Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ দেশ ও জাতির কল্যাণে কওমি মাদরাসা এবং উলামায়ে কেরামের অবদান অনস্বীকার্য

দেশ ও জাতির কল্যাণে কওমি মাদরাসা এবং উলামায়ে কেরামের অবদান অনস্বীকার্য

- ফাইল ছবি।

।। শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ।।

মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর জন্য রাহমাতুল লিল আলামিন বা শান্তির বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর ইলমে ওহীর মাধ্যমে আইয়্যামে জাহিলিয়্যাত বা বর্বরতার যুগের নিকৃষ্ট মানুষগুলোকে সোনার মানুষে রুপান্তরিত করেছিলেন। তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন আত্মাগুলোকে করেছিলেন নির্মল ও পরিশুদ্ধ । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরশে এসে তাঁরা পেয়েছিলেন ইসলামের সুশীতল ছায়া ও আলোকিত জীবন।

বর্বরতার যুগের সেই মানুষগুলোকে দ্বীন শেখানো এবং সরল সঠিক পথÑসীরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল রাখার জন্য হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় দারে আরকাম এবং মদীনায় সুফফা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমান প্রচলিত কওমী মাদরাসাসমূহ সেই দারে আরকম আর সুফফা মাদরাসার-ই শাখা। কওমী মাদরাসাসমূহ মুসলিম উম্মাহর ঈমান আকীদা সংরক্ষণের মযবুত দূর্গ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কওমী মাদরাসা দেশ ও জাতির বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর ঈমান-আকীদা রক্ষা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে কওমী মাদরাসা ও উলামায়ে হক্কানির অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে এবং থাকবে।

পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা জুমুআর ২ নং আয়াতে নবী-রাসূলদের মৌলিক চারটি কাজ বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

“তিনিই উম্মীদের(নিরক্ষর জাতীর) মধ্যে তাদের একজনকে পাঠিয়েছেন রাসূলরূপে,যিনি তাদেরকে তাঁর আয়াতগুলো পড়ে শোনান, তাদেরকে পরিশুদ্ধ করেন এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। অথচ এর আগে তারা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিল।”
বুখারী শরীফের হাদীসে উল্লেখ রয়েছে- নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন-

كَانَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ تَسُوسُهُمُ الأَنْبِيَاءُ، كُلَّمَا هَلَكَ نَبِيٌّ، خَلَفَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ لاَ نَبِيَّ بَعْدِي، وَسَيَكُونُ خُلَفَاءُ فَيَكْثُرُونَ، قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: فُوا بِبَيْعَةِ الأَوَّلِ فَالأَوَّلِ، أَعْطُوهُمْ حَقَّهُمْ، فَإِنَّ اللهَ سَائِلُهُمْ عَمَّا اسْتَرْعَاهُمْ. (صحيح البخاري: ৩৪৫৫)

বনী ইসরাঈলের নবীগণ তাঁদের উম্মতদের শাসন করতেন। যখন কোন একজন নবীগণ ইনতেকাল করতেন, তখন অন্য একজন নবী তাঁর স্থলাভিসিক্ত হতেন। আর আমার পরে কোন নবী নেই। তবে অনেক খলীফা হবে।

হাদীসের ভাষ্যমতে হক্কানি উলামায়ে কেরামই নবীগণের খলিফা বা প্রতিনিধি। অন্য হাদীসে উলামায়ে কেরামকে নবীগণের উত্তরসূরী বলা হয়েছে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ নবী। নতুন কেউ নবুওয়াতের বা নবী হওয়ার দাবী করলে সে হবে ভন্ড, প্রতারক। বর্তমান সময়ে কাদিয়ানীরা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে তাদের নবী বলে দাবী করে। তাকে তারা নবী মানে। মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কখনও নবী হতে পারে না। সে ছিলো ইংরেজদের দালাল। তাকে যারা নবী মানবে তারা নিঃসন্দেহে কাফের। কাদিয়ানীরা সন্দেহ ছাড়া কাফের। ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে কাদিয়ানীরা মুসলিম পরিচয়ে থাকতে পারে না। মুসলমানদের কোনো ধর্মীয় পরিভাষা তারা ব্যবহার করতে পারে না। মুসলমানদের এই দেশে কাদিয়ানীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, সংখ্যালঘু হিসেবে বসবাস করতে পারবে। ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে সকলের প্রাণের দাবি, জাতীয় সংসদে বিল পাশ করে কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার তাদের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের মাধ্যমে নবুওয়াতের দরজা চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। নতুন শরীয়ত নিয়ে নতুন কোনো নবী আর আসবেন না। তাই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত নবী-রাসুলদের মৌলিক চারটি কাজের দায়িত্বভার হক্কানি উলামায়ে কেরামের উপরই সোপর্দ হয়েছে। উলামায়ে কেরাম নবী-রাসুলের উত্তরসূরি হিসেবে দীপ্ত কণ্ঠে জাতির সামনে হক ও ন্যায়ের কথা বলেন। হক ও ন্যায়ের কথা বলতে উলামায়ে কেরাম কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করেন না।

