Home প্রবন্ধ-নিবন্ধ পৃথিবী নামের গ্রহটি মানবজাতির বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে

পৃথিবী নামের গ্রহটি মানবজাতির বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে

-প্রতীকি ছবি।

।। মুজতাহিদ ফারুকী ।।

বৈশ্বিক উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পৃথিবী। গলছে মেরুর বরফ আচ্ছাদন এবং হিমবাহগুলো। পাল্টে যাচ্ছে জলবায়ু। বিনষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির স্বাভাবিক ভারসাম্য। বাড়ছে দুর্যোগ, দুর্বিপাক। সাগরে পানির উচ্চতা বাড়ছে। অনেক দেশ সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা। পৃথিবী নামের গ্রহটি মানবজাতির বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে। অথচ এই পৃথিবী ছাড়া এমন আর কোনো জায়গা নেই যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারে। তাই ধরিত্রীকে বাঁচাতে নেয়া হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনার নানা উদ্যোগ।

বিশ্বের উত্তপ্ত হয়ে ওঠার মূল কারণ নানা গ্রিনহাউজ গ্যাস, যেমন কার্বন ডাই-অক্সাইড। এই কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জাতিসঙ্ঘ এরই মধ্যে ২৬টি বিশ্ব সম্মেলন করে ফেলেছে। তাতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের সম্মতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে যাতে তারা বিশ্বের উষ্ণায়ন দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে সচেষ্ট হন। কিন্তু সেটি হয়নি। গত অক্টোবরে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে কপ-২৬ নামের ওই সম্মেলন থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই কার্বন নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শুধু তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ্য অর্জনে ‘একসাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে। ফলে বলাই যায়, সম্মেলন কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।

উপরে যেসব কথা বলা হলো সেগুলো আমরা সবাই জানি। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সম্প্রতি দুনিয়াজুড়ে বিপুলভাবে আলোচিত এবং চর্চিত। কিন্তু বিশ্বের উষ্ণায়নের কারণে শুধু উল্লিখিত সমস্যাগুলোই সৃষ্টি হচ্ছে তা নয়। এগুলোর চেয়ে আরো বড়, আরো ভয়াবহ হুমকি সামনে আসছে। কিন্তু তা নিয়ে কোথাও তেমন আলোচনা নেই। আমরা অত্যাসন্ন সেই ভয়ঙ্কর বিপদ নিয়ে আলোচনা করব।

আমরা জানি, পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চল ও আরো কিছু শীতলতম এলাকা বছরের পর বছর ধরে বরফে ঢেকে থাকে। পৃথিবী উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় চিরবরফের সেই অঞ্চলগুলোতে ক্রমশ বরফ গলছে, বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কমে আসছে। এতে করে বরফঢাকা যেসব ভূমি উন্মোচিত হয়ে পড়ছে সেগুলোর গঠন পাল্টে যাচ্ছে। অর্থাৎ ওইসব ভূমিও গলে যাচ্ছে, থকথকে কাদার মতো হয়ে যচ্ছে। কমপক্ষে দুই বছর যদি কোনো ভূমি বরফে ঢাকা থাকে তাহলে সেই ভূমিকে বলে পারমাফ্রস্ট (Permafrost – ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চল)। পারমাফ্রস্ট মাটি, বালু বা শিলাচূর্ণ এসব দিয়ে তৈরি। এর ভেতরে বরফও থাকে। সেই বরফ গলে গেলে মাটি বসে যায়, কখনো নতুন জলাশয় তৈরি হয়, কখনো গহ্বর। পারমাফ্রস্ট বরফের নিচে দুই ফুট থেকে শুরু করে এক মাইল বা তারও বেশি পুরু। উপরের বরফ স্তরের বয়সও বিভিন্ন। কোনো এলাকা হয়তো দুই বছর থেকে কয়েক দশক আগে বরফে ঢাকা পড়েছে। কোনো এলাকা হাজার হাজার কিংবা লাখো বছর ধরে বরফাচ্ছাদিত। উত্তর মেরু অঞ্চলের এক চতুর্থাংশই পারমাফ্রস্ট, যার আয়তন আনুমানিক ৯০ লাখ বর্গমাইল বা তারও বেশি। আর এটি পুরো যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং কানাডার মিলিত আয়তনের সমান। এই বিশাল বরফের দেশে বাস করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ।

