Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ পবিত্র কুরআনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

পবিত্র কুরআনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

।। সংকলনে- মুফতি সফিউল্লাহ ।।

কুরআন সংকলনের ইতিহাস:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে কোরআন এক জায়গায় সংকলিত ছিল না। কারো কাছে একটি সূরা কারো কাছে একটি আয়াত বা হাড্ডি পাথর পাতায় লিপিবদ্ধ ছিল

হজরত আবু বকর রা:-এর খেলাফতকালে ইসলামের অন্যতম ঘোর শত্রু মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের সাথে ইয়ামামায় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। সেই যুদ্ধে প্রায় বারশত মুসলিম সাহাবায়ে কেরাম শহীদ হন তন্মধ্যে হাফেজ ও কারীরাও শহীদ হন। এত বিপুলসংখ্যক হাফেজে কুরআন শহীদ হওয়ায় সায়্যিদুনা উমারে ফারুক রা: খুবই মর্মাহত হলেন এবং ভবিষ্যতে এভাবে হাফেজে কুরআন শহীন হলে এক সময় হাফেজে কুরআন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করলেন। বিধায় তিনি, খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত আবু বকর রা:-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এবং সম্পূর্ণ কুরআন একত্র করার প্রতি উৎসাহিত করলেন। কিন্তু হজরত আবু বকর রা: বিষয়টি অগ্রাহ্য করলেন। এতদসত্ত্বেও হজরত উমর রা: পিছপা হলেন না। বরং বারবার বলতেই থাকলেন, অবশেষে হজরত আবু বকর রা:-এর এ বিষয়ে বক্ষ খুলে গেল তাই পূর্ণ কুরআন একত্র করার অনুমতি দিলেন, অবশেষে হজরত যায়েদ ইবনে ছাবিত রা:-কে ডাকলেন এবং পূর্ণ কুরআন একত্র করার নির্দেশ দিলেন।

কুরআনের প্রথম একত্রিত সেই কপি আবু বকরের কাছেই তার ওফাত পর্যন্ত রয়ে গেল অতঃপর তার ওফাতের পর কুরআনের এ কপি হজরত উমর ফারুক রা:-এর কাছে ছিল তিনি ওফাত বরণের পর তারই কন্যা রাসূল সা:-এর স্ত্রী হজরত হাফছা রা:-এর নিকট রাখলেন অতঃপর কুরআনের এই মূল কপির অনুসরণ করে আরো অনেক কফি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করা হলো।

হজরত ওসমান রা:-এর খেলাফতকালে কুরআন সংরক্ষণ : যখন ইসলামের বিজয় ব্যাপক হতে লাগল এবং বিভিন্ন দেশের অনারবগণ প্রচুর পরিমাণে মুসলমান হতে শুরু করল যাদের মাতৃভাষা আরবি না হওয়ার কারণে তারা আরবি হরফগুলো সাধারণত সহিহ শুদ্ধভাবে আদায় করতে পারত না। এ ছাড়াও খোদ আহলে আরবদের মধ্যে আঞ্চলিক ভাষা ভিন্ন ভিন্ন ছিল। এ ছাড়াও হজরত ওসমানের খেলাফতের সময় যখন আরমিনিয়া ও আজারবাইজান জয় হলো এবং শাম ও ইরাকের সৈনিকেরা একত্র হলো তখন তাদের মধ্যে হয়রান করার মতো কেরাত ভুল দেখা গেল এমনকি প্রত্যেকেই নিজের কেরাতকে সহিহ শুদ্ধ দাবি করার শুরু করল।

তখন হজরত হুজাইফা রা: অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হজরত ওসমান রা:-কে অবগত করলেন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করলেন। হজরত যায়েদ ইবনে ছাবেত, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের, সাইদ ইবনে আছ এবং আবদুর রহমান ইবনে হারেছকে পুনরায় কুরাইশের ভাষায় হাফছা রা:-এর কাছে সংরক্ষিত কপির অনুরূপ একাধিক কপি লিপিবদ্ধ করার আদেশ দিলেন। কপিগুলোকে যথাক্রমে মক্কা, মদিনা, শাম, বসরা এবং কুফায় প্রেরণ করলেন। পরিশেষে এক কপি হজরত ওসমান রা: নিজের কাছে রাখলেন

