Home মহিলাঙ্গন সন্তানের জীবন গঠনে মায়ের অনবদ্য ভূমিকা

সন্তানের জীবন গঠনে মায়ের অনবদ্য ভূমিকা

।। মুশতারী তাসনীম মুন্নী ।।

একজন নারী সর্বপ্রথম যে পরিচয়ে গর্ববোধ করে তা হলো মায়ের পরিচয়। মা যেমন সন্তানের জন্য আল্লাহর অপার নেয়ামত, আর সন্তানও মায়ের জন্য আরেক নেয়ামত। গর্ভধারণ হতে শুরু করে সন্তানের পূর্ণাঙ্গ জীবন স্তরে উপনীত হতে মায়ের দায়িত্ব অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ।

প্রথমেই একটি হাদিসের বাণী তুলে ধরি। আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, “তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন রক্ষক এবং তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে। আমীর রক্ষক, একজন ব্যক্তি তার পরিবারের লোকদের রক্ষক, একজন নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের রক্ষক। এ ব্যাপারে তোমরা প্রত্যেকেই রক্ষক, আর তোমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অধীনস্থ লোকদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। (বুখারি, হাদিস- ৫২০০)।

এখানে হাদীসের উল্লেখ এজন্যই করা, যাতে প্রচলিত চকচকে দুনিয়ার কথাকে গ্রাহ্য করে একজন দায়িত্বশীল মুসলিম মায়ের জন্য সন্তানের প্রতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেয়ার সুযোগ নেই।

বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন, পুরুষের দায়িত্ব হলো পরিবারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। পরিবারের নারী সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ সব ধরনের অধিকার রক্ষা করা ও প্রয়োজন নিবারণ করা। আর স্ত্রীর দায়িত্ব হলো- ঘরের কাজকর্ম সম্পন্ন করা, সন্তান পরিচর্যা করা, সেবক-সেবিকাদের পরিচালনা করা এবং সব বিষয়ে স্বামীর কল্যাণকামী হওয়া। (ফাতহুল বারি- ১৩/১১)।

যথাযথভাবে সন্তান পালনের মাধ্যমে মা অবশ্যই বড় সওয়াবের অধিকারী হবেন। এসব কাজে মা যতক্ষণ ব্যস্ত থাকেন, পুরো সময়ই সওয়াবের অন্তর্ভুক্ত হয়।

হযরত আয়েশা (রাযি.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আরও এসেছে, ‘এক দরিদ্র্য নারী তার দুই সন্তান নিয়ে আমার কাছে এলো। আমি তাকে তিনটি খেজুর দিলাম। তখন সে তাদের উভয়কে একটি করে খেজুর দিল। আরেকটি খেজুর সে নিজে খাওয়ার জন্য মুখের কাছে নিল। তখন তার দুই মেয়ে তার কাছে আরও চাইল। সে নিজের খেজুরটি দু’জনের মাঝে ভাগ করে দিল। তার এ বিষয়টি আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)এর কাছে ঘটনাটি বললে তিনি ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিয়েছেন। অথবা তিনি বলেছেন, এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন’। (মুসলিম, হাদিস- ২৬৩০)।

অন্য আরেক হাদীসে আছে, হযরত আবু উমামাহ (রাযি.) বর্ণনা করেন, এক নারী তার দুটি সন্তানসহ মহানবী (সা.)এর কাছে আসে। সে একটি সন্তানকে কোলে এবং অপরটিকে হাতে ধরে নিয়ে আসে। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, গর্ভধারিণী, সন্তান জন্মদানকারিণী এবং সন্তানের প্রতি মমতাময়ী তারা যদি স্বামীদের কষ্ট না দেয়, তবে তাদের মধ্যে যারা নামাযী তারা জান্নাতে যাবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস- ২০১৩)।

এই হাদীস দু’টি উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে, আমাদের সমাজের তথাকথিত নারীবাদের প্রবক্তাদের ধারণা, ঘর-সংসার নারীকে একঘেঁয়ে ও পরজীবী করেছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের সন্তান স্বামী হতে আলাদা রাখার, আলাদা করার জন্য মরিয়া। ওরা একের অধিক সন্তান জন্মদানে নারীকে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারণা চালায়। অথচ একেকটি সন্তান মায়ের জন্য আখিরাতের পাথেয়।

