Home ইতিহাস ও জীবনী শিশুদের সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

শিশুদের সাথে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম

।। বিনতে জাহাঙ্গীর ।।

ছোট্ট একটি বীজ হতে বেড়ে উঠে একটি চারা। উপযোগী পরিবেশ, পরিমিত আলো-বাতাস, রোদ-পানি পেলে সময়ের সাথে সাথে বেড়ে উঠে চারাটি। পরিণত হয় সবুজ-শ্যমলিত এক বৃক্ষে।

তেমনি মানব শিশুরা হল মানব বৃক্ষের ছোট্ট ছোট্ট চারা। উপযুক্ত তালিম, শিক্ষা-দীক্ষা, যত্ন-ভালবাসা পেলে তারা গড়ে উঠে বিশাল ফলবান বৃক্ষরূপে। সুন্দর আচরণ, ভালো কর্ম দ্বারা ছায়া দেয় আগামী দিনের সমাজ ও জাতিকে। তাইতো উম্মাহ-দরদী প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের ভাবনায় সর্বদা চিন্তিত থাকতেন। বেশি ভাবতেন ছোট ছোট শিশু-কিশোরদের নিয়ে। শিশু দুনিয়ায় আগমন হতে শুরু করে, প্রতিটি ধাপে কিভাবে সে ভালো হতে পারে, মহান মানুষে পরিণত হতে পারে, নবীজি তা শিখিয়েছেন। অভিভাবকদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, কখনো শিশু-কিশোরদের সরাসরি বুঝিয়েছেন-শিখিয়েছেন।

নবীজির এত চেষ্টা-প্রচেষ্টার কারণ ছিল, যাতে আমরা জ্ঞান-গরিমা, আদব-আখলাক , সভ্যতায় মহান হতে পারি। সমাজের বুকে আলোর মিনার হয়ে বিরাজ করতে পারি। নবীজি ভালবাসতেন আমাদের। নিষ্পাপ শিশু-কিশোরদের।

শিশুদের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা ও প্রগাঢ় মমতাঃ

১. নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার দাওয়াত খেতে বের হলেন। হঠাৎ দেখলেন নাতি হুসাইন রাস্তায় খেলা করছে। নবীজি সবার আগে এগিয়ে দুহাত বাড়িয়ে দিলেন পরম মমতায়। ছোট্ট হুসাইন এদিক-সেদিক ছোটাছোটি শুরু করলো। নবীজি তাকে (ধরার জন্য এটা ওটা বলে) হাসাচ্ছিলেন। অবশেষে তাঁকে ধরে ফেলেন। এরপর এক হাত তার থুতনির নিচে ও আরেক হাত মাথার পিছে রাখলেন। তারপর তার মাথাকে নিচু করে তার মুখে মুখ রেখে চুমু খেলেন এবং বললেন- হুসাইন আমার হতে ও আমি হুসাইনের হতে। যে হুসাইনেকে মহব্বত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে মহব্বত করুন। (সুনানে ইবনে মাজাহ- ১৪৪; সহীহ ইবনে হিব্বান- ৬৯৭১; আল আদাবুল মুফরাদ- ৩৬৪, মুসনাদে আহমাদ- ১৭৫৬১)।

২. একদিন নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মজলিসে সাহাবীরা (রাযি.) বসে ছিলেন। আরো ছিলো ছোট ছোট শিশুরা। নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের সাথে কথা বলছেন আবার শিশু সাহাবীদের কাছে ডেকে আদরও করছেন। নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মমতার ছোঁয়া পেয়ে শিশুরা খিল খিল করে হাসছে! যেন চাঁদমুখ বেয়ে জোছনা ঝরছে! এক গ্রাম্য সাহাবী রা: অবাক হয়ে তা দেখছিলেন এবং বললেন-

‘আপনারা বাচ্চাদের এত আদর করেন, চুমু দেন! আমরা আদর করি না, চুমুও দেই না! নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘আল্লাহ যদি তোমার অন্তরে দয়া-মায়া না দেন, তবে আমি কি করব!’ (বুখারী- ৫৯৯৮; মুসলিম- ২৩১৭; সুনানে ইবনে মাজাহ- ৩৬৬৫; মুসনাদে আহমাদ- ২৪২৯১)।