বরফ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে উত্তর গোলার্ধের গোটা সাইবেরিয়া, কানাডার পুরো উত্তরাঞ্চল যা তুন্দ্রা নামে পরিচিত এবং রকি পর্বতমালা, গ্রিনল্যান্ড, আলাস্কা এবং ইউরোপের সর্ব উত্তরের দেশগুলোর অংশবিশেষ। তিব্বতের মালভূমিও এর মধ্যে পড়ে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালা, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের তলদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ আল্পস পর্বত। বিশ্বের উষ্ণায়নের ফলে এই পুরো অঞ্চলের বরফ গলছে। বরফ গলা কাকে বলে আমরা জানি। ইংরেজিতে বলা হয়, Melting down. কিন্তু পারমাফ্রস্ট গলে যাওয়া বলতে ভিন্ন কিছু বোঝানো হয়। ইংরেজিতে এটিকে বলা হচ্ছে থাওয়িং (Thawing), যার অর্থ হলো দ্রবীভূত হওয়া। উত্তর গোলার্ধের পারমাফ্রস্ট এখন খুব দ্রুত দ্রবীভূত হয়ে যাচ্ছে। কতটা দ্রুত?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের অন্য সব এলাকার চেয়ে চার গুণ হারে। আর গত ৩০ লাখ বছরের মধ্যে দ্রুততম গতিতে। গত পাঁচ বছরে বরফ গলার হার পাঁচগুণ বেড়েছে বলে জানান আইসল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে উত্তর গোলার্ধে যে পরিমাণ পারমাফ্রস্ট ছিল তা গত একশ বছরে ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এটি আরো দ্রুততর হচ্ছে। কারণ, সারা বিশ্বে তাপমাত্রা যতটা বাড়ছে, উত্তর গোলার্ধে বাড়ছে তার চার গুণ দ্রুতগতিতে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, সেখানে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বিলীন হতে পারে অতিরিক্ত ১৫ লাখ বর্গমাইল এলাকা। এমনকি ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ যতটা কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সেই লক্ষ্য যদি পূরণও করা হয় তাহলেও ২৫ লাখ পারমাফ্রস্ট এলাকা নিশ্চিহ্ন হতে পারে।

এখন আসি মূল কথায়। পারমাফ্রস্ট গলে গেলে বা দ্রবীভূত হলে কী সমস্যা?
সমস্যা অনেক। এক নম্বর সমস্যা হলো, এই পারমাফ্রস্ট অঞ্চলে চাপা পড়ে আছে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস যেমন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, প্রাকৃতিক পারদ ও মিথেন ইত্যাদি। বরফের আচ্ছাদন সরে গেলে এসব ক্ষতিকর গ্যাস ও রাসায়নিক দ্রব্য বায়ুমণ্ডলে বেরিয়ে আসবে। এর পরিমাণ কতটা? গবেষণা বলছে, বিশ্বের গোটা বায়ুমণ্ডলে এখন যে পরিমাণ কার্বন বিদ্যমান তার প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ (আনুমানিক ১,৬০০ বিলিয়ন টন) কার্বন চাপা পড়ে আছে পারমাফ্রস্টের নিচে। আরো আছে অপরিমেয় মিথেন।

