার ব্যবস্থা করেছেন, আলো-বাতাস, চন্দ্র-সূর্য ইত্যাদি সব কিছুই আমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন, সেই মহান সত্তার জন্য হৃদয় উজাড় করে অবনত মস্তকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা প্রকৃত ওয়াফাদার গোলামের পরিচয়। সাথে সাথে সেই দুই মহান ব্যক্তিরও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা, যারা আপনার-আমার এ ক্ষুদ্র অস্তিত্বের খাতিরে সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেছেন, নিজের কামনা-বাসনা, আরাম-আয়েশ সব কিছুই আমাদের সুখ-শান্ত্রির জন্য কুরবানী করে দিয়েছেন। আসুন! আমরা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার, কথা-বার্তায় নম্রতা, আচার-আচরণে ভদ্রতার খেয়ালসহ এমন সব নিয়ম-পদ্ধতি অবলম্বন করি, যেসব নিয়ম-পদ্ধতিতে পিতা-মাতা সন্তুষ্ট হন। যেহেতু পিতা-মাতার বাধ্যগত তথা তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার সন্তানের জন্য ইহজগত ও পরজগতে সফলতা লাভের ক্ষেত্রে এক বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। ইমাম যাহাবী আল কাবাইর গ্রন্থে লিখেন, “আল্লাহ তাআলা মূসা (আ.)কে বলেন, হে মসা! তুমি তোমার পিতা-মাতাকে সম্মান কর। কেননা, যে তার পিতা-মাতাকে সম্মান করে, আমি তাকে দীর্ঘায়ু দান করি এবং এমন সন্তান তাকে দান করি, যে তার সাথে উত্তম ব্যবহার করবে। পক্ষান্তরে যে তার পিতা-মাতার সাথে নাফরমানী করে আমি তার জীবন সংকীর্ণ করে দিই এবং এমন সন্তান দান করি, যে সন্তান তার সাথে নাফরমানী করবে। (আল্ কাবাইর-৬৮)।

সুতরাং আসুন! আমাদের মাঝে আজও যাদের পিতা-মাতা বেঁচে আছেন, যদি তাদের সাথে কখনো কোন অসদাচরণ করে থাকি, ক্ষমা চেয়ে নিই। ভবিষ্যতে তাদের সাথে সর্বদা উত্তম ব্যবহারের সংকল্প করি। আর আমাদের মাঝে যাদের পিতা-মাতা আজ বেঁচে নেই, তাদের জন্য মহান আল্লাহর শাহী দরবারে দোয়া-ইস্তিগফার করি, দান-খয়রাত তথা সাদকায়ে জারিয়ার মাধ্যমে তাদের জন্য মহান আল্লাহর রহ্মত ও সন্তুষ্টি কামনা করি। রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- পিতা-মাতা জান্নাতের মধ্যবর্তী দরজা, এখন তোমাদের ইচ্ছা তাকে হিফাযত কর অথবা বিনষ্ট কর। (মুসনাদে আহমদ-৫/১৯৬। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)।

আসুন! আমরা সবাই মিলে এমন কর্মসূচী গ্রহণ করি, যাতে করে আমাদের সমাজের প্রতিটি ঘরেই পিতা-মাতার সম্মান ও মর্যাদার চর্চা হয় এবং সমাজের প্রতিটি সন্তানই যেন পিতা-মাতার বাধ্যগত হয়ে ইহ-পরজগতে কল্যাণ ও সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমীন॥

  • মাওলানা মুহাম্মদ ওমর কাসেমী, উস্তাদুল হাদীস ও ওয়াল ফিক্বহ- আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।