আরও পড়তে পারেন-

কওমী মাদরাসার ইতিহাস সোনালী ইতিহাস। সর্বপ্রথম মাদরাসা হলো মক্কার দারে আরকম আর মদীনার সুফফা মাদরাসা। সেই মাদরাসাদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আর ছাত্র ছিলেন সাহাবায়ে কেরাম। নবী-রাসুলদের মৌলিক চারটি কাজের সংরক্ষণের জন্য দারে আরকম ও সুফফা মাদরাসার নমুনায় যুগে যুগে বহু মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তন্মধ্যে উপমহাদেশে সুলতান মাহমুদ গজনভী (মৃত্যু: ৪২১ হি.) রহ. এর মাদরাসা, নেজামুল মুলুক তুসি (মৃত্যু: ৪৮৫ হি.) এর মাদরাসা, সুলতান সেকান্দর আওদুহি (মৃত্যু: ৯২৩ হি.) এর মাদরাসা, ভারতের গুজরাটের বাদশা মুহাম্মদ আদেল শাহ (মৃত্যু: ৯১৬ হি.) এর মাদরাসা এবং বাংলা বিজয়ী মুসলিম সেনানায়ক ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ ইবনে বখতিয়ার খিলজী বঙ্গদেশ (বাংলাদেশ) বিজয় করার পর রংপুরে একটি কওমী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বাদশা আলমগীর (মৃত্যু: ১১১৮ হি.) বড় বড় শহরে এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও বহু মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তন্মধ্যে লখনোর ফারাঙ্গি মহল্লির দারুল উলুম মাদরাসায়ে নেজামিয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই নেজামিয়া মাদরাসা থেকেই প্রণীত হয়েছে উপমহাদেশে বর্তমান প্রচলিত কওমী মাদরাসার সিলেবাস ” দরসে নেজামী “।

এর প্রবর্তক হলেন মোল্লা নিজামুদ্দিন (মৃত্যু: ১১৬১ হি.) রহমাতুল্লাহি আলাইহি। হযরত ইমাম শাহ ওলী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. এর পিতা হযরত শাহ আব্দুর রহীম দেহলভী রহ. (মৃত্যু: ১১৩১ হি.) এর প্রতিষ্ঠিত ” মাদরাসায়ে রহিমিয়্যাহ” দিল্লির উল্লেখযোগ্য কওমী মাদরাসা ছিলো।

১৮৬৬ ঈসায়ী সালের ৩০ মে মোতাবেক ১২৮৩ হিজরির ১৫ই মুহাররম রোজ বুধবার সাত্তা মসজিদের বারান্দায় ডালিম গাছের নিচে বিশ্ববিখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সুফফা মাদরাসা এবং দারুল উলুম দেওবন্দের শাখা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীনি শিক্ষাপীঠ দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী। যা ১৩১৯ হিজরী মোতাবেক ১৯০১ সনে প্রতিষ্ঠালাভ করে। শায়খুল ইসলাম আল্লামা হাবীবুল্লাহ কুরাইশী (রহ.) (মৃত্যু: ১৩৬১ হি.), আল্লামা আব্দুল ওয়াহেদ (রহ.) (মৃত্যু:১৩২৩ হি.), আল্লামা সূফী আজিজুর রহমান রহ. (মৃত্যু: ১৩৩৯ হি.),আল্লামা আব্দুল হামীদ (রহ.) (মৃত্যু: ১৩৩৮ হি.) এই চারজন মনিষী এখলাছ ও নিষ্ঠার সাথে হাটহাজারী মাদরাসার ভিত্তি রাখেন। হযরত রশিদ আহমদ গংগুহী (রহ.) এর খলিফা আল্লামা শাহ জমির উদ্দিন রহ. (মৃত্যু: ১৩৫৯ হি.) ছিলেন অত্র মাদরাসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি দারুল উলুম হাটহাজারী দেশ ও বহির্বিশ্বে দ্বীনের বহুমুখী খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে হাদীস চর্চা ও ক্রমবিকাশে দারুল উলুম হাটহাজারী প্রথম। ১৯০৭ মতান্তরে ৮ সনে হাটহাজারী মাদরাসায় দাওরায়ে হাদীস খোলার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হাদীস চর্চার শুভ সূচনা হয়। হাটহাজারী মাদরাসার প্রথম শায়খুল হাদীস ছিলেন,আল্লামা সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপী রহ., তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম হাদীস বিশারদ। দারুল উলুম হাটহাজারীর দ্বিতীয় শায়খুল হাদীস ছিলেন আল্লামা ইবরাহীম বলিয়াবী রহ. (তিনি দারুল উলুম দেওবন্দেরও শায়খুল হাদীস ছিলেন)। আল্লামা ইয়াকুব রহ. আল্লামা আব্দুল কাইয়ুম রহ., মুফতীয়ে আজম আল্লামা মুফতী ফয়জুল্লাহ রহ., আল্লামা আব্দুল শাহ ওয়াহহাব রহ., আল্লামা আব্দুল আজিজ রহ. এবং মেশকাত শরীফের বিশ্ববিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ তানজিমুল আশতাতের রচয়িতা আল্লামা আবুল হাসান রহ. হাদীসের বিশাল খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন। তানজিমুল আশতাত বাংলাদেশ, ভারত, লন্ডন, ইংল্যান্ড,আফ্রিকা সহ বহু রাষ্ট্রে আহলে ইলমদের নিকট ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এ ব্যাখ্যাগ্রন্থ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছে।