তবে তারা বলছেন, ২১০০ সালের মধ্যে, অর্থাৎ আগামী মাত্র ৮০ বছরের মধ্যে পারমাফ্রস্ট গলে বেরিয়ে আসতে পারে ৯ হাজার ২০০ কোটি টন কার্বন। শিল্প বিপ্লবের পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের আবহাওয়ায় যে পরিমাণ কার্বন মিশেছে এই পরিমাণটা তার চেয়েও প্রায় ২০ গুণ বেশি। আপনি কি জানেন, কার্বন বিশ্বের উষ্ণতা যতটা বাড়ায় মিথেন গ্যাস বাড়ায় তার চেয়ে ৮০ গুণ বেশি? পারদ হলো এমন এক বিষাক্ত দ্রব্য যা মানুষের স্নায়ুতন্ত্র অকার্যকর করে দেয়। আর পারদ কতটা আছে তারও একটি ধারণা দেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, পৃথিবীর সব সাগর মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল এবং মাটিতে যে পরিমাণ পারদ এই মুহূর্তে বিদ্যমান আছে, মেরুর বরফে চাপা পড়ে থাকা পারদ তার প্রায় দ্বিগুণ। এই পারদ সমুদ্রে বায়ুতে ছড়িয়ে পড়লে তা খাদ্যচক্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করবে। এখানেই শেষ নয়। সঙ্কট আরো গুরুতর।

পরমাফ্রস্ট উন্মুক্ত হলে লাখ লাখ বছর ধরে বরফের নিচে আটকে থাকা সব ধরনের গ্যাস ও রাসায়নিক দ্রব্য বেরিয়ে আসবে। এতে উষ্ণতা বাড়বে এবং দ্রুত বরফ গলবে। যতই গ্যাস বেরুবে উষ্ণতা ততই বাড়বে, উষ্ণতা যত বাড়বে ততই বরফ গলবে, যত বরফ গলবে ততই গ্যাস বেরিয়ে আসবে। এভাবেই দূষণচক্র চলতে থাকবে।

লন্ডনের ডেইলি মেল পত্রিকায় গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক নিবন্ধে রাশিয়ার আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে বলা হয়, পারমাফ্রস্ট গলে গেলে তার নিচে লাখ লাখ বছর ধরে চাপা পড়ে থাকা প্রাণঘাতী সব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসতে পারে। এসব জীবাণুর অনেকগুলোই আবারও জীবন্ত হয়ে উঠতে এবং মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। আমরা গত দুই বছর ধরে বৈশ্বিক কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে রয়েছি। আর গতিশীল এই বিশ্বে করোনাভাইরাস কত দ্রুত সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে সে অভিজ্ঞতা তো আমরা পেয়েছি। এটি আরো বছর দুয়েক থাকবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কাজেই প্রাচীন প্রাণঘাতী জীবাণুগুলি জীবন্ত হয়ে উঠলে তা যে প্রলয়ঙ্করি পরিণতি বয়ে আনবে না তা বলা যায় না।

আরও পড়তে পারেন-

আর্কটিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিকোলাই করচুনভ বলেন, প্রাচীন জীবাণুগুলোর জেগে ওঠার ঝুঁকি ও বিপদ মোকাবেলার জন্য তারা এরই মধ্যে একটি ‘জৈব নিরাপত্তা’ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। রাশিয়ার মোট ভূখণ্ডের ৬৫ ভাগই পারমাফ্রস্ট। সেজন্যেই দেশটি সতর্ক তা কিন্তু নয়। বরং পারমাফ্রস্ট গলে যাওয়ার কুফল তারা এরই মধ্যে ভালো করেই টের পাচ্ছে। তাই রাশিয়ার উদ্যোগেই গঠিত হয়েছে আর্কটিক কাউন্সিল। তারা এই বিপদ মোকাবেলায় কাজ করছে।

কিছু উদাহরণ দিলে বোঝা যাবে কুফলটা কীভাবে নেমে আসছে। বরফ গলে যাওয়ার পর রাশিয়ায় অন্তত ১৪ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলীন হয়ে যাওয়া একটি পশমওয়ালা গণ্ডার আর ৪০ হাজার বছর আগের একটি নেকড়ের মাথা কয়েক বছর আগে পাওয়া যায়, যা সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় ছিল। এই দেখে কোথাও বা ১০ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া বিশালদেহী ম্যামথের কঙ্কাল খুঁজতে বেরুচ্ছে লোকজন। কারণ ম্যামথের দাঁত সংগ্রহ করে সেগুলো হাতির দাঁতের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে পারলে মোটা আয় হতে পারে।

