Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ঘোর দুর্দিনেও আত্মকলহের পিছু ছাড়ছি না!

ঘোর দুর্দিনেও আত্মকলহের পিছু ছাড়ছি না!

।। মুনির আহমদ ।।

মানুষের অন্তর্দ্বন্ধ চিরন্তন। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আদিকাল থেকেই মানুষের এ প্রবণতা চলে আসছে। আসলে মানুষ সহজাত কারণে বর্ণ, দৈহিক গঠন, আচরণ এমনকি ভাষাও গড়ে উঠেছে একেক অঞ্চলে একেক রকম। আবার প্রকৃতিগতভাবে মানুষে মানুষে ইচ্ছা ও ভ্রাতৃত্বেরও একটি বন্ধন আছে। কিন্তু এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, মানুষ মাঝে মধ্যে তা বিস্মৃত হয়ে যায়। এর পেছনে যে ইচ্ছা শক্তিটি কাজ করে, তা হলো নিজ স্বার্থ ক্ষমতা। সংগত কারণে মানুষের মন থেকে ভ্রাতৃত্ববোধ জিনিসটা যেন মুছে যাচ্ছে দিন দিন। আর তাই সারা বিশ্ব জুড়ে পরস্পর পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।

নিজ স্বার্থ সিদ্ধির লক্ষ্যে মানুষ মানুষকে খুন করছে। ভাই ভাইকে খুন করছে। একটি গোত্র আরেকটি গোত্রের উপর কর্তৃত্ব করার প্রচেষ্টা করছে। একটা রাষ্ট্র আরেকটি রাষ্ট্রের উপর আধিপত্যবাদ বিস্তার করতে কতইনা কুট কৌশল খাটাচ্ছে। আর তাই কালের আবর্তে সমগ্র বিশ্ব আজ পাশ্চাত্যের ইহুদী-নাসারাদের নির্মম আধিপত্যবাদ তথা যুলুম ও ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়েছে।

ভাবতে আশ্চর্য লাগে, এক কালে যে সকল দেশ মুসলমানরা শাসন করতো আজ কিনা সেই সকল দেশ ইহুদী-নাসারাদের করতলগত হয়ে সেখানকার মানুষ আজ নির্মমভাবে নির্যাতন উৎপীড়নের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে। এমনকি এক কালের মুসলিম শাসিত ইউরোপ তথা স্পেন, রোমানিয়া, যুগোশ্লাভিয়া থেকে মুসলিম ঐতিহ্যকে ব্যপকভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং পাশ্চাত্য শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে।

আজকে জানে না ইংল্যান্ড ও ফিলিপাইনের মত রাষ্ট্রগুলি এবং বর্তমান বিশ্বের প্রতাপশালী ও খৃষ্ট শাসিত দেশগুলিকে একদিন মুসলমানরাই শাসন করেছিল। চলমান ইতিহাসের উদ্ধৃতি দিয়ে তা যদিও প্রমাণ করা যাবে না কিন্তু পুরাতত্ব-পুরাকীর্তি অস্বীকার করবার অবকাশ কোথায়?

এখন প্রাচীন পুরাকীর্তিই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এর স্বপক্ষে লন্ডন থেকে প্রকাশিত বাংলা সাপ্তাহিক সুরমা এর ১৯৯১ সালের ১১ই অক্টোবর সংখ্যাটিতে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশিত হয়। তাছাড়া বৃটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত এক প্রাচীন মূদ্রার প্রামাণ্য তথ্যে এ সত্যটি প্রমাণিত হয়।

বৃটিশ মিউজিয়ামে যে প্রাচীন মূদ্রাগুলি সংরক্ষিত আছে সেখানে রাজা ওফারেঘ্রের শাসনামলের মূদ্রাও আছে। মূদ্রার এক পাশে লিখা রয়েছে রাজা ওফারেঘ্রের নাম ও ছবি এবং অন্য পার্শ্বে আরবী হরফে লিখা আছে লা-ই-লাহা ইল্লাল্লাহু লা শারীকালাহু। বিধর্মীদের কোন রাজার মূদ্রায় ইসলামের মর্মবাণী এক আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা অংকিত থাকবে, তাও আবার আরবীতে, তা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।

