Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ বিজয় দিবস এবং আমাদের ভাবনা

বিজয় দিবস এবং আমাদের ভাবনা

।। ইয়াহইয়া আহমদ।

বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে প্রিয় একটি দিবস হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর বা বিজয় দিবস। এ দিনে ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী থেকে যুদ্ধে জয়লাভ করে বিজয় অর্জন করেছি। তাই এদিন আমাদের সকলের অতি প্রিয়। প্রতি বছর এ দিনটি ঘুরে ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হয়। বিজয় দিবসের এ দিনে নানা কিছু আমাদের হৃদয়ে ভেসে উঠে।

প্রশ্ন জাগে কিসের বিজয়? কেমন করে আমাদের এই বিজয় অর্জিত হলো? কে আমাদের শত্রু? কে আমাদের বন্ধু বা মিত্র? এই দিনটিকে ঘিরে সকল প্রশ্নের জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে দ্বী-জাতিতত্বের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান ও ভারতবর্ষ নামে দুটি দেশের জন্ম হয়। ঐদিন পর্যন্ত বৃটিশ আমাদের শাসন করে। বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়। দীর্ঘ প্রায় দুই’শ বছর ব্রিটিশ বেনিয়ারা আমাদের ভারতবর্ষকে শাসন-শোষণ করে।

১৯৪৭ সালের পর থেকে পাকিস্তানের অংশ পূর্ব পাকিস্তান যা আজকের বাংলাদেশ নানাভাবে পাকিস্তানী শাসক দল কর্তৃক শোষিত হচ্ছিল। অত্যাচার, অনাচার, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, বাংলা ভাষার জন্য ১৯৪৭ সালের পর আমাদের আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমে এই আন্দোলন ছিল মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন। যখন জিন্নাহ বললেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, তখনই প্রতিবাদ ‘না-না’ বাংলা ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।

১৯৪৮ সাল থেকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন শুরু। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনে সালাম, রফিক, জব্বার প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করেছেন “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”। আজ বিশ্বজুড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি “ভাষা দিবস”। ঐদিনের স্মরণে জাতিসংঘে দিনটিকে “আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস” হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খান বিরোধী গণঅভ্যুত্থান আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পর ৭০ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসে।

নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয় লাভ করলেন। স্বাভাবিকভাবে বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করে পাকিস্তান শাসন করবেন। কিন্তু সেনা শাসক ইয়াহিয়া খান তা করতে দিলেননা। পূর্ব বাংলায় আন্দোলন অব্যাহত রইল। ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ভুট্টোর সঙ্গে আতাত করে ইয়াহিয়া খান পূর্ব বাংলার জনগনের উপর নির্যাতন শুরু করে দেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ আন্দোলনকামী বাংলার মানুষের উপর লেলিয়ে দেয়া পাকিস্তানী বাহিনী এক হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। তখন থেকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ।

১৯৭১ সালে ২৫ মার্চের পর থেকে মাত্র ৯ মাসে বাংলার দামাল ছেলেরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীনতার দোয়ারে নিয়ে উপনীত হয়। লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আমরা আমাদের বিজয় পতাকা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হই। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, মুক্তির দিবস। বিজয় দিবস আসলে আমাদের ভাবনাগুলো হৃদয়ে উঁকি দিতে থাকে। কেন আমরা যুদ্ধ করেছি? কি জন্য লক্ষ-লক্ষ তরুণ জীবন দিল? চেয়েছি কি? আমরা পেয়েছি কি? আমাদের যুদ্ধ, সংগ্রাম, ত্যাগ অনেকগুলো কারণকে নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল। কারণ এবং ভাবনাগুলো কিঞ্চিৎ আলোকপাত করছি।

স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীন বাংলাদেশঃ

বিজয় দিবসে আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস মনে করে দেয়। ছয় দফা কর্মসূচিভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন প্রথম থেকেই ছিল অত্যন্ত গতিশীল এবং জনসমর্থনপুষ্ট। ছয় দফা বাঙালির হৃদয় মনে এমনভাবে স্থাপিত হয়েছিল যেন এক জাতি, এক দেশ, এক নেতা, এক আন্দোলন। তাই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ পরিষদের ১৬২ আসনের মধ্যে ১৬০টি আসন লাভ করে বিজয় অর্জন করে।

