Home বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মগজ নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র বানাচ্ছে চীন: মারবে না কাটবে না, শুধু নিয়ন্ত্রণ করবে...

মগজ নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র বানাচ্ছে চীন: মারবে না কাটবে না, শুধু নিয়ন্ত্রণ করবে বিপক্ষকে

ঘোর শত্রু পক্ষে চলে এলে সুবিধা কিন্তু অনেক পাওয়া যায়। যে জন আপনার কুৎসা রটায়- সেই যদি একদিন আপনার সুনাম গাইতে থাকে, মানুষ যেমন অবাক হবে- তেমনি আপনার সম্পর্কেও ভাববে নতুন আলোকে। তাই শত্রুকে হত্যা না করে তার ইচ্ছে-অনিচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে মন্দ হয় না মোটেও।

চীন নাকি এমন অস্ত্রসজ্জা তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকানদের দাবি, এসব অস্ত্র মারবে না, কাটবেও না- শুধু প্রতিপক্ষের মগজের দখল নেবে। আর চাইলে তাকে অক্ষমও করে দেওয়া যাবে এ উপায়ে।

চীনের সামরিক চিকিৎসা বিজ্ঞান একাডেমি এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত ১১টি গবেষণা সংস্থার ওপর এনিয়ে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে ‘মগজ-নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে অস্ত্র’ তৈরিতে জৈবপ্রযুক্তির ব্যবহারকে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন-

গত সপ্তাহে চীনা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কালোতালিকা ভুক্ত করা মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব অস্ত্রের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে ২০১৯ সালে প্রকাশিত কিছু সামরিক নথির বরাতে জানা গিয়েছিল, বেইজিং এই লক্ষ্য অর্জনের (অস্ত্র নির্মাণের) চেষ্টা করছে।

২০১৯ সালে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম- ওয়াশিংটন টাইমসে চীনা সামরিক বাহিনীর গোপন এসব নথির অনুবাদ প্রকাশিত হয়।

চীনা সামরিক বাহিনীর গোপন ওই প্রতিবেদনটিতে সুপারিশ ছিল, শত্রুকে হত্যা করার চাইতে তাকে অবশ বা নিয়ন্ত্রণ করার দিকেই চীনের মনোযোগ দেওয়া উচিত। ‘শত্রুর মানসিকভাবে বিরোধিতার শক্তিকে আক্রমণ করে’ এই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে।

সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চীনা গবেষণা সংস্থাগুলোকে ‘এনটিটি লিস্ট’ শীর্ষক তালিকায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ফলে আমেরিকান কোম্পানিগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো পণ্য রপ্তানি ও স্থানান্তর করতে পারবে না।

চীন যুক্তরাষ্ট্রে আবিষ্কৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জৈবপ্রযুক্তি-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতের উন্নয়নের চেষ্টা করছে- কিছুদিন আগেই মার্কিন গোয়েন্দারা এমন সতর্ক বার্তাও দেন। সঙ্গে সঙ্গেই উদ্যোগী হয় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমান্ডো বলেছেন, চীন ‘জিন এডিটিং’, হিউম্যান প্রিফারেন্স ইনহান্সমেন্ট এবং ব্রেইন মেশিন ইন্টারফেস’ তৈরির চেষ্টা করছে।

তিনি জানান, চীন এসব প্রযুক্তি অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করে উইঘুরসহ সংখ্যালঘু অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

“গণচীন সরকার নিজ জনগনকে দমন করতে জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর প্রযুক্তিগুলি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক”- বলছিলেন মন্ত্রী।

“তাই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী এমন কাজে আমরা মার্কিন পণ্য, প্রযুক্তি, সফটওয়্যার, চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির আবিষ্কারগুলোকে চীনের কাছে সরবরাহ করতে পারি না।”

সূত্র: ডেইলি মেইল।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।