Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন কুরবানীর ঐতিহাসিক পটভূমি এবং দার্শনিক তাৎপর্য

কুরবানীর ঐতিহাসিক পটভূমি এবং দার্শনিক তাৎপর্য

।। মুনির আহমদ ।।

ইসলামের ইতিহাসের কুরবানী বলতে সেই স্মরণীয় অধ্যায়কে বোঝানো হয়, যা হযরত আদম (আ.) হতে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রতি যুগে মহান আল্লাহর  প্রেমের এক জ্বলন্ত নিদর্শন স্বরূপ প্রচলিত এবং যুগে যুগে আল্লাহর  রাস্তায় অশেষ ত্যাগ-তিতিক্ষা ও আত্ম-উৎসর্গের প্রদর্শনী হিসেবে পরিচয় লাভ করে আসছে। কুরবানী আল্লাহর  নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের এক অনুপম অধ্যায়।

পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- “আমি প্রত্যেক উম্মতের উপর কুরবানী এই উদ্দেশ্যে নির্ধারণ (ফরয) করেছি যেন তোমরা ঐ নির্দিষ্ট পশুগুলোর উপর আল্লাহর  নাম উচ্চারণ কর। অনন্তর তার কতক অংশ ভক্ষণ কর এবং ফকীর-মিসকীনকে ভোজন করাও”। (সূরা হজ্ব- ৩৬ আয়াত)।

উল্লিখিত আয়াত দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, সৃষ্টির আরম্ভ থেকেই প্রতিটি ধর্মে প্রতিটি যুগেই কুরবানীর প্রথা চালু ছিল, যদিও একেক ধর্মের নিয়ম পদ্ধতি ছিল ভিন্নতর।

হযরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.) এবং তাঁদের সন্তানেরা আল্লাহর  উদ্দেশ্যে কুরবানী করেছিলেন। আমরা হাবিল ও কাবিলের কুরবানীর ঘটনা সম্পর্কে সম্যক অবগত আছি।

প্রচলিত কুরবানী প্রবর্তনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন হযরত ইবরাহীম (আ.) এবং হযরত ইসমাঈল (আ.)এর সুমহান স্মৃতি। হযরত ইবরাহীম (আ.) এবং ইসমাঈল (আ.) উভয়েই নবী ছিলেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষের হিদায়াতের জন্যে যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবে হযরত ইবরাহীম (আ.)এর ক্ষেত্রে তা ছিল সর্বাধিক। আল্লাহর নেওয়া বিশেষ বিশেষ পরীক্ষায় তথা নমরূদের আগুনে নিক্ষেপণ, পরিবার-পরিজনকে জনশূন্য প্রান্তরে রেখে আসা, অনেক আশা-আকাংখার পর পাওয়া পুত্রকে কুরবানী করতে আদেশপ্রাপ্ত হওয়া ইত্যাদি।

হযরত ইসমাঈল (আ.)এর বয়স যখন ১১ বছর তখন হযরত ইবরাহীম (আ.)এর উপর নেমে আসে এক কঠিন পরীক্ষা। আল্লাহ তাঁর এই প্রিয় নবীকে একদিন স্বপ্নের মাধ্যম তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ বস্তুটি আল্লাহর  ওয়াস্তে কুরবানী করতে নির্দেশ দিলেন। তিনি আল্লাহর  নির্দেশ পালনার্থে একশত উট আল্লাহর  ওয়াস্তে কুরবানী করলেন। কেননা, তখনকার দিনে পশু সম্পদ শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু আল্লাহর  নিকট তা গ্রহণযোগ্য হল না। তাঁকে পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হল, এর চেয়ে অধিক শ্রেষ্ঠ কিছু কুরবানী করতে। এবার তিনি গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলেন, তাঁর কাছে এখন সবকিছুর চেয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ তাঁর নয়ন মণি প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)। কাজেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তাকেই কুরবানী করার জন্যে। অতঃপর যখন তাঁর সিদ্ধান্তের কথা ইসমাঈল (আ.)কে বললেন, তখন ইসমাঈল (আ.) নির্দ্বিধায় তা মেনে নিলেন। শুধু মেনেই নিয়ে ক্ষ্যন্ত হননি, বরং তা পালন করার জন্যে পিতাকে জোর তাগিদ করলেন। আরো আশ্বাস দিলেন, আপনি যে বিষয়ে আদিষ্ট হয়েছেন সেটা সত্বর পালন করুন। ইনশাআল্লাহ্ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের দলভুক্ত দেখতে পাবেন।

