Home ফিকহ ও মাসায়েল দাওয়াহ ও ইসলামী আলোচনায় শিষ্টাচার ও আদব-কায়দা

দাওয়াহ ও ইসলামী আলোচনায় শিষ্টাচার ও আদব-কায়দা

।। ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ।।

ইসলাম প্রচার ও প্রসারে অন্যতম একটি মাধ্যম হলো ইসলামী আলোচনা। এসব আলোচনা ওয়াজ মাহফিল হিসেবে অধিক পরিচিত। কুরআনও এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে। (দেখুন- সূরা নাহল, ১৬: ১২৫)।

অনেকেই এ পদ্ধতিতে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষেরা ইসলামী বিষয়সমূহ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে নিজেদের জীবনে তা পালনে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি কিছু বিষয় দাওয়াতের এ বহুল প্রচলিত মাধ্যমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে এবং কিছু অনাকাংখিত ঘটনাও ঘটছে।

তন্মধ্যে, যারা ওয়াজ করেন তাদের আক্বীদা ও দর্শনে ভিন্নতা, অপ্রাসংগিক আলোচনা, গুরুত্বহীন বিষয় নির্বাচন, ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক ও অসম্ভব গল্পসমূহ, অশালীণ ভাষা, বিকৃত শারিরিক অঙ্গ-ভঙ্গি, অন্যের মত ও দর্শণের প্রতি অশ্রদ্ধা, নিজেকে উত্তম মনে করে অন্যকে হেয় করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

এটি সত্যিই দূঃখজনক যে, সুললিত কন্ঠ এবং রম্য উপস্থাপনা করার যোগ্যতাটা সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য বক্তা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং এতদসংক্রান্ত বিশেষ যোগ্যতা, বিশেষ করে ইসলামী দাওয়া বিজ্ঞানে পারদর্শীতা হওয়া দরকার ছিল প্রত্যেকটি বক্তার।

ভয়ংকর দিক হলো- উদীয়মান কিছু বক্তা জ্ঞানকে উপেক্ষা করে উপরোক্ত দুইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখছে। ফলে, ইউটিউবে ‘বাংলা ওয়াজ’ নামে সার্চ (খোঁজ) করলে যে চিত্র ফুটে উঠে, তা বক্তাকেই শুধু বিতর্কিত করছে না; বরং প্রকৃতপক্ষে ইসলামকেও ছোট করছে অনেক ক্ষেত্রে, নষ্ট করছে তার সৌন্দর্যকে। এভাবে চলতে থাকলে হিতে বিপরীত নিশ্চিত। এসকল বক্তার দায়িত্বহীন কথাবর্তায় ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে শুধুমাত্র রম্য ও হাসির উপকরণ বৈ কিছুই মনে করছে না অনেকেই। এটি বন্ধ হওয়া উচিৎ।

উল্লেখ্য, যদিও অল্প কিছু ইসলামী চিন্তাবিদ সত্যিকার অর্থেই এ মাধ্যমে ইসলামের খেদমত করছেন কিন্তু তা খুবই অপ্রতুল। এ পরিস্থিতি উত্তোরণ জরুরি। এ নিবন্ধে সেসব বিষয়ে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করা হলো-

১. সহিহ নিয়্যত এবং একমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) সন্তুষ্টি কামনা করা।

নিয়্যাতের উপরেই নির্ভর করে কাজের ফলাফল। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং-০১) আমরা যারা নিজেদেরকে এ ক্ষেত্রে নিয়োজিত রেখেছি তাদেরকে আরো একবার ভেবে দেখা দরকার যে, কোন উদ্দেশ্যে এটি করছি? দুনিয়াবী স্বার্থ; সম্মান কিংবা অর্থ উপার্জন যদি আমাদের উদ্দেশ্য না হয়ে থাকে তাহলে জনপ্রিয় হওয়ার চেয়ে আল্লাহর কাছে কতটা প্রতিদান পাবো সেটিই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।

প্রত্যেকটা কাজ ও কথায় সচেতন হতে হবে যে, এ কাজ কিংবা কথার দ্বারা সত্যিই আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছি কিনা? এটি যদি সত্যিকার অর্থেই কার্যকর করা যায়, তাহলে আমাদের এসব কথায় মানুষ তাদের নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ হবে। প্রচার ও প্রসার লাভ করবে ইসলাম ও তার শিক্ষাসমূহ।

২. বিষয় নির্ধারণ ও তার ব্যাখ্যায় সতর্কতা অবলম্বন করা।

প্রত্যেক দা’ঈ বা বক্তার উচিত এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা। সে কী বিষয়ে কথা বলছে এবং কীভাবে তার ব্যাখ্যা প্রদান করছে এবং তার ফল কীভাবে শ্রোতাদের উপারে প্রতিফলিত হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তা করা একজন দা’ঈর প্রাথমিক দায়িত্ব। শ্রোতাদের উপর নির্ভর করে এমনসব বিষয় নির্ধারণ করা উচিৎ যা সত্যিকার অর্থেই তাদের জন্যে জানা জরুরি এবং সেসব জানার ফলে তাদের জীবনে পরিবর্তন আসবে।

