আমাদের পূর্বসূরীরা আমাদেরকে বয়কট করা শেখাননি, কিন্তু কখনও কখনও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না যে, হয় আমাদের কথার মূল্য দেওয়া হবে, অন্যথায় আমরা ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব না।
কোথাও বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠান হচ্ছে, সকল আয়োজন জমজমাট, কিন্তু পর্দা-পুশিদার কোনো ব্যবস্থা নেই। আপনি ভাবছেন যে, ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠবে। তাদের মন খারাপ হবে। কিন্তু একথা কি ভেবেছেন যে, আপনি তাদের অভিযোগের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও তারা আপনার অভিযোগের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেনি।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
আপনি একজন পর্দানশীন নারী। আপনাকে দাওয়াত করার ব্যাপারে আগ্রহী হলে কেন তারা সেখানে পর্দার ব্যবস্থা করল না? তারা যখন আপনার বিশ্বাস ও আদর্শ সম্পর্কে সচেতন হতে পারেননি তখন আপনার জন্যও তাদের মনরক্ষার ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি নয়।
পরিষ্কার বলে দিন, এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। যে পর্যন্ত কিছু নারী শক্ত হয়ে এই সংকল্প না করবেন- নিশ্চিত থাকুন-ততদিন পর্যন্ত অবস্থার পরিবর্তন হবে না।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