অতঃপর নির্দিষ্ট দিনে হযরত ইবরাহীম (আ.) ইসমাঈল (আ.)কে সঙ্গে নিয়ে কুরবানী করার জন্যে রওয়ানা হলেন। পথিমধ্যে ইসমাঈল (আ.)কে এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। শয়তান তাঁকে বারবার কু-মন্ত্রণা দিতে থাকে। অতঃপর মিনা নামক স্থানে পৌঁছলে শয়তান আবার তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্যে জোর কু-মন্ত্রণা দিতে থাকে। কিন্তু ইসমাঈল (আ.) ইস্পাত কঠিন ঈমানী বলে পাথর নিক্ষেপ করে শয়তানকে বিতাড়িত করেন।

হযরত ইবরাহীম (আ.) শেষ মুহূর্তে যখন কুরবানী করার জন্যে ইসমাঈল (আ.)কে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছিলেন, তখন পিতৃস্নেহের কারণে পুত্রের গলায় ছুরি চালাতে গিয়ে হয়তঃ বা তাঁর দুর্বলতা আসতে পারে, সে জন্যে তিনি পিতাকে নিজের চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধার পরামর্শ দিলেন। আর তাঁকেও শক্ত করে বাঁধতে বলেছিলেন। এমনকি যবাই করার ছুরিটাও ভাল করে ধার দিতে বলেন, যেন ঐ সময় তিনি নড়াচড়া করতে না পারেন এবং অতি সহজেই আল্লাহর  হুকুম পালন করতে সক্ষম হন। হযরত ইবরাহীম (আ.) তাই করেছিলেন।

অতঃপর এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল সেখানে। মহান আল্লাহ্ পিতা-পুত্রের আত্মসমর্পনে অত্যন্ত খুশী হয়ে সেখানে একটি দুম্বা প্রেরণ করেন। কুরবানী দেওয়ার পর হযরত ইবরাহীম (আ.) চোখ খুলে দেখলেন, তিনি হযরত ইসমাঈল (আ.)কে কুরবানী করেননি। তিনি কুরবানী করেছেন একটি দুম্বা। আল্লাহ্ তাআলার ইচ্ছায় হযরত জিব্রাঈল (আ.) ইসমাঈল (আ.)কে সরিয়ে সেস্থলে দুম্বাটিকে রেখে দিয়েছিলেন। সেই থেকে মুসলিম বিশ্বে কুরবানীর বিধান জারি হয়ে গেল।

উম্মতে মুহাম্মদীর জন্যে আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পবিত্র কালামে ছোট্ট একটি আয়াতের মধ্যে বলেছেন- “তোমরা রবের নামায আদায় কর আর কুরবানী কর।” (সূরা কাউসার)।

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন হযরত ইবরাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.)এর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতি বছর যিলহজ্ব মাসের নির্দিষ্ট তারিখে উম্মতে মুহাম্মদীকে আল্লাহর  উদ্দেশ্যে আত্মকুরবানীর প্রতীক হিসেবে পশু কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহর  পয়গাম্বর হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.)এর সুমহান স্মৃতিকে ঘিরে যে ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ বার বার মুসলিম বিশ্বে ফিরে আসে, তার গুরুত্ব ও সামাজিক তাৎপর্য অপরিসীম।

এই ঈদ মুসলিম জীবনে নিছক একটি আনন্দ উৎসব হিসেবেই আসে না বরং এই ঈদ আসে আত্মদানের উদ্দেশ্যে নফ্সের খাহেশাতকে যবাই করে স্বীয় আমিত্বকে নির্মূল করে পুরোপুরিভাবে মহান আল্লাহর  নিকট আত্মসমর্পণ করতে। উল্লেখ্য, এই দিনেই হযরত ইবরাহীম (আ.) এক কঠিন আÍপরীক্ষা (কুরবানী) দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। আর এর মাধ্যমে তিনি মুসলিম মিল্লাতের পিতা হবার গৌরব অর্জন করেছিলেন। তাই এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য এত বেশী।

