।। এম আব্দুল্লাহ ।।
এক.
খবরটি বিএনপির জন্য বেশ উদ্বেগেরই বলা যায়। গত পাঁচ মাসে ভুয়া ও বিকৃত মন্তব্যের সবচেয়ে বেশি শিকার হয়েছে বিএনপি। শতাংশের হিসেবে ৫০ ভাগই বিএনপির বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিএনপিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ১৯টি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টিই ছিল দলটির জন্য ক্ষতিকর বা নেতিবাচক। এসব অপতথ্যের মধ্যে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি সাতটি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব অপতথ্যের বেশির ভাগ তার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও নেতাকে নিয়েও অপতথ্য ছড়ানো হয়।
বিএনপির পরে জামায়াতে ইসলামী ও দলটির আমির শফিকুর রহমানকে নিয়ে বেশি অপতথ্য ছড়ানো হয়। জামায়াতের পরে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রিউমর স্ক্যানার চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রচারিত অপতথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র সামনে এনেছে। জানিয়েছে, এই পাঁচ মাসে নির্বাচনকেন্দ্রিক ৩৯টি অপতথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অপতথ্য ছড়ানো হয়েছে এপ্রিল মাসে এবং এরপর মে মাসে।
এই পাঁচ মাসে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে, এমন ঘটনা শনাক্ত হয়েছে ১৯টি, পুরোপুরি মিথ্যা বা ভুয়া ঘটনা-সংবলিত অপতথ্য ১৮টি এবং বিভ্রান্তিকর রেটিং দেওয়া হয়েছে একটিতে। এ ছাড়া হাস্যরসাত্মক ঘটনাকে বাস্তব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাক্ট-চেক করা হয়েছে একটি বিষয়ের।
অপতথ্য ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে শীর্ষে ছিল ফেসবুক। এ ছাড়া টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডসেও অপতথ্য ছড়ানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ছাড়াও দেশের গণমাধ্যমও নির্বাচনসংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। গত পাঁচ মাসে দেশের গণমাধ্যমগুলোয় এমন দুটি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ পায় রিউমর স্ক্যানার।
নির্বাচনকেন্দ্রিক অপতথ্যের ধরনে রিউমর স্ক্যানার দেখেছে, মন্তব্যের মাধ্যমে ১৬টি এবং বিকৃত মন্তব্যের মাধ্যমে ১৭টি অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা এবং জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া-সংক্রান্ত ছয়টি করে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে গত পাঁচ মাসে আটটি ভুয়া মন্তব্য ও সাতটি বিকৃত মন্তব্য প্রচার করা হয়। বিএনপির পর জামায়াতে ইসলামী ও অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে অপতথ্য বেশি ছড়ানো হয়।
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের অপতথ্য, গুজব ও অপপ্রচার ডালপালা মেলবে। পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। জামায়াত এ ক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে কোনো ভুয়া বা বিকৃত তথ্য প্রচারের পর তার জবাব বেশ জোরালোভাবে পাল্টা তথ্য-প্রমাণ দিয়ে মোকাবিলা করতে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু বিএনপি বা দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো ভিত্তিহীন তথ্য এলে তার বিপরীতে শক্ত কোনো জবাব কমই চোখে পড়ে। কতিপয় বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থক অনলাইনে সক্রিয়তা দেখালেও প্রতিপক্ষকে বুদ্ধিদীপ্ত পন্থার পরিবর্তে অত্যন্ত স্থূল ও আক্রমণাত্মক, এমনকি অরুচিকর ভাষায় মোকাবিলা করতে গিয়ে ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে তুলছেন। বিএনপির মিডিয়া সেল নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে অপতথ্যের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে, যার কার্যকারিতা সন্তোষজনক নয়।
ধারণা করি, বিএনপি আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক যে কয়টি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তার অন্যতম হচ্ছে অপতথ্য, ভুয়া তথ্য ও অপপ্রচার মোকাবিলা। ভোটের বাজারে এর প্রভাব কিন্তু প্রবল। এ নিয়ে দলটির প্রস্তুতি তেমন চোখে পড়ছে না। আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস ও গণঅভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের টার্গেট করে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। জামায়াতকেও মাঝেমধ্যে লক্ষ্যবস্তু করছে। বিএনপির বিরুদ্ধে পতিত দলটি এখনো ততটা আক্রমণাত্মক নয়। নির্বাচনী লড়াই শুরু হলে বিএনপিও ছাড় পাবে বলে মনে হয়। সে ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কার্যকর প্রস্তুতি রাখা জরুরি।
দুই.