এক নজরে কুরআনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

৬১০ খ্রিস্টাব্দ ও রমজান মাসের কদরের রজনীতে হেরা পর্বতের গুহায় সর্বপ্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয়।

• অবতীর্ণের মোট সময়কাল ২২ বছর পাঁচ মাস ১৪ দিন।
• প্রথম নাজিলকৃত পূর্ণ সুরা হলো সুরা ফাতিহা।
• সর্বপ্রথম নাজিলকৃত কোরআনের আয়াত হলো সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত।
•কোরআনের প্রথম শব্দ হলো ‘ইকরা’—তুমি পড়ো।
•কোরআনের সর্বশেষ নাজিলকৃত সুরা হলো সুরা আন-নসর এবং সর্বশেষ নাজিলকৃত আয়াত হলো সুরা বাকারার ২৮১ নম্বর আয়াত।
•কোরআন নাজিল শেষ হয় হিজরি ১১ সালের সফর মাসে।
• কোরআনের সর্ববৃহৎ সুরা হলো সুরা বাকারা। এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬।
• কোরআনের সবচেয়ে ছোট সুরা হলো সুরা কাওসার। এর আয়াত সংখ্যা ৩।
• পবিত্র কোরআনের মোট সুরা ১১৪টি। এর মধ্যে মাক্কি সুরা (হিজরতের আগে বর্ণিত) ৯২টি, মাদানি সুরা (হিজরতের পরে বর্ণিত) ২২টি।
• কোরআনে মোট ৫৪০টি রুকু আছে।

আরও পড়তে পারেন-

• কোরআনের আয়াতের ধরন—আদেশসূচক আয়াত এক হাজার, নিষেধসূচক এক হাজার, সুসংবাদসূচক এক হাজার, ভীতি প্রদর্শনসূচক এক হাজার, কাহিনীমূলক এক হাজার, দৃষ্টান্তমূলক এক হাজার, হালালসংক্রান্ত ২৫০, হারামসংক্রান্ত ২৫০, দোয়া, জিকির ও তাসবিহসংক্রান্ত ১০০টি।

• কোরআনের মোট শব্দ ৮৬ হাজার ৪৩০টি।
• কোরআনের মোট অক্ষর তিন লাখ ৪৭ হাজার ৮৩৩টি, মতান্তরে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৩৭০টি, মতান্তরে তিন লাখ ৫১ হাজার ২৫২টি।
• কোরআনের মোট মনজিল সাতটি এবং পারা ৩০টি।

• কোরআনের মোট হরকত—জের ৩৯ হাজার ৫৮২, জবর ৫২ হাজার ২৩৪, পেশ হলো আট হাজার ৮০৪, জজম এক হাজার ৭৭১, নুকতা এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৮১, তাশদিদ এক হাজার ৪৫৩, ওয়াকফ্ ১০ হাজার ৫৬৪, মাদ এক হাজার ১৭১ ও আলিফ মামদুদাহ ২৪০টি।

• কোরআনে হরফের সংখ্যা—আলিফ ৪৮ হাজার ৪৭৬ বা ১১ হাজার ৪৪২, তা ১০ হাজার ১৯৯, ছা এক হাজার ২৭৬, জিম তিন হাজার ২৭৩, হা তিন হাজার ৯৭৩, খা দুই হাজার ৪৪৬, দাল পাঁচ হাজার ৬৪২, জাল চার হাজার ৬৭৭, রা ১১ হাজার ৭৯৩, জা এক হাজার ৫৯৩, সিন এক হাজার ৮৯১, শিন দুই হাজার ২৫৩, ছোয়াদ দুই হাজার ১৩, দোয়াদ এক হাজার ৬০৭, তোয়া এক হাজার ২৭৭, জোয়া ৮৪২, আইন ৯ হাজার ২২০, গাইন দুই হাজার ১০৮, ফা আট হাজার ৪৯৯, ক্বাফ ছয় হাজার ৮১৩, কাফ ৯ হাজার ৫০২, লাম ৩৩ হাজার ৪৩২, মিম ২৬ হাজার ৫৬০, নুন ৪৫ হাজার ১৯০, ওয়াও ২৫ হাজার ৫৩৬, হা ১৯ হাজার ৭০, লাম আলিফ চার হাজার ৭২০, ইয়া ৪৫ হাজার ৯১৯টি।