ইসলামের দু’টি বৃহৎ আনন্দ উৎসবের বৈশিষ্ট হল, আত্ম-উৎসর্গের মাধ্যমে তার ধর্মীয় কর্তব্য সম্পাদনের আনন্দ। ঈদুল ফিতরের সাথে সাদকাতুল ফিতর এবং ঈদুল আযহার সাথে কুরবানীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর এর মধ্যে এমন কিছু শরয়ী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন সমাজ জীবনে অন্ততঃ উৎসবের দিনে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে একটা আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়। উভয় উৎসবেই ধনীদেরকে দরিদ্রদের প্রতি সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাদ্কাতুল ফিত্র, কুরবানীর গোশ্ত, কুরবানীর চামড়া ইত্যাদি দরিদ্রদের মধ্যে বন্টনের মাধ্যমে তাদেরকেও আনন্দ উৎসবে শামিল করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা তাই তাঁর পবিত্র কালামে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের উপর কুরবানী এই উদ্দেশ্যে ফরয করেছি যেন তোমরা এই নির্দিষ্ট পশুগুলোর উপর আল্লাহর  নাম উচ্চারণ কর। অনন্তর তাঁর কতক অংশ নিজে ভক্ষণ কর এবং ফকীর-মিসকীনকে ভোজন করাও।” (সূরা হজ্ব, ৩৬ আয়াত)।

বস্তুতঃ ঈদুল আযহার আনন্দ উৎসবের দিনগুলোতে আত্মকুরবানীর প্রতীক হিসেবে পশু কুরবানীর মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি তথা মানবদেহের মধ্যস্থিত যত পাশবিক শক্তি রয়েছে, সেগুলোকে নির্মল করে মহান আল্লাহর  প্রেমে একজন প্রকৃত মু’মিন আত্মকুরবানী করতে পারে কিনা তারই একটা পরীক্ষা। স্মর্তব্য, এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বশর্ত হল, আত্মার পরিশুদ্ধি ও আল্লাহর  প্রতি পবিত্র প্রেম।

এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, হযরত ইবরাহীম (আ.) যে মন-মানসিকতা নিয়ে প্রাণপ্রতীম পুত্রের মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালবাসা ত্যাগ করে কুরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন, আমরা কি সেই মন-মানসিকতা নিয়ে তা করতে পারছি? কুরবানীর উদ্দেশ্য তো এই যে, পশু কুরবানীর মাধ্যমে আমাদের মধ্যস্থিত যত পশুশক্তি তথা কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, পরশ্রীকাতরতা-পরনিন্দা প্রভৃতি মন থেকে ঝেড়ে মুছে ফেলে একমাত্র আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দেখানো পথে চলা এবং আল্লাহর  রিযামন্দী হাসিল করা। কেননা আল্লাহ্ তাআলা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন- “ঐসব পশুর রক্ত আর গোশত আল্লাহর  নিকট কিছুই পৌঁছেনা বরং তোমাদের তাক্বওয়াই তার নিকট পৌঁছে থাকে।” (সূরা হজ্ব, ৩৭ আয়াত)।

এই যে প্রতি বছর আমরা আত্মকুরবানীর প্রতীক হিসেবে লাখ লাখ পশু কুরবানী করছি, তা কি শুধু পশু নিধনই হচ্ছে নাকি কুরবানীর এই শাশ্বত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের কুপ্রবৃত্তিগুলোকে ত্যাগ করতে পারছি? বলা হচ্ছে, “তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত কোন প্রতিদান বা আল্লাহর  সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না যতক্ষণ না তোমাদের সর্বাপেক্ষা প্রিয় বস্তু তাঁরই উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে পার”।

