দেহে রক্তের সিস্টোলিক চাপ (ওপরেরটা) ১০০ থেকে ১৩০ আর ডায়াস্টোলিক (নিচেরটা) ৬০ থেকে ৮০ মিমি পারদ থাকে। এটা রক্তের স্বাভাবিক চাপ। তবে কারো রক্তের সিস্টোলিক চাপ যদি ৯০ মিমি পারদের নিচে এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৬০ মিমির নিচে থাকে, সেটি হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ।
কোনো রোগ বা শারীরিক অবস্থার লক্ষণ বা পরিণতি হিসেবে নিম্ন রক্তচাপ চিহ্নিত হতে পারে। রক্তচাপ যখন শরীরের সব জায়গার রক্ত পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট হয় না, তখন এ অবস্থাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা যেতে পারে।
কারণ
নির্দিষ্ট একক কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয় না। এর নানা কারণ থাকে। দীর্ঘমেয়াদি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হরমোনজনিত রোগ নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া দেহে রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়া বা রক্তস্বল্পতা, ঠিকমতো না খাওয়া, অপর্যাপ্ত তরল গ্রহণ, বমি, ডায়রিয়া, পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় বা স্নায়ুর দুর্বলতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। যেকোনো কারণে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি রক্ত যদি শরীর থেকে হারিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রেও রক্তচাপ হ্রাস পায়।
আরও পড়তে পারেন-
- ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
- কিশোর অপরাধ রোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে
- আদর্শ পরিবার গঠনে যে সব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরী
- ইসলামে সামাজিক সম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখার গুরুত্ব
- মানুষ মারা যাওয়ার পর, তাঁর আত্মার কি হয় ?
লক্ষণ
- দুর্বলতা
- শ্বাসকষ্ট
- মাথা ঘোরা
- বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া
- ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়া
- চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা
- বমি ভাব হওয়া
- শারীরিক বা মানসিক অবসাদ
- তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া
- অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন হওয়া
হঠাৎ নিম্ন রক্তচাপ হলে
হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তার শরীরে পর্যাপ্ত ফ্লুইড প্রবেশ করাতে হবে। তাৎক্ষণিক খাওয়াতে হবে ডাব, স্যালাইন, চা, চকোলেট, পানি, দুধ বা অন্য কিছু যা-ই হোক না কেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তাকে পানীয়জাতীয় কিছু খেতে দিতে হবে। শরীরে জলীয় অংশের পরিমাণ বাড়ালে কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
অনেক মানুষের রক্তচাপ মেপে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পাওয়া যায়। যদি এর সঙ্গে অন্য কোনো লক্ষণ না থাকে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে কোনো সমস্যা না থাকে, তবে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। অন্য সমস্যা মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসার মাধ্যমে এর সমাধান সম্ভব।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