ধর্মের সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়গুলোকে সাধারণ এবং অল্প শিক্ষিত মানুষের মাঝে তুলে ধরার চেয়ে মৌলিক বিধি বিধান এবং সেগুলোর শরয়ী উদ্দেশ্য বর্ণণাপূর্বক তা পালনে কী উপকার লাভ করা যাবে- এসব আলোচনা হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে প্রজ্ঞার ব্যবহার বেশি হওয়া উচিৎ।

এ ছাড়া যে কোন আলোচনা কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক বিষয় নির্ধারণপূর্বক তার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কুরআন ও হাদিসের উদৃতি তুলে ধরা দরকার। অন্যান্য ইসলামী চিন্তাবিদদের মতামত যথাযথভাবে তুলে ধরার পাশাপাশি যুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক উদাহরণ এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসু হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। মনগড়া, ভিত্তি ও যুক্তিহীন, অগ্রহণযোগ্য এবং অসম্ভব-অবাস্তব গল্প, রম্য উপস্থাপনা সাময়িকভাবে শ্রোতাদের চিত্ত আকর্ষণ করতে পারলেও তা হিতে বিপরীত হয়।

কুরআন ও হাদিসে অসংখ্য চিতাকর্ষণীয় গল্প আছে যেগুলোতেও শ্রোতাদের মন জয় করা যায়। সেসব গল্পগুলোকে কুরআন ও সুন্নাহে বর্ণিত উপায়েই তুলে ধরার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে প্রত্যেক দা’ঈকে। এটি মনে রাখতে হবে, যথোপযুক্ত বিষয়, যথোপযুক্ত পরিবেশে, যথোপযুক্ত মানুষের সামনে এবং যথোপযুক্ত উপায়ে তুলে ধরার মধ্য দিয়েই সত্যিকার উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব, অন্যথায় নয়।

৩. মানবিক খারাপ গুণাবলীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা।

মানুষ হিসেবে আমাদের কিছু খারাপ মানবিক গুণাবলী থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু একজন দা’ঈ হিসেবে অবশ্যই তা সংশোধন ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশেষ করে তা যেন জনসমেক্ষে কোনভাবেই প্রকাশ না পায় তা খেয়াল করতে হবে।

আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, আমাদের শ্রোতারা যখন আমাদের কথাগুলো শোনে তখন তারা আমাদের দেখেও। তারা আমাদেরকে অনুকরণীয়, অনুসরণীয় মনে করে বলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমাদেরকে ডেকে নিয়ে আসে, অনেক কষ্ট সহ্য করে আমাদের কথা শোনে। সেখানে আমাদের মানবিক খারাপদিকগুলো ফুটে উঠুক তা তারাও চায় না। বিশেষ করে, ইসলামী আলোচনায় রাগ এবং তার বহিঃপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটি সত্য যে, রেগে গেলে মানুষ কী বলে তা ঠিক রাখতে পারে না। সুতরাং এসময় ভুল হবার সম্ভাবনাই বেশি।

শুধু তাই নয়, বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন ওয়ায়েজ বা বক্তা রাগান্বিত অবস্থায়ই অশালীন, অশ্রাব্য ভাষারই শুধু ব্যবহার করেন না, বরং ভুল সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেন। এটি কখনই ইসলাম ও মুসলিমদের জন্যে কল্যাণকর হতে পারে না। এর পাশাপাশি আমাদের কন্ঠস্বরকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমন চেঁচামেচি, উচ্চকন্ঠ করা যাবে না যাতে শ্রোতারা বিরক্ত হয়ে উঠে। অনেক সময় দেখা যায় উত্তেজনার কারণে বক্তার চেয়ার, মাইকের স্পিকার পড়ে যাচ্ছে, বিকৃত মুখ ও দৈহিক ভঙ্গির প্রকাশ পাচ্ছে এগুলো এইসব পরিবেশের জন্যে মোটেও শোভনীয় নয়।

আরও পড়ুন- ‘বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণ’

আল্লাহ তা’আলা বলেন, “পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সবাপেক্ষা অপ্রীতিকর।” (সূরা লুকমান, ৩১: ১৯)। এছাড়াও রাসূল (সা.) আমাদের আদর্শ এবং তাঁর আলোচনা কীরূপ হতো তা আমাদের সকলের জানা দরকার। সুতরাং এ বিষয়ে সতর্কতা জরুরি।