এখানে আমাদের আরেকটি বিষয়ে ভাববার আছে। আর তা হল, হযরত ইবরাহীম (আ.) কি শুধু তাঁর প্রাণপ্রিয় পুত্রকে আল্লাহর  উদ্দেশ্যে কুরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন নাকি মুবারক দ্বীন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও জীবনকে আল্লাহর  পথে উৎসর্গ করেছিলেন? বস্তুতঃ দ্বীনের জন্যে যাঁরা হিজরত করেছিলেন হযরত ইবরাহীম (আ.) তাঁদের মধ্যে প্রথম সারির। তৎকালীন সমাজের অনাচার, কুসংস্কার ও মূর্তিপূজা নির্মূলের জন্যে নিজের জীবনকে আল্লাহর  পথে উৎসর্গ করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। তিনি যখন মাটির প্রতীমা ও বহু দেবদেবীকে অস্বীকার করে এক আল্লাহর  প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন তখন পৌত্তলিক সমাজে চরম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মূর্তি ভাঙ্গার কারণে সমাজপতিরা তাঁকে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে। যদিও পরম শক্তিশালী আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন সেই জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডকে শান্তিময় পুষ্প বাগানে পরিণত করে দেন এবং তাকে রক্ষা করেন।

উল্লিখিত আলোচনার মাধ্যমে আমাদের নিকট যে বিষয়টি দিবালোকের মত পরিস্কার হয়ে গেল, তা হল, হযরত ইবরাহীম (আ.) শুধু প্রাণাধিক প্রিয় পুত্রকে কুরবানী করতেই উদ্যত হননি বরং দ্বীনের মেহ্নতও তাঁকে করতে হয়েছিল কঠিনভাবে। এবং তিনি সকল প্রকার ঈমানী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং আল্লাহর  নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সুতরাং আমরা উপলব্ধি করলাম যে, আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন মানুষ জাতিকে কেবল তাঁরই ইবাদত করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেননি। মানুষ তার জীবনের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি পদক্ষেপে স্রষ্টার উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করবে, এটাই মানুষ সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য। আর তাই প্রতিটি মুহূর্তে মু’মিনের অন্তরে থাকবে আল্লাহ্ প্রীতি, আল্লাহ ভীতি এবং সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকবে আল্লাহর  মহান উদ্দেশ্যকে পৃথিবীর বুকে বাস্তবায়িত করার জন্যে।

কাজেই শুধুমাত্র আল্লাহর  উদ্দেশ্যে আত্মকুরবানীর প্রতীক হিসেবে নিছক একটি পশু যবাই করলেই চলবে না। বরং হযরত ইবরাহীম (আ.) যেভাবে মুবারক দ্বীনের মেহ্নত করেছিলেন এবং যে মন-মানসিকতা নিয়ে আল্লাহর  রিযামন্দী হাসিল তথা নৈকট্য লাভের জন্যে প্রাণপ্রিয় পুত্র ইসমাঈল (আ.)কে কুরবানী করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তেমনিভাবে আমাদেরকেও আল্লাহর  পথে তথা মানব কল্যাণে উৎসর্গ করতে হবে। পশু কুরবানীর সাথে সাথে আমাদের কু-প্রবৃত্তি তথা পাশবিকতা কুরবানী করে আল্লাহর  নৈকট্য লাভে ব্রত হতে হবে।

চরিত্র সংশোধনের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজ, পাপমুক্ত পরিবেশ, হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত রাজনীতি, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, অস্ত্রমুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে হবে। এবং ত্যাগ ও উৎসর্গের মাধ্যমে অসহায় নিরন্ন, আশ্রয়হীন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। তবেই ব্যক্তি, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে নেমে আসবে অনাবিল সুখ-শান্তি। তা হলেই কুরবানীর আনন্দ সত্যিকারের আনন্দ হবে। মহান আল্লাহ্ তাআলা আমাদের প্রত্যেককেই কুরবানীর আসল উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য উপলব্ধি করার এবং আত্মোৎসর্গের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

– মুনির আহমদ, সম্পাদক- উম্মাহ ২৪ ডট কম।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

আরও পড়তে পারেন-

ওজন দরে গরু ক্রয় করে কুরবানী করা জায়েয হবে কি?

রাসূলুল্লাহ (সা.)এর দাম্পত্য জীবনে খাদিজা (রাযি.)এর ভূমিকা

কুরবানী এলেই তাদের পশুপ্রেম বেড়ে যায়!

ইসলামে কুরবানীর বিধান সুস্পষ্ট: এর বিকল্প অন্য কিছুতে হতে পারে না

বিদেশনীতিতে প্রবল ধাক্কা খেল ভারত