দেশের রাজনীতিতে বহুল আলোচিত লন্ডন বৈঠকের রেশ এখনো কাটেনি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার ওই বৈঠক রাজনীতির হাওয়া বদলে দিয়েছে। এখন চলছে খোশ-নাখোশের বিতর্ক। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুদিন আগে বলেছেন, লন্ডন সমঝোতায় একটি মহল অসন্তুষ্ট হয়েছে। তিনি মহলটির নাম না নিলেও কাদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, তা সবাই বুঝে নিয়েছে।
১৩ জুন লন্ডনে বৈঠকটি হওয়ার আগে-পরে প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও পরে ‘যৌথ ঘোষণা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলে জামায়াতসহ কয়েকটি দল। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটিমাত্র দলের সঙ্গে বোঝাপড়া এবং যৌথ ঘোষণা সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট করেছে বলে অভিযোগ তুলে এক দিনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকও বর্জন করে জামায়াত। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগে অভিমান ভেঙে পরদিন কমিশন সভায় যোগ দেয় দলটি।
লন্ডন-সমঝোতায় বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন এসেছে। এখন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে চলার কথা বলছে দলটি। অবিশ্বাস তৈরি হয়, আপাতত এমন কিছুতে না জড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম। লন্ডন বৈঠকের তিন দিন পর অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এমন মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের শর্তযুক্ত ঘোষণার ওপর আস্থা রেখেই ভোটের লড়াইয়ের প্রস্তুতির দিকে মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে স্থায়ী কমিটির সভায়।
আরও পড়তে পারেন-
- আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে ইসলামের ভূমিকা
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন হুমকির মুখে না পড়ে
- সমৃদ্ধ জাতি নির্মাণে দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ও আলেমদের এগিয়ে আসা
- সালাম-কালামের আদব-কায়দা
- বিবি খাদিজা (রাযি.): ইসলাম ধর্মের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ নারী
তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে তরুণ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খানিকটা টানাপোড়েন চলছে সরকারের সঙ্গে। গত সোমবার থেকে শপথ ছাড়াই ইশরাক মেয়রের দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। ‘মাননীয় মেয়র’ লেখা ব্যানার পেছনে রেখে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেছেন, নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। সিটি করপোরেশনের একশ্রেণির সুবিধাবাদী কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাকে উসকে দিচ্ছেন। তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় নেতারা এ বিষয়েও পর্যালোচনা করেছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
তবে ইশরাক ইস্যুতে স্থায়ী কমিটির সভায় নেতারা যে কৌশল গ্রহণে মতৈক্যে পৌঁছেছেন তা বিএনপির জন্য কতটা ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে, সে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, লন্ডন বৈঠকের পর ইশরাক হোসেন আন্দোলন থেকে পিছু হটলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে যে, সরকারের সঙ্গে বিএনপির সব বিষয়ে সমঝোতা হয়ে গেছে, সমালোচকেরাও সুযোগ পেয়ে যাবে—এমন যুক্তিতে রয়েসয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকেরা। এর ফলে দক্ষিণ সিটিতে বিরাজমান অচলাবস্থা কাটেনি। প্রধান ফটকের তালা খোলেনি।
দীর্ঘসময় নির্বিকার থাকার পর গত সপ্তাহে সরকার পাল্টা অবস্থান নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর বিএনপির কাছে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিএনপি ইশরাককে আন্দোলন থেকে সরাতে না পারলে সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেওয়া হবে। এ ধরনের বার্তার পর বিএনপি কী করে, তা এখন দেখার বিষয়।