এতো গেলো দুনিয়া পরবর্তী জীবনে সন্তান পালনের মর্যাদা। দুনিয়ায় সন্তান মায়ের সবচেয়ে আপনজন। কাছের জন। মায়ের জন্য সবচেয়ে ভরসার আশ্রয়। নারী জীবনের পূর্ণতা। সমাজের চোখে সন্তানহীন নারী অপয়া কিংবা দোষী। সমাজ কিংবা রাষ্ট্র নারীর অবদান।

কেননা, আমি নারী, আমি মা। আমি পুরুষ জন্মদানকারী। আমার পেটেই ধারণ করি যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদের। যাঁদের আলোয় দুনিয়া হয় আঁধার মুক্ত। আমিই ভূমিষ্ঠ করি বিশ্বজয়ী যোদ্ধাদের। আমার পেটেই বেড়ে ওঠে এক এক জগদ্বিখ্যাত শাসক, যাদের শাসনে পুরো পৃথিবী পরিচালিত হয়। সেই আরশের মালিক আমাকে দুনিয়ায় বংশ বিস্তারের জন্য আবর্তন করেছেন। আমি গর্বিত। কারণ, আমার পরিচয় আমি ‘মা’।

যে সন্তানের জন্য আমি মা হয়ে গর্ববোধ করি, সেই সন্তানের প্রতি রয়েছে প্রতিটি পদে পদে আমরা মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আসুন সংক্ষিপ্ত পরিসরে মায়েদের কিছু দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করি।

সন্তান গর্ভধারণ হতেই আপনাকে ওর ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। ওর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে আপনাকে যথাসাধ্য পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে। আর চরিত্র গঠনে আপনাকে ইবাদতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। যবানকে রাখতে হবে যিকিরের সাথে মনে মনে কিংবা অল্প শব্দে। হাদিস কুরআনের সংস্পর্শে থাকুন। আল্লাহ চাইলে এতে সন্তান আমলি হবার সম্ভবনায় বরকত হবে।

এবার সন্তান জন্মপরবর্তী সময়ে মায়েদের দায়িত্ব নিয়ে কিছু আলোচনা করি। সন্তানের বৃদ্ধি আর সুস্থতার দিকে খেয়াল রাখুন। সংসারের পাশাপাশি সন্তান পালনও নিজের রুটিনে রাখুন।

সন্তানের খাওয়া, ঘুমানোর প্রস্তুতি, গোসল ও পরিচ্ছন্নতার দিক সব নিজ হাতে সামলান। ছোট হতেই ওর সাথে আপনার বন্ডিং মজবুত রাখুন।

সন্তানের মুখে একটু কথার বুলি ফুটে উঠার সাথে সাথে কালিমা বা আল্লাহর যিকিরে অভ্যস্ত করুন। কেননা, হাদীসে বলা হয়েছে, “যে ব্যক্তির প্রথম উচ্চারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং শেষ উচ্চারণ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, সে জান্নাতী। কেননা, আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করবেন, নয় তো তার জীবনে কোনো গুনাহ হবে না”।

সন্তানের বুঝজ্ঞান শুরুর সাথে সাথে গল্পচ্ছলে আমাদের নবী-রাসূলের গল্প বলুন। বলুন জান্নাতের অপার নেয়ামতের কথা। বলুন আল্লাহর প্রতিটি দয়ার কথা। বলুন বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরির গল্প। দিন ছোটদের প্রতি স্নেহশীল হবার উৎসাহ।

আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে তার মস্তিস্কে এটা বপন করুন যে, সে একজন মুসলিম এবং সে একজন আশরাফুল মাখলুকাত। এজন্য তার আচরণ কেমন হওয়া উচিত। কি কি বর্জন করা দরকার। অবশ্যই ধীরে ধীরে, আদরের সাথে, আদেশের সুরে।