মনে হতে পারে, বেশ তো, কিছু মানুষের টু-পাইস কামানোর রাস্তা খুলতে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা সেভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ হাজার হাজার বছর আগের বিভিন্ন প্রাণীর দেহাবশেষ বেরিয়ে আসাটাও আরেক আশঙ্কার কারণ। সেটা হলো, এসব প্রাণী যেসব রোগজীবাণুর (Pathogens) বাহক ছিল সেগুলোও বেরিয়ে আসবে। প্রাণীগুলো বাঁচতে না পারলেও রোগ জীবাণুগুলোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে। কারণ অনেক জীবাণু বরফের নিচে শত শত বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পরও বেঁচে থাকতে পারে। একজন রুশ অধ্যাপক বরফ গলে যাওয়ার পর উন্মোচিত হওয়া একটি ভাইরাসের সন্ধান এরই মধ্যে পেয়েছেন। এটির নাম পাইথোভাইরাস (pithovirus)। গত ৩০ হাজার বছর ধরে বরফের নিচে চাপা পড়ে থাকা এই ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পর ওই এলাকায় এককোষী প্রাণী অ্যামিবাকে সংক্রমিত ও হত্যা করতে শুরু করেছে। এতে প্রমাণ হয়েছে, ভাইরাস কত দীর্ঘ সময় ধরে বরফে জমাটবাঁধা অবস্থায়ও টিকে থাকতে পারে।

২০১৬ সালে সাইবেরিয়ায় অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর সংক্রমণে দুই লাখ বলগা হরিণ এবং কমপক্ষে একটি মানব শিশুর মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা এখন স্বীকার করেন যে, সেই জীবাণুটি গলে যাওয়া পারমাফ্রস্ট থেকেই বেরিয়ে এসেছিলো। শুধু এই ঘটনাই নয়, পারমাফ্রস্ট দ্রবীভূত হওয়ার কারণে রাশিয়ার অনেক জায়গায় বাড়িঘর, ভবন, সড়ক ইত্যাদির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে প্রায়ই। গত বছরই একটি স্থানে ডিজেলের রিজার্ভারের নিচের মাটি সরে গিয়ে বিপুল পরিমাণ তেল সুমেরুবৃত্তে ছড়িয়ে পড়ে। কানাডাতেও একই কারণে শুধু সড়ক মেরামতে বছরে কয়েক শত কোটি ডলার ব্যয় করতে হচ্ছে। তবে এগুলো সারা বিশ্বকে হয়তো প্রভাবিত করবে না। কিন্তু যেটি করবে সেটা হলো জীবাণুর জীবন্ত হয়ে ওঠা।

পারমাফ্রস্ট গলে যাওয়ার কারণ কেবল প্রাকৃতিক নয়। মানুষের অব্যাহত অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডও এর কারণ। মেরু অঞ্চলে বিরতিহীনভাবে খনিজ অনুসন্ধান ও আহরণ এর অন্যতম। কিন্তু পারমাফ্রস্ট গলে যাওয়ার পরিণতিতে পৃথিবী নামের এই গ্রহের পুরো আবহাওয়া ও বাস্তুতন্ত্র (ecosystem) ধ্বংস হবে। আর অন্যসব প্রাণীসহ মানুষের স্বাস্থ্যগত যে হুমকির সৃষ্টি হবে তাকে মহাবিপর্যয় বললেও হয়তো কম বলা হয়। এ বিষয়ে বড় বড় গবেষণাকর্ম শুরু হয়েছে। কিন্তু সে গবেষণার কোনো সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা, কপ-২৬ এর ব্যর্থতার পর, একরকম দুরাশাই মনে হয়।

ই-মেল : mujta42@gmail.com

উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।