৩. নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিশুপুত্র ইবরাহীম রা:। মদীনার পাশের এক গ্রামে সে দুধপান করতো। নবীজি সেখানে যেতেন ছেলেকে দেখতে। আনাস রা: বলেন, ইবরাহীম মদীনার আওয়ালীতে দুধপান করতেন। নবীজি সেখানে যেতেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে যেতাম। ঘরে প্রবেশ করে নবীজি ইবরাহীমকে কোলে তুলে নিতেন, আদর করে চুমু খেতেন। তারপর চলে আসতেন। (সহীহ মুসলিম- ২৩১৬)।

আরেক বর্ণনায় আছে, আদর করে চুমু খেতেন ও এবং নাকে-মুখে লাগাতেন। (সহীহ বুখারী- ১৩০৩)।

৪. ইবরাহীম রা: ১৬/১৮মাস বয়সে ইন্তিকাল করেন। দয়ার নবীজি খুব বিষণ্ন হয়ে পড়েন। নবীজি ইবরাহীমকে দেখার জন্য গেলেন। তখন ইবরাহীমের প্রাণ ওষ্ঠাগত। তা দেখে নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চোখ হতে অশ্রু ঝরতে লাগল। আব্দুর রহমান বিন আউফ রা: বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনিও (কাঁদছেন)? তিনি বলেন, এটা হল রহমত। তারপর আরো অশ্রু গড়িয়ে পড়ল এবং নবীজি বললেনÑ নিশ্চয় চক্ষু অশ্রু ঝরাচ্ছে এবং হৃদয় বিগলিত হচ্ছে। তবে আমরা মুখে কেবল তাই বলব, যা আমাদের রব পছন্দ করেন। তোমার বিরহে আমরা বড়ই ব্যথিত হে ইবরাহীম! (সহীহ বুখারী- ১৩০৩)।

৫. মেয়ে সন্তানদের প্রতিও নবীজির ছিল অসম্ভব মায়া-মমতা। প্রগাঢ় ভালবাসা। নবী তনয়া উম্মে কুলসুম (রাযি.)এর মৃত্যুর পর নবীজি তার কবরের পাশে বসলেন। তাঁর চোখ হতে তখন অবিরাম অশ্রু ঝরছিল। (সহীহ বুখারী- ১২৮৫)।

ফাতিমা রা: নবীজির দরবারে এলে নবীজি এগিয়ে যেয়ে তার হাত ধরতেন, চুমু দিতেন এবং নিজের আসনে বসাতেন। নবীজিও যখন ফাতিমা রা: এর কাছে যেতেন তিনিও উঠে এসে পিতাকে চুমু দিতেন ও নিজ আসনে বসাতেন। (সুনানে আবূ দাঊদ: ৫২১৭; জামে তিরমিযী- ৪২১০)

৬. নবীজি কন্যাদের মারহাবা-সম্ভাষণ জানাতেন। একবার ফাতিমা (রাযি.) হেঁটে আসছিলেন। তাঁর হাঁটার ধরন ছিল নবীজির মত। তাঁকে আসতে দেখে নবীজি বলে উঠলেন- ‘আমার কন্যাকে সুস্বাগতম!’ এরপর মেয়েকে নিজের ডানে বা বামে বসালেন। (সহীহ বুখারী- ৩৬২৩; সহীহ মুসলিম- ২৪৫০)।

৭. এক সফরে নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কায় আগমন করলেন। আব্দুল মুত্তালিব গোত্রের শিশুরা নবীজিকে ইস্তিকবাল (সম্ভাষণ) করতে এগিয়ে এলো। তখন নবীজি আব্বাস রা: এর দুই ছেলে কুসাম ও ফযলকে তাঁর বাহনে উঠিয়ে নিলেন। একজন সামনে, আরেকজন পেছনে। (সহীহ বুখারী: ১৭৯৮, ৫৯৬৬)।

