গভীর রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে বাসে ওঠেন তাঁরা। ভোরে নামেন চট্টগ্রাম শহরে। অলিগলি ঘুরে খুঁজতে থাকেন কোন বাসায় চুরি করা যাবে। লক্ষ্য নির্ধারণ হলে সংশ্লিষ্ট বাসায় ঢুকে চুরি করে আবার সকালে ফিরে যান চকরিয়ায়।
রোববার নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ এসব তথ্য জানতে পারে। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, তৌহিদুল ইসলাম (১৮), ছোটন মিয়া (১৮) ও সাইফুল ইসলাম (২৬)। তাদের সবার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার মধ্যম কোণাখালী গ্রামে।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তৌহিদুল চুরির ঘটনাকে আড়াল করতে নিজেকে আঞ্চলিক গানের শিল্পী পরিচয় দিতেন। ইউটিউবে তাঁর বিভিন্ন ‘স্টেজ প্রোগ্রামের’ ভিডিও আপলোড করা আছে। যাতে সহজে কেউ তাঁকে সন্দেহ করতে না পারে। গত দুই বছরে সহযোগীদের নিয়ে নগরে ৪০ টির বেশি চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তৌহিদুল।
ওসি কামরুজ্জামান আরও বলেন, সম্প্রতি নগরের হালিশহরে এক বাসায় চুরির ঘটনায় দুই চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে গত ৯ নভেম্বর বায়েজিদ বোস্তামীর গুলবাগ আবাসিক এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বাসা থেকে মুঠোফোন ও ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় জড়িতদের তথ্য পাওয়া যায়। পরে তাদের কাছ থেকে চুরি করা ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, বাসা থেকে ল্যাপটপ ও দুটি আই ফোন চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেছিলেন মাহবুব।
উম্মাহ২৪ডটকম: এসএএম