নূরানী তালিমুল কুরআন বোর্ড চট্টগ্রাম বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কুষ্টিয়া মুমতাজুল উলুম মাদ্রাসায় চলমান মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেছেন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুবাল্লিগে ইসলাম আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) কুষ্টিয়া সফরকালে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সচিব ও মেখল হামিউসসুন্নাহ মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক মাওলানা জমির উদ্দীন।
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদেরকে মোবারকবাদ জানান।
এ সময় আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী নতুন মুয়াল্লিমদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিশু-কিশোরদের মাঝে বিশুদ্ধ কুরআন ও দ্বীনি শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার মহান উদ্দেশ্য নিয়েই আপনারা মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে এসেছেন। মহান আল্লাহর রহমতে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পরীক্ষা সম্পন্ন করে আপনারা যার যার নীড়ে ফিরে যাবেন। আপনাদের এই মহান উদ্দেশ্যের সফলতার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করছি। আমি পূর্ণ আশাবাদি, আপনারা দীর্ঘ প্রশিক্ষণে যে শিক্ষা পেয়েছেন, তা ধারণ করে কুরআনী শিক্ষার বিস্তারে বৃহৎ খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাবেন। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম দ্বীনি শিক্ষা নিয়ে গড়ে ওঠার পাশাপাশি আদর্শ জাতি ও সমাজ বিনির্মাণের কাজে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়তে পারেন-
- প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিবাহ্ সম্পর্কে শরয়ী বিধান
- ইসলামের আলোকে নারীর কর্মপরিধি
- সালাম: উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষার অন্যতম বাহন
- বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ: বাস্তবতা ও অপপ্রচার
- সকালের ঘুম যেভাবে জীবনের বরকত নষ্ট করে
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন শিশুদেরকে শিক্ষাদানের সময় প্রশিক্ষণকালীন অর্জিত শিক্ষা ও জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের প্রতি যত্নবান থাকার তাগিদ দেন। শিশু শিক্ষার্থীদেরকে মারধর বা রূঢ় শাসন পরিহার করে আদর-যত্নের সাথে শিক্ষাদানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি মুয়াল্লিমদেরকে কর্মজীবনে সার্বক্ষণিক অধিক ইবাদত-বন্দেগী ও সুন্নাতের উপর আমল করার উপদেশ দিয়ে বলেন, এতে করে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন তরুণ আলেমদেরকে শিক্ষাদানের খেদমতের পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজে যার যার সাধ্যমতো শরীক থাকার উপদেশ দেন এবং সাপ্তাহিক বৃহস্পতিবার ও প্রতিষ্ঠানের ছুটিকালীন সময়ে দাওয়াত ও তাবলীগে সময় লাগানোর জন্য আহ্বান জানান।
বক্তব্য শেষে আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন সকল মুয়াল্লিমদেরকে ৪ তরিকায়ে বায়াত গ্রহণ করান এবং প্রাথমিক কিছু আমল দেন। পরিশেষে অশ্রুসিক্ত দুয়ার মাধ্যমে বয়ান শেষ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫শে মার্চ থেকে ১০২ জন মুয়াল্লিমের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়। প্রশিক্ষণ পরিচালনায় আছেন নূরানী বোর্ডের সিনিয়র প্রশিক্ষক ও পরিদর্শক মাওলানা এমদাদুল্লাহ সালাম ও মাওলানা মুফিজুল ইসলাম নুরানী।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