একজন মা একজন সন্তানের প্রথম শিক্ষক। হরফ জ্ঞান আপনার হতেই শিখে। তাই আপনাকে ভাষার প্রাঞ্জলতা ধরে রাখতে হবে। কেননা, ব্যবহারের সৌন্দর্য কিন্তু ভাষায় লুকিয়ে থাকে।

সন্তানের মানসিক দিক আপনাকে বুঝতে হবে। একঘরে করে রাখবেন না। ছোট বড়ো সবার সাথে মেশার জন্য আদব শিক্ষা দিন। সমবয়সীর ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব শিক্ষা দিন। ঘরের অন্যান্য শিশু বা তাদের ভাই-বোনদের সাথে খাবার ও পোষাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বদঅভ্যাস করতে দিবেন না। সমবয়সী অন্যদের সাথে ছাড় দেয়ার মানসিকতার অনুশীলন করাবেন এবং ইসলামের আলোকে পরস্পর সহযোগিতা ও দয়ার্দ্র হওয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরবেন। সবার সাথে সহনশীলতা, ন¤্রতা ও ভদ্রতার সাথে চালচলনের দিক খেয়াল করে সেমতে অনুশীলনে তদারকী করবেন।

সন্তানের হাত দিয়ে দান-সদকা করাবেন। এতে করে বড়ো হয়ে ওর দান সদকার প্রতি অভ্যাস তৈরি হবে। ছোট আওয়াজে কথা বলা শেখাবেন। নিজেদের বিছানা ও পোষাকপরিচ্ছদ তাদের নিজেদেরকে দিয়েই পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলবেন।

প্রতিবেশী বা সহপাঠীদের সাথে সদ্ব্যবহার ও ভদ্রতা শেখান। শিক্ষকদের মর্যাদা ও গুরুত্ব বুঝাবেন। এসব অনুশীলনে বয়স অনুপাতে সহনশীলভাবে অনুশীলন করাবেন, বাড়তি চাপ তৈরি যেনো না করে, সেদিকেও নজর রাখবেন।

সন্তানের খাবারের রুচিবোধ বুঝতে শিখুন। সাধ্যমতো ওর পছন্দের খাদ্য পরিবেশন করুন। এক ধরনের খাবার বাচ্চার রুচি নষ্ট করে। খাবার গ্রহণের সময় আদব-কায়দা ও রুচিসম্মতভাবে পরিবেশনের অনুশীলন করাবেন যত্নের সাথে। কারণ, খাবার গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।

আরও পড়তে পারেন-

বাচ্চার বিনোদনের প্রতিও খেয়াল রাখুন। হালাল খেলাধুলা কিংবা ড্রয়িংয়ে ওর পছন্দের প্রাধান্য দিন। বর্তমান যুগ মোবাইল গেমসের ছড়াছড়ি। বাচ্চাকে ছোট হতেই মোবাইল আসক্তির দূরে রাখুন। বেশি হলে তিলাওয়াত বা বাদ্যবাজনাহীন ইসলামী সঙ্গীত কিংবা বিভিন্ন দেশ পরিচিতি বা আমাদের ধর্মীয় গল্প পড়তে দিন। ছোটদের উপযোগী করে লেখা নবী ও সাহাবাদের জীবনী পড়তে দিন।

বাচ্চারা বড়ো হবার সাথে সাথে ওদের আচরণ পরিবর্তন হবে। দু’ চারটি ভুল হওয়া সাধারণ বিষয়। সেখানে আপনাকে এক বিশাল দায়িত্ব নিতে হবে। প্রথমে ভালোবেসে বোঝাবেন। বার বার বুঝাবেন। পরে একটু আদেশের সুরে। তারপর একটু কড়া শাসনে। তবে কখনোই এমন রাগান্বিত হওয়া যাবে না যাতে ওদের শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয় কিংবা জেদ চেপে বসে।

আর অনেক ক্ষেত্রে শাসন সবার সম্মুখে করবেন না। একান্তে বোঝাবেন। শেখাবেন। আচরণের ভালোর দিক বা মন্দ দিক দেখিয়ে দিবেন।

