Home ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন ধর্ম কি ব্যক্তিগত বিষয়?

ধর্ম কি ব্যক্তিগত বিষয়?

।। আরিফুল ইসলাম শিকদার ।।

ধর্ম কি ব্যক্তিগত বিষয় ? জ্বী। তবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ এটা অন্য কোন ব্যক্তির সামনে আসে না। কিন্তু যখন অন্য কোন ব্যক্তির সামনে আপনার কোন বিষয় চলে আসবে, তখন আর সেটা ব্যক্তিগত না। বরং সামাজিক বিষয়। রাষ্ট্রীয় বিষয়। এবার আপনি হিসাব করুন- ধর্ম কতটুকু ব্যক্তিগত আর কতটুকু সামাজিক।

ব্যক্তিগত বিষয় তখন হয়, যখন এর কোন প্রভাব অন্য ব্যক্তির উপর পড়ে না। যেমন- ধরুন আপনি যোহরের সালাত পড়েন নাই। কেউ জানে না। যতক্ষণ কেউ জানে না ততক্ষণ এটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। যখন কেউ জানবে তখন আর ব্যক্তিগত না। সামাজিক।

কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে এই সব বিষয় জানার চেষ্টা করবে তখন সেটা পাপ। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বিষয়টা সামনে চলে এলে ব্যাক্তিকে জবাব দিতে হবে। কারণ, তখন তার ক্রিয়া বা ক্রিয়াহীনতা সমাজে অস্থিরতা তৈরির উদ্দীপক।

আপনি কইলেন আপনারা দুইজন দুইজনের সম্মতি নিয়া সমকামিতা করবেন। এটা আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়। এইটা পাপ হইলে সেইটার জন্য জবাবদিহি আপনি আল্লাহর কাছে করবেন । জ্বী অবশ্যই । আপনি আল্লাহর কাছেই কেবলমাত্র জবাবদিহি করবেন- যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার এই বিষয়টা বাহিরে প্রকাশ হচ্ছে। আর যখন এটা বাহিরে প্রকাশ হবে এবং প্রমানিত হবে, তখন মানুষের কাছেও জবাব দিতে হবে।

মানুষের কাছে কেন?

কেননা আপনার কুদর্শনে বা কুকর্মে আকৃষ্ট হয়ে আমার বংশ ধংস হওয়ার ভীতিকর পরিবেশ আপনি তৈরি করেছেন। যেহেতু আমার জন্য একটা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেহেতু আমি রিয়েক্ট করার অধিকার রাখি।

আরও পড়তে পারেন-

* ‘আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পেতে হলে সঠিক আক্বিদা-বিশ্বাসে ফিরে আসা জরুরী’

* বিশ্বব্যাপী একই দিনে ঈদ উদযাপন চিন্তা মনগড়া ও শরয়ী সিদ্ধান্ত বিরোধী

* পবিত্র ঈদুল আযহা ও কুরবানীর ফাযায়েল ও মাসায়েল

* ইসলামের পথে আমার জীবনকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করছি: অভিনেত্রী এ্যানি খান

* মওলানা বরকতুল্লাহ আমাদের ইতিহাসের কে হন?

অনুরূপ আপনার লিভ টুগেদার দর্শন। এইটা আমার বংশ ধারা রক্ষা এবং আমার সন্তানের নৈতিক চরিত্র এমনকি আমার নিজের নৈতিক চরিত্রের জন্য প্রভাবক ভূমিকা পালন করে।

ব্যক্তির স্বাধীনতা অন্য ব্যক্তির নাকের ডগা পর্যন্ত কথাটি যিনি বলেছেন, তিনি মানুষের কেবলমাত্র শাররীক দিক দেখেছেন, মানসিক দিক দেখেননি। অথচ শরীর এবং মন মিলেই মানুষ।

আপনি অবশ্যই এমন কিছু করতে পারবেন না, যা অন্যের মনে অনাকাংখিত উদ্দীপক হয়।

ঠিক এই কারণেই কোন ব্যক্তি আপনার সামনের চেয়ারে বসে হস্তমৈথুন করার অধিকার পেতে পারে না।

সমকামিতার অধিকার মানে হল মানব কর্তৃক মানব সভ্যতা রক্ষার কর্তব্য কর্মকে ঐচ্ছিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া। সেক্সের চাহিদা লিভ টুগেদার বা সমকামিতার মাধ্যমে পূরণ হওয়া স্বীকৃতি পেলে অধিকাংশ মানুষই আর সন্তান উৎপাদন বা লালন পালনে অনিচ্ছুক হওয়ার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই এই ধরনের প্রচার অপরাধ।

মানুষ কেবল অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহন করে না। কর্তব্যবোধ নিয়েও জন্মগ্রহণ করে। মানব সভ্যতাকে টিকেয়ে রাখা তার মৌলিক ও প্রাথমিক কর্তব্য।

– আরিফুল ইসলাম শিকদার, আহবায়ক, এম জে পি।

উম্মাহ২৪ডটকম:এমএমএ

উম্মাহ পড়তে ক্লিক করুন-
https://www.ummah24.com

দেশি-বিদেশি খবরসহ ইসলামী ভাবধারার গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে ‘উম্মাহ’র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।