নির্বাচনের এই ফলাফল ছিল আশাতীত এবং নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ প্রত্যাশা করেছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় সমাসীন হবে। কিন্তু পাকিস্তান শাসনকারী এলিটবৃন্দ আওয়ামীলীগকে ক্ষমতাসীন না করার ক্ষেত্রে ছিল অনমনীয়। এমনকি বাঙালী আধিপত্যে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে তারা রাজি ছিলনা। এমনিতে ছয় দফা দাবি অচিরে রূপ নিল একদফা দাবিতে, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে। আমাদের দাবি বিজয় ছিনিয়ে আনার মাধ্যমে আমরা বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য আরো অনেকদূর পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সার্বিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে আরো বেশি বেগবান করতে হবে। এজন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের বিজয় দিবস হোক আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণের দিবস।

অর্থনৈতিক মুক্তিঃ

অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছি। অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব বলেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের পর অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বাধীন ছিলামনা। অর্থনৈতিক বৈষম্য আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রাণিত করে। বৈষম্যের ফলে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে পড়ে। ১৯৫০ দশকে পূর্ব পাকিস্তানে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মোট বিনিয়োগ শতকরা ২১ ভাগ থেকে ২৬ ভাগ।

১৯৬০ এ তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় শতকরা ৩২ থেকে ৩৬ ভাগ। রেভিনিউ খাতে ওই সময় পূর্ব পাকিস্তানে ব্যয় হয় মোট ২৫৪ কোটি টাকা কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে ব্যয় করা হয় ৮৯৮ কোটি টাকা। এভাবে অর্থনৈতিক বৈষম্যের ফলে অত্র এলাকার মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছিল। নানাভাবে শোষণের ফলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়।

তাই আন্দোলন, সর্বশেষে মুক্তিযুদ্ধ। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের যুদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে ধনী দরিদ্রের ব্যবধান অনেক। তখন ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এখন ৪০ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর, লেখাপড়া জানেনা। তাই স্বাধীনতার ৪৬ বছরে এসে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের আরো উন্নত হতে হবে। আরো বেশি অর্থনৈতিক উন্নতি সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে আনতে হবে।

বিজয় দিবসের অঙ্গীকারদুর্নীতিকে না‘ বলা:

আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৫ বছর শেষে এখনো আমরা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছি। আমাদের সকল অর্জন দুর্নীতি নামক দানবটি খেয়ে ফেলেছে। তাই সমাজের উঁচু স্তর থেকে নিচু স্তর পর্যন্ত দুর্নীতিকে ‘না’ বলতে হবে।

দুর্নীতি নামক বস্তু সম্পর্কে আমাদের সকলের সমস্বরে ‘না’ বলতে হবে। বিজয় দিবসে আমাদের শিক্ষা এখন হতে হবে দুর্নীতিকে ‘না’ বলা। আমরা কি সকলে দুর্নীতিকে ‘না’ বলার সৎসাহস দেখাতে পারব? আমাদের “দুর্নীতি দমন কমিশন” রয়েছে। “দুর্নীতি দমন কমিশন” ১৪ বছর অতিক্রম করলো। “দুর্নীতি দমন কমিশন” কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে, তারা সঠিকভাবে দুর্নীতি দমন করতে কাজ করতে পারছে বা করছে! রাষ্ট্র “দুর্নীতি দমন কমিশনকে” স্বাধীন করে দিতে হবে।

রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যত দিন “দুর্নীতি দমন কমিশন” থাকবে ততদিন “দুর্নীতি দমন কমিশন” স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেনা। বর্তমানে “দুর্নীতি দমন কমিশন” না বলে “দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ কমিশন” বলতে পারেন। সরকার ইচ্ছা করলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করতে পারেন। কন্ট্রোল করতে পারেন। আবার ইচ্ছা করলে স্বাধীনভাবেও কাজ করাতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানকে সকল রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বে রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ দিতে হবে। তা না হলে সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবেনা। বিজয় দিবসে জাতি সকলের নিকট “দুর্নীতিকে ‘না’ বলার” আশা পোষণ করে।