৮. হযরত আনাস রা: নবীজির খাদেম ছিলেন। খুব চঞ্চল বালক ছিলেন তিনি। নবীজিও তার সাথে রসিকতা করতেন। রসিকতা করে কখনো ‘হে দুই কানওয়ালা’ বলে ডেকেছেন। (সুনানে আবূ দাঊদ; ৫০০২; জামে তিরমিযী- ২১০৯)।

হযরত মাহমূদ বিন রবী রা: -কে একবার নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে আনা হল। নবীজি রসিকতা করে বালতি হতে একটু পানি মুখে নিয়ে তার উপ ছিটিয়ে দেন। তখন মাহমূদ রা: এর বয়স ছিল পাঁচ বছর। (সহীহ বুখারী- ৭৭)।

৯. আবু হুরাইরা রা: বলেন- একবার নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হুসাইনকে কাঁধে উঠিয়ে রেখেছেন। আর তাঁর লালা গড়িয়ে পড়ছে নবীজির শরীরে। (সুনানে ইবনে মাজাহ- ৬৫৮; মুসনাদে আহমাদ- ৯৭৭৯)।

শিশুমনের অনুভূতির মূল্যায়ন ও শিশুদের প্রতি সহনশীলতাঃ

১০. একবার নবীজি নামাযে একর সিজদাহে অনেক সময় অতিবাহিত করলেন। নামায শেষে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! নামাযে দীর্ঘ সিজদাহ করলেন। আমাদের তো আশঙ্কা হচ্ছিল কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কিনা! বা ভাবছিলাম আপনার প্রতি কোনো অহী নাযিল হল কিনা! নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনÑ এগুলোর কোনোটিই ঘটেনি; বরং আমার এই ছেলে (নাতি) আমার উপর সওয়ার হয়েছে। আমার পছন্দ হল না তার (শিশু মনের) ইচ্ছেটুকু পূরণের আগেই তাকে সরিয়ে দেই। (সুনানে নাসায়ী- ১১৪১; মুসনাদে আহমাদ- ১৬০৩৩)।

১১. হযরত আয়েশা (রাযি.) নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী। তিনি অনেক ছোট ছিলেন। তাই নবীজির ঘরে তিনি তার বান্ধবীদের সাথে খেলা করতেন। তিনি নিজেই বলেন- আমার কয়েকজন বান্ধবী আমার সাথে খেলত। নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘরে এলে বান্ধবীরা লজ্জায় লুকিয়ে যেত। তখন তিনি একজন একজন করে তাদেরকে আমার কাছে পাঠাতেন। তারা আবার আমার সাথে খেলতে শুরু করত। (সহীহ বুখারী- ৬১৩০; সহীহ মুসলিম- ২৪৪০)।

১২. হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, একবার নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কোনো জরুরতে এক জায়গায় পাঠাতে চাইলেন। আমি (রসিকতা করে) বললাম, আল্লাহর কসম! আমি যাব না; কিন্তু মনে মনে যাওয়ার নিয়ত ছিল। যাওয়ার জন্য রাওয়ানা হলাম। বাজারে শিশুরা খেলাধুলা করছিল। (আমি খেলা দেখতে লেগে গেলাম) হঠাৎ নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পিছন হতে আমার ঘাড় ধরলেন! আমি তাঁর দিকে তাকালাম। দেখি তিনি হাসছেন! বললেন, প্রিয় আনাস! তুমি কি সেখানে গিয়েছিলে? বললাম, জী হাঁ, রাসূলুল্লাহ এখনি যাচ্ছি। (সহীহ মুসলিম- ২৩১০; সুনানে আবূ দাঊদ- ৪৭৭৩)।

১৩. নবীজির দশ বছর খিদমতকারী সাহাবী আনাস রা: বলেন, আল্লাহর কসম! নবীজি কোন আমাকে ‘উফ’ বলেন নি। আমি (অযাচিত) কোনো কিছু করলে বলেননি- এটা কেন করলে? তেমনি কোন কাজ না করলে বলেননি- এটা কেন করলে না? (সহীহ মুসলিম- ২৩০৯; সুনানে আবূ দাঊদ- ৪৭৭৩)।

