।। মাওলানা সাঈদ আহমদ ।।
মুফতি রশিদ আহমদ গাংগুহী রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: প্রচলিত মিলাদ মাহফিল বিদআত এবং বিভিন্ন মাকরুহ বিষয় সম্পৃক্ত হওয়ায় তা মাকরুহে তাহরীমী এবং কিয়ামও বিশেষ পদ্ধতির সাথে নির্দিষ্ট করায় বিদআত। (ফতোয়ায়ে রশিদিয়া, পৃ. ৮৮, যাকারিয়া বুক ডিপো।)
হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা যদি বিদআত এবং নিয়মনীতি মুক্ত হয় তাহলে অন্যান্য যিকর এর মত সওয়াব এবং উত্তম হবে। তবে বর্তমান সময়ে মিলাদ যে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি ও ভ্রষ্টতার সাথে প্রচলিত আছে তা নিঃসন্দেহে বিদআত। (ইমদাদুল ফতোয়া : ৫/২৪৯, যাকারিয়া বুক ডিপো)।
মুফতি কিফায়েতুল্লাহ রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: প্রচলিত মিলাদ মাহফিলে বিভিন্ন ধরনের শরীয়তবিরুদ্ধ কাজ সংঘটিত হয়। বিভিন্ন ভুল, বানোয়াট কিচ্ছা-কাহিনী বয়ান করা হয় এবং অপব্যয় ও অহংকারে রূপ নেয়। তাই (মিলাদ মাহফিল) বিদআত এবং নাজায়েজ। (কিফায়াতুল মুফতি : ১/১৯৮, যাকারিয়া বুক ডিপো)।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
মুফতি মাহমুদ হাসান দেওবন্দী রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: প্রচলিত মিলাদ মাহফিল কুরআন থেকে প্রমাণিত নয়, হাদীস থেকেও প্রমাণিত নয়, খুলাফায়ে রাশেদীনসহ অন্যান্য সাহাবা থেকেও প্রমাণিত নয়। কোন মুহাদ্দিস, কোন ইমাম, কোন মহান আউলিয়া কেরাম থেকেও প্রমাণিত নয়। (এভাবে বিস্তারিত আলোচনার পর বলেছেন,) প্রচলিত মিলাদ মাহফিল পরিষ্কার বিদআত। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১/১৭৯-১৮১, কুতুবখানা মাযহারী, করাচী)
মুফতি আযম পাকিস্তান, মুফতি শফি রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: (নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট নিয়মে মিলাদ করা এবং বিভিন্ন জাল-মওযু হাদীস-ঘটনা বর্ণনা করা হয়) এ থেকে জানা গেল, (মিলাদ মাহফিলে) দরুদ-সালাম জন্য জমায়েত হওয়া, গুরুত্বপূর্ণ মনে করাকে উলামায়ে কেরাম বিদআত এবং না জায়েজ মনে করেন। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ- ১/২১৩)।
আব্দুর রহীম লাজপুরী রহ. এর ফতোয়া:
অনুবাদ: আজকাল প্রচলিত মিলাদ মাহফিলে লোকজন একত্রিত হয়ে মূর্খ কবিদের কবিতা; মনগড়া ও কাল্পনিক বর্ণনাগুলি সুর দিয়ে পড়ে থাকে। তাতে বেনামাযী ও ফাসেক ব্যক্তি পর্যন্ত থাকে এবং উক্ত পদ্ধতিতে মিলাদ করা জরুরী মনে করে থাকে। এটা খেলাফে সুন্নাত, বিদআত। সাহাবা, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী এবং মহান ইমামগণÑ কারো থেকে এসব প্রমাণিত নয়। (ফতোয়ায়ে রহিমিয়া- ২/৭৩)।
দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া:
অনুবাদ: প্রচলিত মিলাদ-কিয়াম যা নিষিদ্ধ ও নতুন বিষয় দিয়ে ভরপুর। তা নাজায়েয এবং বিদআত। (ফতোয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ- ১/১২২)।
দারুল উলূম হাটহাজারীর ফতোয়া:
অনুবাদ: মোট ও মর্ম কথা হল, প্রচলিত কিয়াম এবং মিলাদ মাহফিল বিদআতে সাইয়েআ ও মাকরুহ। সালফে সালেহীনের যুগে নিশ্চিত এসব (মিলাদ-কিয়াম) এর অস্তিত্ব ছিল না এবং শরীয়তের চার মৌলিক দলীলের ভিত্তিতেও তা প্রমাণিত হয় না। (ফতোয়ায়ে দারুল উলূম হাটহাজারী- ১/২৯৫)।
[উলামায়ে দেওবন্দের দৃষ্টিতে মিলাদ-কিয়াম বই থেকে, পৃ. ৪-৬]
– মাওলানা সাঈদ আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক- জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