বিজয় দিবস নৈতিকতা ও মূল্যবোধঃ

আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিকাশের জন্য। কিন্তু আজ আমাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ অনেক অনেক দূরে অবস্থান করছে। সমাজের সকল স্তরে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের দারুণ অভাব। ১৯৭১ সালে আমরা সকল অন্যায়, অবিচার, মূল্যহীন জীবনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করি। তা পরবর্তীতে মুক্তি সংগ্রামে রূপ নেয়। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি।

শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় দেশে স্থাপিত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাসের হারও বেশ সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু নৈতিক শিক্ষা, মূল্যবোধের শিক্ষা, মনুষ্যত্বের শিক্ষা আমরা পুরোপুরিভাবে দিতে এখনও সক্ষম হইনি। বিজয় দিবসে আমাদের মনে এ সকল চিন্তা নানাভাবে ঘোরপাক খাচ্ছে। এ দিনে আমাদেরকে এ সকল বিষয়ে আরো শক্তিশালী হওয়ার দৃঢ়তা শিক্ষা দেয়। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তরে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনতে হবে যাতে করে শিশুকাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীগণ নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হয়ে নিজকে গড়ে তুলতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

শিক্ষা তথা সুশিক্ষা ছাড়া কোনক্রমেই নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা হবেনা। মানুষ সত্যিকার মানুষ হতে পারবেনা। সার্টিফিকেট সম্পন্ন কিছু যুবক-যুবতী তৈরি করলে দেশ কখনো মৌলিক শিক্ষা লাভ করতে পারবেনা। শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চা নিজেদের মধ্যে আনতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন পালনে সকলকে সুযোগ দিতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী ছাড়া নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রী তৈরি হবেনা। তাই প্রথমে শিক্ষককে সুশিক্ষক হতে হবে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী তৈরির জন্য কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিজয় দিবস আমাদেরকে তা শিক্ষা দেয়।

আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করাঃ

আমাদের স্বাধীন বিচার বিভাগ রয়েছে। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। সাথে সাথে বিচার বিভাগের প্রয়োজন তাদের যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার নজির স্থাপন করা। বিচারহীনতা থেকে বেরিয়ে আসা। আইনের শাসন সকলের নিকট সমান ও গ্রহণযোগ্য, তা প্রমাণ করার জন্য বিচার বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। আজও সাধারণ মানুষ বিচার দায়ের করে ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত থাকে। এ অভিযোগ যাতে কেউ করতে না পারে সেরকম গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে বিচার বিভাগকে নিয়ে আসতে হবে।

আইনের শাসনকে সহজ ও সহজলভ্য করতে হবে। বিচার কাজের খরচ অনেক বেশি। সাধারণ একজন নাগরিক ন্যায়বিচার পাওয়ার আসায় অধিক খরচের জন্য আদালতে যেতে পারেনা। বিশেষ করে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের খরচাদি অধিক হওয়ার কারণে সাধারণ আয়ের মানুষ মামলা পরিচালনা করতে পারেনা। খরচ কমাতে হবে। খরচ কমানোর জন্য সরকার ও বিচার বিভাগকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দেশে গুম, খুন, হত্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার মূল কারণ ন্যায়বিচার না পাওয়া এবং দ্রুত বিচার থেকে মানুষ বঞ্চিত হওয়া। দ্রুত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারলে সমাজ থেকে গুম, খুন, অবিচার, অত্যাচার অনেক ক্ষেত্রে হ্রাস পাবে।

বিজয় দিবসে আমাদের ভাবনা ও ইচ্ছা- নিরপেক্ষ ও ন্যায়বিচার এবং দ্রুত বিচার কার্যকর সর্বত্র দেখতে চাই। তবেই আমাদের বিজয় হৃদয় মনে উৎফুল্লতা এনে দেবে। দেশকে সম্মুখপানে এগিয়ে নিতে আমাদের ভাবনাগুলো বাস্তবে রুপ নিক। বিজয় দিবসে এ প্রত্যাশা।

লেখকঃ প্রাবন্ধিককলামিস্ট শিক্ষকজামিয়া দারুল আবরার মাদ্রাসা পাখিয়ালা।