নামাযের সাথে বাচ্চাদের পরিচয় তৈরি করুন ছোট হতেই। নিশ্চয়ই নামায আপনার সন্তানকে সমস্ত অন্যায় হতে দুরে রাখবে।

রোযার প্রতি উৎসাহিত করুন। একটি দুটি করে ছোট হতেই অভ্যস্ত করুন। এতে করে রোযা ফরয হবার আগেই পুরো রোযা রাখার অভ্যেস হয়ে যাবে।

বালেগ হবার বয়স হতেই পর্দার বিষয়ে কড়াকড়িভাবে শাসন দিন। কুরআন হাদীসের আলোকে এর সুফল জানান। নফস, চোখ, হাত, পা সব হতে সন্তানকে পাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

কৈশোরে সবচেয়ে বেশি কেয়ারে রাখুন ও সতর্ক থাকুন। এই সময়টা পুরোপুরি আবেগীয়। আবেগের বশে কোনো ভুল সিদ্ধান্তে না যায়, সেদিকে নজর রাখুন।

সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখুন। ওর চাওয়াগুলোর মূল্য দিন- যদি তা শরীয়ত এবং সামর্থ্য অনুযায়ী হয় এবং ক্ষতিকর না হয়।

সন্তানের জীবনসঙ্গী নির্বাচনে সন্তানের মতামত জানুন। সন্তানের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আপনার অবদান কিন্তু এখানে এক বিশাল অবদান রাখবে। ভবিষ্যত আগামী সুন্দর করার জন্য বর্তমান সুন্দর প্রয়োজন।

আরেকটি অভ্যাস যেটা ছোট হতেই শিখাবেন। সন্তানের পিতা। সন্তানের বটবৃক্ষ। অনেক মায়ের অভিযোগ থাকে বাবাকে নিয়ে। বাবারও গাফলতি থাকে সন্তানের মায়ের প্রতি, সংসার কিংবা সন্তানের প্রতি। আপনি এখানে মা। সন্তান আপনার হতেই বাবার প্রতি ভালোবাসা কিংবা অবহেলা শিখবে। আপনি সন্তানদের বাবার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করবেন। শ্রদ্ধাবোধ বা সম্মান রাখবেন। সন্তানদের সামনে কখনোই দাম্পত্য কলহ টানবেন না। ওটা আপনার চারদেয়ালে আটকে রাখুন। সন্তানদের ছোট হতেই দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করবেন। বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যে সাওয়াব ও সুফল আছে জানাবেন। পিতা-মাতার অবাধ্যতার শাস্তি কি তাও বোঝাবেন।

বাবা কতো কষ্ট করে ওদের পেছনে পড়াশোনা, স্বাদ-আহ্লাদ ও ভরণপোষণের ব্যয়ভার বহন করেছেন- এগুলো আপনিই আদরে শাসনে জানাবেন, শেখাবেন।

আপনার সন্তানের পেছনে আপনার এই পরিশ্রম কখনোই কোনো অর্থের মাপে সমান হবে না। এর প্রতিদান কেবলমাত্র আল্লাহই দিতে পারবেন। আল্লাহ চাইলে দুনিয়ায় আপনার সন্তানের মাধ্যমেই আপনার জীবনের সব চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণতা দিবেন। আর পরীক্ষা নিতে চাইলে আখিরাতে দিবেন। কিন্তু আপনাকে হাল ছাড়লে চলবে না।

একজন নারী যখন মা হয়ে সন্তানের জন্য নিজের সব আহ্লাদ বদলে কেবল মা হয়ে যায়, তখন তার ধ্যানধারণা শুধু সন্তানের ভালোর জন্যই হয়।

তাই মায়ের অবদান কখনোই লিখে বা কাব্যগ্রন্থে লিপিবদ্ধ করার নয়। এর অবদানে সমাজ সংসার হয় সুন্দর। আর মায়ের জন্য আখিরাতের পথ হয় মসৃন।

আল্লাহ আমাদের সকল মায়েদের সবর ও সাহস দান করুন যোগ্য সন্তান প্রতিপালনে। আমিন।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।