৪. নিজেকে উচ্চ এবং অন্যদেরকে হেয় মনে করা থেকে বিরত থাকা।

সমসাময়িককালে এটি চুড়ান্ত রুপ ধারণ করেছে। প্রত্যেকেই নিজেকে এবং নিজের মাতাদর্শের লোকদেরকে একমাত্র সম্মানিত মনে করে আর অন্যদেরকে হেয় করে, অপমান করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভরে কথা বলে। অল্প কিছু বক্তা বা দা’ঈ ব্যতীত প্রায় সকলের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। এক/দুই ঘন্টা আলোচনার মধ্যে প্রায় অধিকাংশ সময়েই এই খারাপ গুনটির প্রকাশ পায়। কখনও কখনও তা ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নাম উল্লেখ করে এমনভাবে আলোচনা করা হয় যেন তারা নিশ্চিত জাহান্নামী। কখনও কখনও তাদেরকে কাফের, মুশরিক, বেদ’আতী হিসেবে ফতোয়া দিতেও কেউ কেউ কুন্ঠাবোধ করেন না। এটি অনুচিত, পরিত্যাজ্য। আল্লাহ বলেন, “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” (সূরা লুকমান, ৩১:১৯)।

রাসূলুল্লাহ (স.) কোন ব্যক্তিকে নিদৃষ্ট করে এমন বলেছেন তা পাওয়া যায় না। কিন্তু তিনি অনেক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নিদৃষ্টভাবে বলেছেন যে, তারা জান্নাতী। কিন্তু জাহান্নামীদের বেলায় কাউকে নিদৃষ্ট করেননি। হ্যাঁ, তিনি বলেছেন যে, যারা এরুপ করবে তারা জাহান্নামী হবে। এমনকি মদিনার নাম করা মুনাফিক যার ব্যাপারে কুরআনের আয়াতও নাযিল হয়েছে, তাকেও নিদৃষ্ট করে জাহান্নামী ঘোষণা দেয়া হয়নি। আর আমরা কথায় কথায় ভিন্ন মতের, পথের হলোই কাফের, মুশরিক, জাহান্নামী বলতে দ্বিধাবোধ করিনা। দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে অন্যদেরকেও সম্মান করতে হবে। তাহলেই তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সঠিক পথে ফিরে আসার সুযোগ পাবে।

অপরদিকে, মানুষ প্রতিশোধ পরায়ণ। তাই সুযোগের সদ্ব্যাবহার তারাও করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। ফলে, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূচনা নিজেরাই করছি এটাই আল্লাহর কাছে বিবেচিত হবে। আমাদের মনে রাখা দরকার, আমাদের দায়িত্ব হলো সাধ্যমত দ্বীনকে অন্যের কাছে তুলে ধরা। (দেখুন: আল কুরআন, সূরা আস-সফ, ৬১: ৯)। তা মানা না মানার স্বাধীনতা সেই ব্যক্তির। (দেখুন- আল কুরআন, সূরা কাহাফ, ১৮: ২৯; সূরা আল-ফুরকান, ২৫: ৫৭; সূরা ইনসান, ৭৬:২৯)।

তাকে সে ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। (আল-কুরআন, সূরা ইসরা’, ১৭: ১৪) আমাকে নয়। একটা ঘটনা বলি। রাসূলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়ের সময় মক্কা নগরিতে প্রবেশের প্রাক্কালে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে কয়েকজন ব্যতীত সকলকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনকি আবু সুফিয়ান (রা.) যিনি ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিলেন ইসলাম ও মুসলিমদেরকে। তাকেও আল্লাহর রাসূল (সা.) ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। ফলে, কী হয়েছিল আমরা জানি। শুধু আবু সুফিয়ান (রা.) না তার স্ত্রী হিন্দাসহ অসংখ্য মানুষ দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। এটিই ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য।

৫. কথা ও কাজে মিল থাকা।

আমরা যা বলছি তার সাথে আমাদের ব্যবহারিক জীবনের মিল আছে কিনা তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন কোন কথা বলি তখন আমাদের শ্রোতারা সেই বিষয়গুলো আমাদের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখে। যখন সামঞ্জষ্য পায় তখন তা পালনে উদ্বুদ্ধ হয়।

অপরপক্ষে, কোন একটিরও যদি অসামঞ্জষ্য দেখে, তখন অন্যসবগুলোকেও তারা আর নিজেদের জীবনে পালন করতে আগ্রহী শুধু হয় না বরং বক্তার প্রতি একটি নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে। সুতরাং, কথা বলার সময় আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে এ বিষয়গুলোতে। আল্লাহ তা’আলা এ ব্যাপারে এভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন, “হে মু’মিনগণ, তোমরা যা করো না তা তোমরা বলো না। নিশ্চয় তোমরা যা করো না তা বলা আল্লাহর কাছে খুবই অসন্তোষজনক।” (সূরা আস-সাফ, ৬১: ২-৩)

সর্বশেষ আমাদের মনে রাখা দরকার যে, আমরা শুধু মাত্র আল্লাহ তাঁর রাসূলের (সা.) ভালবাসা পাওয়ার উদ্দেশ্যে দ্বীনকে সমুন্নত রাখতে এবং পরকালীন জীবনে মুক্তি ও শান্তির জন্যেই এই খেদমত। আল্লাহ যেন সেই উদ্দেশ্যেই এটিকে কবুল ও মঞ্জুর করেন। আমিন।।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হবে না: ট্রাম্প