“অতীতে যেমন দালালরা ইতিহাসের আস্কাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে, বর্তমানের কুশিলবদের পরিণতিও তাই হবে “: মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী
দেশের সর্ববৃহৎ ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তীব্র প্রতিবাদী পোস্ট দিয়েছেন।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন—হেফাজতে ইসলাম একটি ঈমান-আক্বিদাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠন, যার কর্মপরিধি ও অবস্থান নির্ধারিত। অথচ সংগঠনের কিছু নেতা নাম-পদবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে উচ্চাভিলাষী ও বিভ্রান্তিকর কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, যা হেফাজতের নীতি ও চরিত্রের পরিপন্থী।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
নিজামপুরী লিখেছেন—
“অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে কি না—এসব হেফাজতের আলোচনার বিষয় নয়। এগুলো হেফাজতের ১৩ দফার মধ্যে নেই। দেশের রাজনীতিকরা এসব নিয়ে কথা বলবেন, কিন্তু হেফাজতের কর্ণধারদের উচিত নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেই অবস্থান রাখা।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন—জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যলয় নিয়ে যারা পূর্বে উত্তাল ভাষায় বলেছিলেন “প্রয়োজনে শহীদ হবো”, “কারবালা হয়ে যাবে”, “বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিবো”, তারাই এখন হঠাৎ নীরব কেন? কী প্রকার প্রভাব বা স্বার্থের বিনিময়ে এই পরিবর্তন ঘটল—তা হেফাজতের সাধারণ কর্মীরা জানতে চায়।
নিজামপুরী আরও সতর্ক করে বলেন—
“অতীতে যেসব নেতা হেফাজত নিয়ে তামাশা করেছেন, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আজ যারা একই ধারা অনুসরণ করছেন, তাদেরও পরিণতি ভিন্ন হবে না। ইনশাআল্লাহ।”
তার এই বক্তব্য তরুণ আলেম সমাজ ও ন্যায়নিষ্ঠ সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
উম্মাহ২৪ডটকম: আইএএ