আরও পড়তে পারেন-

উল্লেখ্য শুধু ইউরোপেই নয় বরং তাদের অগ্রাসী কালো থাবা এশিয়া মহাদেশের উপরই বিস্তার লাভ করেছিল সবচেয়ে বেশী। আমাদের দেশও তা থেকে নিস্কৃতি পায়নি। প্রায় দু’শত বছর ধরে এ দেশটি খ্রীষ্টান সাম্রাজ্যবাদীরা শাসন করেছে। এক সময় হিন্দু মুসলিম বিশেষ করে মুসলমানদের তুখোর আন্দোলনের মুখে যখন এদেশকে তাদের পক্ষে সরাসরি শাসন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন তারা পততাড়ি গুটাতে বাধ্য হয়।

কালের আবর্তে আজ আমরা বৃটিশ বেনিয়া এবং পাকিস্তানী শাসন-শোষণের যাঁতাকল থেকে মুক্ত হয়ে মর্যাদা সম্পন্ন একটা স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি। হলে কি হবে, এখনো কিন্তু আমরা সাাম্রাজ্য ও আধিপত্যবাদি অপশক্তির কালো নখর থাবা ও গুটিবাজি থেকে নিষ্কৃতি পাইনি।

সত্যিকথা বলতে কি, এখনো যেন তারা পরোক্ষভাবে আমাদের দেশটিকে শাসন করছে। আর দুঃখজনক যেটা সেটা হলো বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্র পরিচালনায় এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা কিনা আল্লাহর বিধানকে তোয়াক্কা না করে পাশ্চাত্যের প্রভুদের তুষ্ট রাখতে নিজের স্বার্থে আইন প্রনয়ণ তথা নিজেদের গদি টিকিয়ে রাখতে এবং নিজেদের আখের গোছাতেই সদা ব্যস্ত।

জনসমর্থনহীন ও পর মুখাপেক্ষী ঋণ নির্ভর সরকার বাইরের শক্তির প্রেসক্রিপশনে দেশ চালাতে প্রয়াস পাচ্ছে। আর বহি:শক্তিকে খুশী রাখতে পাশ্চাত্যের লেজুড় এনজিও’গুলোকে এদেশে খুঁটি গেড়ে বসতে ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যারা কিনা এদেশের মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা তাদের মন থেকে মুছে ফেলে বিজাতীয় ভাব ধারায় চলতে অভ্যস্ত করে তুলছে। নীতি-নৈতিকতাহীন ভোগবাদি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন, সাংস্কৃতি আগ্রাসন, সর্বত্র নগ্নপনা ও অবাধ যৌনতার কৌশলী প্রচলন চেষ্টা এবং পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থাবিরোধী নানা উদ্যোগ জাতি হিসেবে আমাদের গন্তব্যবে ধর্মহীন ভোগবাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

ইসলামী অনুভূতি এবং চেতনা বিনষ্ট করেই তারা তৃপ্ত হতে পারছে না। বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে যেন ইসলামী চেতনা ফিরে আসতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তারা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করছে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশ একটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদেরকে অনৈসলামী কর্মকান্ড নীরব দর্শকের মত দেখছি মাত্র। কিন্তু আমাদের ধর্ম ও ঐতিহ্যবিরোধী এসব বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন উৎখাত বা বাধা দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছি না। বরং নিজেরা কলহবিবাদ ও নিজেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের বিধ্বংসী প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে আছি।

আসলে আমাদের ঐক্যের বড় অভাব। আর তাই পদে পদে আমরা নির্যাতিত হচ্ছি, লাঞ্ছিত হচ্ছি। আর এর মূল কারণ হলো আমরা আজ ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। উম্মাহর চেতনাবোধ ভুলতে বসেছি। আমরা নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি ইবাদত কিছু কিছু পালন করছি বটে, কিন্তু ইসলামের যে মূল লক্ষ্য, তা আজ আমরা বিস্মৃত হতে চলেছি। আমাদের মধ্যে আজ দ্বীনের বুঝ নেই। দ্বীনের মেহনত নেই। আসলে আমরা প্রত্যেকেই আজ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি। নিজের কাজকে বড় মনে করছি। অপরের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াচ্ছি। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা প্রভৃতি আমাদের মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

