Home ইসলাম শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া রোযা না রাখা মহাপাপ

শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া রোযা না রাখা মহাপাপ

।। মুফতি মুহাম্মদ এনামুল হাসান ।।

আল্লাহতায়ালা মাহে রমজানের রোযা ফরয করে দিয়েছেন এবং পাশাপাশি রোযা পালনকারীর পুরুষকার ও প্রতিদান যেমন উল্লেখ করেছেন, তেমনি মাহে রমজানের রোজা পরিত্যাগকারীদের ও কি হবে তা ও উল্লেখ করেছেন।

শরিয়ত সম্মত কোনো ওজর বা কারণ ছাড়া রোযা না রাখা মহাপাপ এবং অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ। যারা ওজর ব্যতীত প্রকাশ্যে পানাহার করে, বস্তুত তারা ইসলামের একটি বৃহত্তম নির্দেশের অবমাননা করল।যাদের অন্তরে ইসলামের বিন্দুমাত্র স্থান নেই তারা ই এ অন্যায় করতে পারে।

হাদিস শরিফে হজরত আবু উমামাহ (রা:) থেকে বর্ণীত, রাসুল(সা:) ইরশাদ করেছেন, একদা আমি স্বপ্নে দেখলাম যে,একটি সম্প্রদায় উল্টোভাবে ঝুলছে (অর্থাৎ তার পা উপরে এবং মাথা নিচে) তাদের গাল চিরে দেওয়া হয়েছে, তা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম,এরা কারা? বলা হলো এরা ঐসকল মানুষ যারা রমজান মাসে বিনা ওজরে রোযা রেখে ভঙ্গ করেছে। (ইবনে খুযাইমা)।

আরও পড়তে পারেন-

রাসুলুল্লাহ (সা:)বলেছেন, বিনা ওজরে রমজানের রোযা ত্যাগকারী কাফির এবং গর্দান উড়িয়ে দেওয়ার যোগ্য।

যে ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ও কাযা করে বা ছেড়ে দেয়, সে যদি সারাজীবনভর ও রোযা রাখে তবু ও তার গুনাহর বদলা হবে না। (বুখারি শরিফ)।

হযরত আবু হুরাইরা (রা:)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার প্রদত্ত সুযোগের (সফর বা রোগ) অনুমতি ব্যতিত অন্যকোন কারণে রমজানের রোযা ভঙ্গ করে সে যদি যুগযুগ ধরে রোযা পালন করে তবু ও তার কাযা আদায় হবে না। (আবু দাউদ)।

এই রমজান মাস মুমিন বান্দাহর গোনা মাফ করাবার মাস। আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার মাস। যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে না পারা যায় তাহলে দুনিয়া আখিরাতের জীবন পুরুটা ই ক্ষতিগ্রস্ত। এই পবিত্র মাসে যে আল্লাহকে খুশী করাতে না পারল, সে নিতান্তই দুর্ভাগা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মাহে রমজানের রোযাকে যথাযথ সহিহ শুদ্ধ ভাবে রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার তাওফিক দান করুণ। আমিন।

লেখক: মুফতি মুহাম্মদ এনামুল হাসান, যুগ্ম সম্পাদক ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা।

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।