Home ইসলাম চ্যাটিং অ্যাপে সালামের জবাব দেওয়ার বিধান

চ্যাটিং অ্যাপে সালামের জবাব দেওয়ার বিধান

তালহা হাসান   

সালাম শব্দের অর্থ শান্তি। ইসলামে পারস্পরিক সাক্ষাতের সময় সালাম দিয়ে অভিবাদন জানানোর বিধান রয়েছে। সালামের পুরো বাক্য হলো—আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থ- আপনাদের ওপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক।

এর জবাবে বলা হবে—ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থ- আপনাদের ওপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘যখন তোমাদের সালাম দেওয়া হবে তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমভাবে অথবা সেটাই জবাবে বলবে। ’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬)

আলেমদের মতে, সালাম দেওয়া সুন্নত। আর এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব। ইমাম নববী (রহ.) বলেছেন, ‘একদল লোককে সালাম দেওয়া হলে এর উত্তরে একজন উত্তর দিলে সবার পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে। আর শুধু একজনকে সালাম দেওয়া হলে শুধু তার জন্য জবাব দেওয়া আবশ্যক। (আল-মাজমুউ : ৪/৫৯৩)

হাদিসে সালামের জবাব দেওয়াকে একজন মুসলিমের অন্যতম অধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘একজন মুসলিমের ওপর অন্য মুসলিমের অধিকার পাঁচটি। তা হলো—সালাম দিলে জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজায় উপস্থিত হওয়া, দাওয়াত দিলে যাওয়া এবং হাঁচি দিলে উত্তর দেওয়া। ’ (বুখারি, হাদিস : ১২৪০)

আরও পড়তে পারেন-

হাদিসে সালামকে জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম উপায় হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরিপূর্ণ মুমিন না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর পারস্পরিক ভালোবাসা ছাড়া তোমরা পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের একটি বিষয়ের কথা বলব, যার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি হবে? তোমরা সালামের প্রসার ঘটাও। ’ (তিরমিজি, হাদিস: ২৫১৩, মুসলিম : ৫৪)

কেউ পত্রযোগে সালাম দিলে সেই পত্র পাওয়ার পর তাত্ক্ষণিক সালামের জবাব দিতে পারবে। আবার চাইলে পত্রের উত্তরে লেখার সময় সালামের জবাব দিতে পারবে। আর কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সালাম পৌঁছালে এর জবাবও তাত্ক্ষণিক মুখে দেবে। সালামের উত্তরে সালামের বাহককেও অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যাহ আল-কুবরা, ৪/২৪৬)

তাই বলা যায়, ই-মেইল, মোবাইলের মেসেজ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ সালাম দিলে এর জবাব লিখেও দেওয়া যাবে কিংবা তাত্ক্ষণিক তা মুখে জবাব দিলেও হবে। তবে এখন যেহেতু প্রযুক্তির উন্নতির কারণে ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, ভাইবার ইত্যাদিতে বার্তা পাঠালে অপর প্রান্তের ব্যক্তিটি বার্তা দেখছে কি না তা বোঝা যায়। তাই লিখিতভাবে জবাব না দিলে বার্তা প্রেরক কষ্ট পাওয়ার আশঙ্কা থাকে বিধায় এর উত্তর লিখিত দিয়ে দেওয়াই উত্তম।

উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।