বস্তুত ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান যেখানে পদদলিত হয়, সেখানে প্রকাশ্যে অনৈসলামী ও অশ্লীল কার্যকলাপ চলতে থাকে। সেখানে পৌত্তলিক সংস্কৃতি তথা মুর্তিপূজা, আদর্শ-ধর্ম-নীতিহীন শিক্ষা ও নগ্নপনা-অবাধ যৌনতার মত গর্হিত কাজও চলতে থাকে।

মোটকথা যেখানে ইসলামের ন্যায়-নীতি, ইনসাফ, সুবিচার, পরোপকার, আত্মত্যাগ ও সামাজিক বন্ধনের সংস্কৃতিকে ধূলোর সাথে মিশিয়ে দেবার ষড়যন্ত্র চলে আর কোন গোষ্ঠী যদি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও তার প্রতিরোধ করবার চেষ্টা না করে, তবে সেখানে আল্লাহর গযব যে নেমে আসবে, তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। আর এতে করে যে সব আল্লাহর বান্দা তাঁর ধ্যানে মগ্ন থাকে, তারা যে রেহায় পাবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

দৃষ্টান্তস্বরূপ এখানে আমরা বাগদাদ ও স্পেনের কথা তুলে ধরতে পারি। ইতিহাস স্বাক্ষ্য বহন করে যে, হালাকু খান যখন বাগদাদ ধ্বংস করতে উদ্যত হয়, সেখানে ক্ষমতার মসনদ ও সীমাহীন বিলাসিতায় নিমগ্ন ছিল আমির ওমরাহ্গণ। আর আলেম সমাজের মধ্যে বিভাজন ও অনৈক্য প্রকটভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। যদিও কিছু আলেম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা রক্ষায় সচেষ্ট ছিলেন। কিন্তু হলে কি হবে, তাঁরা সংখ্যায় ছিলেন অতি নগন্য।

একইভাবে স্পেনের আটশত বছরের রাজত্বও ধ্বংস হয়েছিল দুঃখজনকভাবে। সেখানেও একই ঘটনা। স্পেনীয় শাসকগোষ্ঠী যখন বিলাসিতার সরবরে নিমজ্জিত। আলেম সম্প্রদায় যখন স্ব-স্ব পথের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত। স্পেনে বসবাসরত আরব মুসলমান ও স্পেনীয় মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য যখন তুঙ্গে, তখন তাদের জীবনেও নেমে আসে বিপর্যয়।

দুঃখজনক ব্যাপার হলো, জাতির ঘোর দুর্দিনেও তারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। দলীয় শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে গিয়ে তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি ইউরোপীয় আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে।

আজ ভাববার সময় এসেছে। দেশে দেশে আজ ঈমানদার মুসলিম জনগণ এবং পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের লেজুড় ভিত্তিক সরকারগুলির অবস্থান পরস্পরের মুখোমুখি। আমাদের দেশের অবস্থা আরো নাজুক। ইসলামবিদ্বেষী শক্তি আমাদের ঋণ নির্ভর সরকারের দুর্বল অবস্থানকে আশ্রয় করে এই দেশের মুসলমানদের ঈমানী চেতনা বিনষ্ট করার জন্য কুট-কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। অতীতে যেমনিভাবে তারা ইসলাম পন্থীদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টির বীজ বপন করেছিল, আজও সেই রাস্তা ধরে আমাদের দেশের আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থীদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করবার প্রয়াস পাচ্ছে। আলেম-উলামাকে জনবিচ্ছিন্ন করতে নানা অপবাদ ও অপপ্রচারের মেশিন চালু করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, এক শ্রেণীর আলেম তাদের খপ্পরে পড়ে নিজেদের ঈমান নষ্ট করে উম্মাহর ও আলেম-উলামার ঐক্য বিনষ্টে লিপ্ত হয়েছে। আত্মকলহের নতুন নতুন উপাদান আবিষ্কার করে মাঠে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