এছাড়াও আল্লামা মুফতী আহমাদুল হক রহ., আল্লামা হামেদ রহ, আল্লামা মুহাম্মদ আলী রহ. এবং সর্বশেষ অত্র মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. সহ বহু মুহাদ্দিস হাটহাজারী মাদরাসায় তাফসীর, হাদীস, ফিকহ সহ ইলমে নববীর বহুমুখী খেদমত করেছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দের শত বার্ষিকী সম্মেলনে বিখ্যাত ইসলামী স্কলার আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী (রহ.) বলেছিলেন, দারুল উলুম দেওবন্দ ও কওমী মাদরাসা সমূহের মূল বৈশিষ্ট্য ৪ টি-

(১) তাওহীদে খালেছ বা নির্ভেজাল তৌহিদ,একাত্ববাদ
(২) ইত্তিবায়ে সুন্নাত বা রাসূল সা. এর সুন্নাহের অনুসরণ অনুকরণ
(৩) তাআল্লুক মাআল্লাহ- আল্লাহ তায়া’লার সাথে সম্পর্ক
(৪) ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর কালিমাকে বুলন্দ করা।

উলামায়ে কেরামের সম্মান:

আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো মানুষ। আর মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো আলেম সম্প্রদায়। হক্কানি উলামায়ে কেরামের শান ও মর্যাদা অনেক বেশি। পবিত্র কুরআন কারীমে আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন-

إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ

আল্লাহকে তো কেবল তারাই ভয় করে, যারা জ্ঞানের অধিকারী” অর্থাৎ উলামায়ে কেরাম (সূরা ফাতির- ২৮ )।

নায়েবে নবী উলামায়ে কেরামের সাথে দেশের জনসাধারণের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, আলেম প্রিয়। উলামায়ে কেরাম ও আমজনতার মধ্যকার এই সুসম্পর্ক নাস্তিক মুরতাদ আর রাম-বামরা সহ্য করতে পারে না। তাই তারা গুটিকয়েক মানুষকে উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে কটুক্তি ও বিষোদগারের জন্য লাগিয়ে দিয়েছে। যা বড়ই দুঃজনক।

উলামায়ে কেরামের সামাজিক অবদান:

দ্বীন প্রচারের পাশাপাশি সামাজিকভাবেও সেবামূলক বহুমুখী খেদমত করে যাচ্ছেন উলামায়ে কেরাম। সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীর লাশ দাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসতো না, লাশ ফেলে রেখে আত্মীয়- স্বজনরা পালিয়ে যেতো তখন উলামায়ে কেরাম করোনায় মৃতদের লাশ দাফন কাফনের মতো বিশাল সেবামূলক কাজ করেছেন। নোভেল করোনা ভাইরাসের নাজুক পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরাম না থাকলে করোনায় আক্রান্ত মৃতদের লাশ কুকুর শেয়ালে ছিঁেড় ফেড়ে খেতো। আল্লামা শাহ জমির উদ্দিন রহ. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, আল- মারকাজুল ইসলামি এবং তাকওয়া ফাউন্ডেশন করোনাকালীন সময়ে সেবামূলক বহু কাজ করেছেন।

এছাড়াও সমাজসেবামূলক বহু কাজে উলামায়ে কেরাম সম্পৃক্ত আছেন। কোনো দিক থেকেই উলামায়ে কেরামকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। হক্কানি উলামায়ে কেরামের দ্বীনী দাওয়াত, ওয়াজ ও নসীহতের ফলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। উলামায়ে কেরাম দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। আজ যারা নানাভাবে উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে, বিষোদগার করছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির শিকার করছে, তাদের ব্যাপারে সরকার, প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের অপরিহার্য দাবী।

[গত ১ জানুয়ারি, ২০২১ইং, জুমাবার। আলজামেয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর ঐতিহাসিক বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে বাদ জুমা কওমী মাদরাসা ও উলামায়ে কেরামের অবদান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেছেন জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক, আমীরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী হাফিযাহুল্লাহ। এতে তিনি উম্মাহর উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ নসীহত ও দিকনির্দেশনা পেশ করেন; যার চুম্বাকাংশ উম্মাহ পাঠক সমীপে উপস্থাপন করা হল]

শ্রুতিলিখন: জুনাইদ আহমদ, শিক্ষার্থী: দারুল উলুম হাটহাজারী।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।