Home সোশ্যাল মিডিয়া সাংস্কৃতিক দূষণ!

সাংস্কৃতিক দূষণ!

।। রোমেনা আফরোজ ।।

এখন একটা ফ্যাশন বের হয়েছে। মেয়েরা শাড়ি দিয়ে একটা স্তন ঢেকে রাখে। আরেকটা রাখে খোলা। দোহাই আপনাদের এখানে কেউ ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বলতে আসবেন না। এই ব্যক্তিস্বাধীনতার পাঠ কপচিয়ে পুঁজিবাদের লাভ। সাধারণ মানুষের এতে কোন ফায়দা নেই।

একটা কথা ভাবুন, শাড়ি পরে নারীরা কিন্তু বনে যায় না। লোকালয়ে চলাচল করে। আর আমরা সামাজিক জীব। সে হিসেবে আমাদের প্রতিটি কাজের সমাজের উপর একটা প্রভাব আছে। যারা ভাবছেন আমার যা ইচ্ছে তা করব, তাদের উচিত সমাজের বাইরে যেয়ে বাস করা। সমাজে থাকতে গেলে সমাজের কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। নতুবা সমাজ আর সমাজ থাকে না। নৈরাজ্যে পরিণত হয়।

আমার মূল জানতে চাওয়ার বিষয় হল এতদিন তো আমরা খুব সাধারণভাবেই শাড়ি পরে এসছি। হঠাৎ এই পরিবর্তনের কারণ কী। ফ্যাশনের অর্থ কি নিজেকে উন্মোচিত করা? নিজের সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে যারা ফ্যাশন চিন্তা করছেন তাদের চিন্তা ভাবনা অসম্পূর্ণ। বিকলাঙ্গ।

একটা কথা আগেও বলেছি। এখন আবার বলছি। ভাবুন সমাজটা একটা গাছ। এই গাছের ডালপালা হল নিয়মনীতি। যা সমাজকে সুস্থভাবে চলতে সাহায্য করে। একদিন একজনের মনে হল গাছের এই ডালটার কোন প্রয়োজন নেই। সে কেটে নিল একটা ডাল। আরেকজন কাটল আরেকটা। আমিও আর বাদ যাই কেন। আমিও কাটলাম আরেকটা। এভাবে একসময় গাছটা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর সমাজে তৈরি হবে বিশৃঙ্খলা। পাশ্চাত্যের দিকে তাকালে বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝবেন।

সমাজকে কুক্ষিগত করার জন্য পুঁজিবাদকে অনেক নতুন নতুন ধ্যানধারণা, মতবাদ ঢোকাতে হয়েছে। অনেক নৈতিকতা কেটে ফেলতে হয়েছে। অনেক মতবাদকে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মতবাদের সাথে মিশ্রিত করতে হয়েছে। এক দেশের সংস্কৃতিকে অপর দেশের সংস্কৃতির সাথে ব্লেন্ড করতে হয়েছে। ধর্মের প্রতি তৈরি করতে হয়েছে অসহিষ্ণুতা। তবে যেয়ে পুঁজিবাদ তার পথের দেখা পেয়েছে ।

আরও পড়তে পারেন-

চারপাশে উপভোগের সামগ্রী এত সহজলভ্য করা হয়েছে যে কেউই নীতিনৈতিকতার পথ বাদ দিয়ে ভোগবাদের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য।

একটা বিষয় খেয়াল করুন, পরিবেশকে দূষণ করলে প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নেয়। শরীরের যত্ন না নিলে মানুষ অসুস্থ হয়। মনকে যদি লাগাম না দেয়া হয়, গরুর মত ছেড়ে দেয়া হয় তখন মন অপরের ফসল নষ্ট করবেই। আপনার বক্ষ, শরীর যখন উন্মুক্ত করবেন তখন তারও একটা পরিণতি আছে। নেগেটিভ ইফেক্ট আছে।

সমাজকে আপনারা আপনাদের স্বার্থেই দূষণ করবেন। পরিবর্তন করবেন৷ আবার কোনকিছু হলে কাউমাউ করবেন আপনারাই। আপুরা সমাজ শুধু আপনাদের নয়। আমাদের সবার। তাই দুধটাকে যদি বারো হাত কাপড়েও ঢাকতে না পারেন তবে যতটুকু সভ্যতার নাটক করছেন, মুখোশ পরে আছেন ততটুকু বিসর্জন দিয়ে ব্লু ফিল্মে নেমে যেতে পারেন। তাতে অন্তত সমাজের তেরোটা বাজবে না।

– রোমেনা আফরোজ, অনলাইন এক্টিভিস্ট।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।