আজকের এই পরিস্থিতিতে উম্মাহর মধ্যে একটা নিবিড় ঐক্য একান্ত প্রয়োজন। কোন তরীকা সঠিক আর কোন তরীকা সঠিক নয়- এখন সেই বিতর্কের সময় নয়। কোন দল বড় কোন দল ছোট অথবা কোন দল পঞ্চাশ বছর ধরে সংগ্রামরত আর কোন দল পাঁচ বছর ধরে সংগ্রাম করছে, তা দেখলে চলবে না। আজ জেগে উঠতে হবে। জেগে উঠতে হবে কুরআনী ও তৌহিদী ঐক্যের ভিত্তিতে এবং গ্রহণ করতে হবে ইসলামী শিক্ষার আশ্রয়। কেননা মহান আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, ইনসাফ কায়েম ও মুক্তি কেবল অর্জিত হতে পারে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বন্ধুত্ব এবং মুসলমানদের পারস্পরিক ভালবাসার ভিত্তিতে।

হযরত আবু মূসা আশয়ারী (রাযি.)এর এক বর্ণনায় জানা যায় যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সমস্ত মুসলমান একটা ইমারতের মত। যার এক অংশ অপর অংশকে সুদৃঢ় করছে। তারপর তিনি তার আঙ্গুলগুলির মধ্যে আঙ্গুল চালনা করে দেখালেন যে, এইভাবে (অর্থাৎ ইমারতের গাঁথুনিতে এক ইট অপর ইটকে যেভাবে সাহায্য করে সেই ভাবে) তারাও পরস্পরকে সাহায্য করবে।

সম্প্রতিক কালের আফগানিস্তান তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এক সময় আফগানিস্তান চরম দলাদলি ও অনৈক্যের মধ্যে পতিত হয়েছিল। একদল আরেক দলকে সহ্য করতে পারতোনা। অতঃপর তাদের উপর নেমে এলো দুর্যোগ। নেমে এলো সোভিয়েত লাল ফৌজের নির্যাতন। অবশেষে সর্বদলের মধ্যে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হলো। তারপর সত্য প্রতিষ্ঠার রক্তাক্ত লড়াই চালিয়ে গেল দীর্ঘদিন একসাথে এবং পরাভূত করল দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ পরাশক্তি রাশিয়াকে। এরপর রহস্যজনক টুইন টাওয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে আবারো আফগানিস্তানে পৃথিবীর বৃহৎ পরাশক্তি আমেরিকা তাদের অন্যান্য দোসরদেরকে নিয়ে আফগানিস্তানে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তছনছ করে দিল পুরো দেশটাকে। লাখে লাখে আফগানকে হত্যা করলো। কিন্তু আফগানরা আদর্শ ছাড়েনি, ঐক্য ভাঙ্গেনি। যার ফলে পুনরায় ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে আফগানরা বর্তমান সুপার শক্তিকে পরাস্ত করে আবার বিজয়ী হয়েছেন। তাদের ঐক্যের ফলে পর পর বিশ্বের তিন পরাশক্তিকেই পরাস্ত করার স্বাদ নিতে পেরেছে তারা।

কাজেই বর্তমান দুর্গতি থেকে যদি বাঁচতে হয়, বিপর্যয়কে যদি অতিক্রম করতে হয়, তাহলে আমাদেরকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং ন্যায়, ইনসাফ, সুবিচার, মানবাধিকার, সম্পদের সুষম বণ্টন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিয়োজিত হতে হবে। অনৈসলামী কর্মকান্ডকে বন্ধ করে এখানে ইসলামের ন্যায়-ইনসাফ, সুবিচার, সহাবস্থান ও সামাজিক বন্ধনপ্রথা কায়েম করতে হবে। স্মর্তব্য যে, মু’মিনদের আন্তরিক আকাংখা ও কর্ম যখন আকাশমুখী হবে, তখনই আল্লাহর সাহায্য নেমে আসবে। সুতরাং নিরাশ হবার কিছু নেই। নাসরুম মিনাল্লাহি ওয়া ফাতহুন কারীব।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।