লন্ডন বৈঠকের আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্রমাগতভাবে বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। তাকে শেখ হাসিনার চেয়েও বড় ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করতেও দ্বিধা করেননি বিএনপি নেতারা। এখন সে দৃশ্যপট বদলেছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির অনেক নেতা এখনো রণে ভঙ্গ দিতে নারাজ। তারা টকশো ও বক্তৃতায় ড. ইউনূসকে হেয় করে বক্তব্য রাখছেন। সরকারের বিরুদ্ধে কামান দাগাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিএনপির সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনির একটি বক্তব্য আলোচনায় এসেছে। তিনি বলেন, ‘লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকে প্রমাণিত হয়েছে, ড. ইউনূসের পায়ের নিচে মাটি নেই।’ প্রমাণ হিসেবে বিএনপির এই নেত্রী উল্লেখ করেছেন, দুই নেতার করমর্দনের সময় তারেক রহমান এক হাত দিলেও ড. ইউনূস দুই হাত দিয়ে শক্ত করে তারেক রহমানের হাত ধরে রাখেন।
এই যে ‘এক হাত’ আর ‘দুই হাত’ দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভিত নিরূপণ করা হচ্ছে, তা জনসাধারণ কীভাবে নিচ্ছে, সেটা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে বলে মনে হয় না। ড. ইউনূস সন্তানতুল্য তারেক রহমানকে অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষেত্রে সরকারপ্রধানের মতো মর্যাদা দিয়েছেন। দুহাত দিয়ে করমর্দন করে তার সারল্য ও আন্তরিকতার জানান দিয়েছেন। তারেক রহমানের শারীরিক ভাষাও এমন বার্তা দেয়নি যে ড. ইউনূসকে ছোট করার জন্য তিনি এক হাতে হ্যান্ডশেক করেছেন।
বিএনপি না চাইলেও সরকারের আগ্রহেই লন্ডন বৈঠক হয়েছে—এমন প্রচারণা যারা চালিয়েছেন, তাদের মতলবও ভালো ছিল বলে মনে হয় না। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকট উত্তরণের সংলাপ আয়োজনে যে তরফ অধিক আগ্রহী হবেন, তারাই জনগণের কাছে নন্দিত হবেন। সংলাপ ব্যর্থ হলেও উদ্যোক্তারা হেরে যান না। তাদের ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশেও অর্জন থাকে। বেফাঁস কথা বলে ইউনূস-তারেক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ঐতিহাসিক অর্জনকে ম্লান করা মোটেই সমীচীন নয়।
দুই নেতার যৌথ ঘোষণায় অসন্তুষ্ট জামায়াত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে ফেরার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যে সৌজন্য প্রদর্শন করেছেন, তা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি জামায়াত প্রতিনিধিদলের প্রধান ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা এনসিপিপ্রধান নাহিদ ইসলামকে কাছে টেনে হাতে হাত রেখে ক্যামেরার সামনে যে পোজ দিয়েছেন, তা সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্ব পেয়েছে।
অন্যকে সম্মান দিয়ে কেউ খাটো হয় না। রাজনৈতিক শিষ্টাচার সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে এখন বড় দল হিসেবে বিএনপির দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। দলটি যতটা উদার হবে, ততটাই অর্জন করবে। অভিমান ঝেড়ে সহসা আলোচনায় ফিরে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে জামায়াতও। বর্জনে খুব একটা অর্জন নেই। তিন নেতা যেভাবে হাতে হাত রেখে হাস্যোজ্জ্বল ঐকতান প্রকাশ করেছেন, তা অন্তত আগামী নির্বাচন পর্যন্ত পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সৌজন্য ও পরমতসহিষ্ণুতার বার্তা হিসেবে অক্ষুণ্ণ থাকুক। ক্ষমতার লড়াই বা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন একে অপরের বিনাশ কামনার যুদ্ধে না গড়ায়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
উম্মাহ২৪ডটকম: এমএ