• হানাফি মাজহাব মতে, কোরআনে তিলাওয়াতে সিজদা ১৪টি এবং সাকতার সংখ্যা চারটি।
• কোরআনে নবী ও রাসুলের নাম এসেছে ২৫ জনের। ফেরেশতার নাম এসেছে চারজনের। শয়তান শব্দটি এসেছে ৮৫ বার, ইবলিস এসেছে ১১ বার। জিনজাতির প্রসঙ্গ এসেছে ৩২ বার।

• নবীদের মধ্যে পবিত্র কোরআনে সবচেয়ে বেশি এসেছে মুসা (আ.)-এর নাম। তাঁর নাম এসেছে ১৩৫ বার।
• কোরআনে ছয়জন কাফিরের নাম আছে।
• কোরআনে বিসমিল্লাহ নেই সুরা তওবায়।
• কোরআনে বিসমিল্লাহ দুইবার এসেছে সুরা নামলে।
• কোরআনে বর্ণিত একজন সাহাবি হজরত জায়েদ (রা.)।
• কোরআনে বর্ণিত একজন নারী মারইয়াম বিনতে ইমরান।
• কোরআনের প্রথম ওহি লেখক জায়েদ বিন সাবেত (রা.)।
•কোরআনের প্রথম ও প্রধান তাফসিরবিদ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)।

কুরআনের নাম :

• ইমাম জারকাশি (রহ.)-এর অভিমত হলো, কোরআনে কারিমের গুণবাচক নামের সংখ্যা প্রায় ৯৯ টি।
• আল্লামা আস সুয়ুতি (রহ.) কোরআনের ৫৫টি নাম উল্লেখ করেছেন।
• মুফতি তকি উসমানি কোরআনে কারিমের নাম ৯০টিরও অধিক বলে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি কোরআনে কারিমের প্রকৃত নাম ৫টি ছাড়া অন্যগুলোকে তার বিশেষণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন

আল্লামা ইমাম জারকানি (রহ.) বলেন, কোরআনের নামের সংখ্যা এতো অধিক হওয়ার কারণ হলো- কোরআনে কারিমের গুণবাচক নামগুলোকে মূল নামে আখ্যা দেওয়া। এর ফলে নামের সংখ্যা এতো অধিক হয়েছে। অন্যথায়, বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে কোরআনে কারিমের সর্বমোট নাম ৪টি। সেগুলো হলো- ১. আল-কোরআন, ২. আল-ফোরকান, ৩. আজ-জিকর ও ৪. আত-তানজিল।

• ইমাম ইবনু জারীর তবারী রাহ.-সহ অনেকে কুরআনের চারটি নাম উল্লেখ করেছেন। যথা : আলকুরআন, আলকিতাব, আলফুরকান ও আযযিকর। অনেকে আবার এর সাথে পঞ্চম আরেকটি নাম ‘আততানযীল’ও যোগ করেছেন। এছাড়াও অনেকে কুরআনে কারীমের জন্য ব্যবহৃত গুণবাচক বিভিন্ন শব্দ ও বিশেষণকেও নাম হিসেবে গণ্য করেছেন। ফলে নামের সংখ্যায় কম-বেশি হয়েছে। •আবুল মাআলী শায়যালাহ ‘আলবুরহান ফী মুশকিলাতিল কুরআন’ কিতাবে কুরআনের পঞ্চান্নটি নাম উল্লেখ করেছেন।

• আলী ইবনু আহমদ আলহাররালী কুরআনের নাম উল্লেখ করেছেন নব্বইয়েরও বেশি।
• উমর ইবনু মুহাম্মাদ নাসাফী তার তাফসীরগ্রন্থের ভূমিকায় এবং মাজদুদ্দীন ফায়রুযাবাদী ‘বাসাইরু যাবিত তাময়ীয’ নামক তাফসীরগ্রন্থে একশত নাম উল্লেখ করেছেন।

কুরআনের পারা: হাফেজদের মুখস্থ করার সুবিধার্থে করা হয়েছে।

কুরআনের রুকু:

পবিত্র আল কোরাআনে রুকুর সংখ্যা ৫৪০ ।

পবিত্র কোরআনে পৃষ্ঠার পার্শ্বে আরবী ‘ع’ অক্ষর দিয়ে রুকুর চিহ্ন দেওয়া থাকে। অর্থের দিকে লক্ষ্য করে মূলত রুকু ঠিক করা হয়। অর্থাৎ যেখানে একটি বিষয়ের আলোচনা শেষ হয়েছে, সেই জায়গা বরাবর পার্শ্বে রুকুর আলামত ‘ع’ বসানো হয়। নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, কখন কে এই রুকুগুলো ঠিক করেছেন। সম্ভবত এর উদ্দেশ্য ছিলো, এমন একটি পরিমাণ ঠিক করে দেয়া, যতটুকু এক রাকাতে পড়া দরকার। পবিত্র আল কোরআনের এই রুকুকে, রুকু বলার কারণ হলো, সাধারণত এখানে পৌঁছে নামাজের রুকুতে যাওয়া হয়। তারাবির প্রতি রাকাতে যদি এক রুকু পরিমাণ তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে সাতাশতম রাতে পবিত্র কোরআন খতম হয়।

কুরআনের আয়াত সংখ্যা:

যুগ পরম্পরায় পূর্বসূরিদের থেকে প্রাপ্ত এবং সর্বজনস্বীকৃত গণনা পদ্ধতিগুলোতে ৬২০৪ এর কম এবং ৬২৩৬ এর বেশি কোন সংখ্যা নেই। প্রথমটি বসরী গণনার আয়াত সংখ্যা আর দ্বিতীয়টি কুফী গণনার আয়াত সংখ্যা।

এ বিষয়টিকে ইবনুল জাওযী রহঃ পরিস্কার ভাষায় লিখেছেন-

فقد وقع إجماع العادين على أن القرآن ستة ألاف ومئتا أية، ثم اختلفوا فى الكسر الزائد على ذلك….

অর্থাৎ আয়াত গণনাকারীদের এ ব্যাপারে ইজমা হয়েছে যে, মোট আয়াত সংখ্যা ৬২০০ এর কিছু বেশি। কত বেশি তা নিয়ে তাদের মাঝে ইখতিলাফ হয়েছে।

এরপর ইবনুল জাওযী রহঃ দুইশো এর কত বেশি সে সম্পর্কে আয়াত সংখ্যা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেখানে ৬২০৪ এর কম এবং ৬২৩৬ এর বেশি কোন সংখ্যার কথা উল্লেখ করেননি।

কুরআনের হরকত এবং নুকতা:

বর্তমান সময়ের বিখ্যাত আলেম, আল্লামা তকী উসমানী (দা.) ‘উলূমুল কুরআন’-এ উল্লেখ করেছেন যে, কুরআনের হরকত কে দিয়েছেন সে সম্পর্কিত সকল বর্ণনা সামনে রাখলে প্রতীয়মান হয় যে, হরকত সর্বপ্রথম হযরত আবুল আসওয়াদ দুয়ালী (রাহ.) আবিষ্কার করেন। কিন্তু হরকতের রূপ এখন যেমন দেখা যায় তেমন ছিল না। তখন ছিল ফোঁটার মতো। যবরের জন্য উপরে এক ফোঁটা দেওয়া হত, যেরের জন্য নিচে এক ফোঁটা আর পেশের জন্য সামনে এক ফোঁটা দেওয়া হত। তানভীনের জন্য দুই ফোঁটা ব্যবহৃত হত। এরপর খলীল বিন আহমদ (রাহ.) হামযাহ ও তাশদীদের বর্তমান রূপটি আবিষ্কার করেন।
এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইয়াহইয়া বিন ইয়ামার (রাহ.) ও নাসর বিন আসেম (রাহ.)- এর মাধ্যমে কুরআনে কারীমে হরফসমূহে নুকতা লাগানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময়ই মূলত নুকতা ও হরকতের পার্থক্যের উদ্দেশ্যে হরকতের বর্তমান রূপটি অবলম্বন করা হয়। (আলবুরহান ১/২৫০; উলূমুল কুরআন পৃ. ১৯৫)

কুরআনের প্রথম বাংলায় অনুবাদক- গিরিশচন্দ্র সেনের আগে ১৮০৮ খিষ্টাব্দে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলা চিলখাল মটুকপুর গ্রাম নিবাসী মৌলভী আমির উদ্দীন বসুনিয়া আমপারার কাব্যানুবাদ করেছিলেন। বাংলা ভাষায় কুরআন অনুবাদের তিনিই পথিকৃত।

লেখক: শিক্ষক, জামিয়া মিফতাহুল উলূম নেত্রকোনা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।