আরও পড়তে পারেন-

১৪. আবূ লায়লা (রাযি.) বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বসা ছিলাম। হাসান বা হুসাইন নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র বুকে বসা ছিল। হঠাৎ দেখি সে ফিনকি দিয়ে পেশাব করছে। (তাকে সরাতে) আমরা উঠলাম। নবীজি বললেন- আমার ছেলেকে (নাতি) ছেড়ে দাও। তাকে ভয় পাইয়ে দিয়ো না; পেশাব শেষ করতে দাও। (মুসনাদে আহমাদ- ১৯০৫৯)।

শিশুদের প্রতি কল্যাণকামনাঃ

১৫. নবীজির নিকট মদীনার শিশুদের নিয়ে আসা হত। নবীজি তাদের বরকতের জন্য দুআ করতেন। (সহীহ বুখারী- ৬৩৫৫; সহীহ মুসলিম- ২৮৬)।

নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা নিজেদের জন্য, বাচ্চাদের জন্য, সম্পদের জন্য বদদুয়া করো না। হতে পারে দুয়া কবুল হবার সময় বদ দুয়া করলে, আর আল্লাহ তাআলা তা কবুল করে নিলেন। (মুসলিম- ৩০০৯; আবূ দাঊদ- ১৫৩২)।

শিশুদের জন্য নবীজির কিছু উপদেশমালাঃ

১৬. নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে উপনীত হলে নামাযের আদেশ করো। (সুনানে আবূ দাঊদ- ৪৯৫)।

১৭. যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে বা সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসবে, তোমরা তোমাদের শিশুদের আটকে রাখবে। কারণ, এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর রাতের কিছু অংশ যখন অতিক্রান্ত হয়, তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার। (সহীহ বুখারী- ৩৩০৪)।

১৮. হযরত উমর ইবনে আবী সালামা (রাযি.)কে নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, বাবা! সামনে এসো এবং ডান হাত দিয়ে তোমার সামনের দিক হতে খাও। (শামায়েল- ১৮২)।

১৯. কিশোর আনাস (রাযি.)এর প্রতি নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কয়েকটি উপদেশমালা-

  • বাবা! পরিপূর্ণভাবে উযু করো, তোমাকে দেখভালকারী ফেরেশতারা ভালবাসবে। এতে তোমার বয়স (বরকত) বাড়বে।
  • বাবা! সম্ভব হলে সর্বদা উযুর হালতে থেকো। কারণ, যে ব্যাক্তি উযুর হালতে মারা যাবে, সে শহীদি মৃত্যু বরণ করবে।
  • বাবা! সর্বদা নামাযের পাবন্দী করো। যতক্ষণ তুমি নামাযে থাকবে, ফেরেশতারা ততক্ষণ তোমার মাগফেরাত কামনা করবে। নামাযে এদিক-ওদিক তাকাবে না।কারণ, নামাযে এদিক-সেদিক তাকানো ধংসাত্মক। যদি কোন কারণে তাকাতেই হয়, তবে তা নফল নামাযে, ফরযে নয়।
  • হে বৎস! বাড়িতে প্রবেশকালে নিজের ও পরিবারের জন্য সালাম বলো।(ইবনে আসাকির: ৩/১৪৫)।

২০. কিশোর ইবনে আব্বাস (রাযি.)এর প্রতি নবীজির উপদেশমালা-

  • তুমি আল্লাহ তাআলার (তিনি যা আবশ্যক করেছেন) তার প্রতি খেয়াল রেখো, তবে আল্লাহ তাআলাও তোমার প্রতি খেয়াল রাখবেন। তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে।
  • তুমি সচ্ছলতায় আল্লাহকে স্মরণ করো, তিনি তোমার বিপদের সময় তোমাকে স্মরণ করবেন।
  • যখন চাওয়ার প্রয়োজন হয়, আল্লাহ তাআলার কাছে চাও। সাহায্যের প্রয়োজন হলে আলআহ কাছে সাহায্য চাও। (মুসনাদে আহমাদ- ২৮০৩) ।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।